যতিচিহ্ন কয়টি | যতিচিহ্ন কেন ব্যবহার করা হয় | ৬ষ্ঠ শ্রেণি ৩য় অধ্যায় ৩য় পরিচ্ছেদ

আজ এখানে ৬ষ্ঠ শ্রেণি ৩য় অধ্যায় ৩য় পরিচ্ছেদের যতিচিহ্ন কয়টি এবং যতিচিহ্ন কেন ব্যবহার করা হয় ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।

যতিচিহ্ন কয়টি যতিচিহ্ন কেন ব্যবহার করা হয় ৬ষ্ঠ শ্রেণি ৩য় অধ্যায় ৩য় পরিচ্ছেদ
যতিচিহ্ন কয়টি যতিচিহ্ন কেন ব্যবহার করা হয় ৬ষ্ঠ শ্রেণি ৩য় অধ্যায় ৩য় পরিচ্ছেদ

 

যতিচিহ্ন কেন ব্যবহার করা হয়

যতিচিহ্ন ব্যবহার করার অনেক উদ্দেশ্য রয়েছে। মূলত আমরা মনে করি যে, বাক্যে যতিচিহ্ন ব্যবহার না করলে বাক্যটির পরিপূর্ণ অর্থ প্রকাশ পায় না। আমরা যদি বাক্যে যতিচিহ্ন ব্যবহার না করি তাহলে বাক্য পড়তে এলোমেলো হয়ে যাবে। অর্থ পরিপূর্ণ আসবেনা। এজন্য অর্থের পরিপূর্ণতা আনতে বাক্যে এই চিহ্নের ব্যবহার অপরিহার্য। তাই যতিচিহ্নের সঠিক ব্যবহার জানতে নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ো। পড়তে গিয়ে কী ধরনের সমস্যা হচ্ছে খেয়াল করো। এ নিয়ে সহপাঠীদের সাথে আলোচনা করো।

আরো পড়ুনঃ ফ্রেশারদের চাকরি পাওয়ার সহজ উপায় । সেরা টিউটোরিয়াল 2024

ফ্রেশারদের চাকরি পাওয়ার সহজ উপায় । সেরা টিউটোরিয়াল 2024
ফ্রেশারদের চাকরি পাওয়ার সহজ উপায় । সেরা টিউটোরিয়াল 2024

“জানি কথাটি শুনলে তোমাদের কারো বিশ্বাস হবে না সেই লেখক একদিন বিকালে আমাদের বাড়িতে এসে হাজির তাঁর হাতে অনেকগুলো নতুন বই আমি অবাক হয়ে বললাম আপনি কি আমাদের বাড়িতে এসেছেন তিনি আমার কথার জবাবে ছোটো করে বললেন হ্যাঁ আমি অনেকক্ষণ কোনো কথা বলতে পারছিলাম না শুধু তাঁর হাতের বইগুলোর দিকে তাকিয়ে ছিলাম একসময়ে বললাম কিন্তু কেন তা কি জানতে পারি তিনি বললেন বারে তুমি বই পড়তে ভালোবাসো তাই বই নিয়ে এসেছি।

উত্তর: সহপাঠীদের সাথে আলোচনা: মুখের কথাকে লিখিত রূপ দেওয়ার সময় কম-বেশি থামা বোঝাতে যতিচিহ্ন বসাতে হয়। ফয়সাল, তুমি ঠিক বলেছ। আসিক, রফিক ও আনিস তোমরা তা জানো। বক্তব্য সঠিকভাবে প্রকাশ করার জন্য বিরামচিহ্ন বসাতে হয়। ফয়সাল, তোমার কথা যথার্থ হয়েছে। যেখানে দাঁড়ি, কমা প্রয়োজন সেখানে তা দিতে হবে। রফিকের একথাও সঠিক। আনিস বলল, শুধু তাই নয়, যেখানে প্রশ্ন বা বিস্ময়চিহ্ন প্রয়োজন তা-ও দিতে হবে। তা না হলে উপরের অনুচ্ছেদের মতো নানা সমস্যায় পড়তে হবে। আমরা সহপাঠীর! মিলে তা সহজেই বুঝতে পারলাম।

যতিচিহ্নের কিছু উদাহরণ বুঝতে চেষ্টা করি

সহপাঠীদের সাথে আলোচনা করে নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজে বের করো।

  • কথা বলার সময় কি আমরা একটানা কথা বলি?

উত্তর: না, কথা বলার সময় আমরা একটানা কথা বলি না। আমরা বিশ্রাম নিয়ে থেমে থেমে কথা বলি।

  • একনাগাড়ে না বলে থেমে থেমে কথা বলি কেন?

উত্তর: আমরা একনাগাড়ে কথা না বলে থেমে থেমে কথা বলি অর্থবোধগম্যতার জন্য। কারণ একনাগাড়ে কথা বললে অর্থ-বিভ্রাট ঘটতে পারে। শ্রোতা ভুল তথ্য পেতে পারে বা কোনো বিষয়ে ভুল বুঝতে পারে।

  • সব কথা কি আমরা একই সুরে বলি?

উত্তর: না, আমরা সব কথা একই সুরে বলি না। কারণ কথা বলার সময় আমাদের সুরের ওঠা-নামার মধ্য দিয়ে বক্তব্যের মূ ল ভাব শ্রোতার কাছে স্পষ্ট হয়। কোনো শব্দ আমরা উচ্চ, মৃদু বা নিম্ন যেরে উচ্চারণ করি। আবার কোনো শব্দের ওপর অধিক ঝোঁক অথবা জোর প্রয়োগ করি শব্দের গুরুত্ব বোঝানোর জন্য। তাই এটি নিঃসন্দেহে বলা যায়; আমরা একই সুরে কথা বলি না।

  • লেখার সময়ে দাঁড়ি, কমা, প্রশ্নচিহ্ন ইত্যাদির প্রয়োজন হয় কেন?

উত্তর: লেখার সময় দাঁড়ি, কমা, প্রশ্নচিহ্ন ইত্যাদির প্রয়োজন হয় বাক্যের বিরতি বোঝাতে এবং মনের ভাব যথাযথরূপে প্রকাশ করার জন্য। যেমন: দাঁড়ি (।) ব্যবহার করলে বাক্যের সমাপ্তি বোঝায়। কমা (,) ব্যবহার করলে বাক্যটিতে অল্প বিরতি নেওয়া হয়েছে এবং বাক্যটি চলমান (এখনো শেষ হয়নি) এমনতর বোঝায়। আবার প্রশ্নচিহ্ন (?) ব্যবহার করলে বোঝায় বাক্যে কিছু জিজ্ঞাসা করা হয়েছে। মূলত বক্তার মনের ভাব পূর্ণরূপে শ্রোতার কাছে তুলে ধরার জন্য এবং বিরতি গ্রহণের জন্যই লেখার সময় আমরা দাঁড়ি, কমা ও প্রশ্নচিহ্ন ব্যবহার করি।

  • দাঁড়ি, কমা, প্রশ্নচিহ্ন ইত্যাদি চিহ্ন কী নামে পরিচিত?

উত্তর: দাড়ি, কমা, প্রশ্নচিহ্ন ইত্যাদি চিহ্ন যতিচিহ্ন নামে পরিচিত।

  • দাঁড়ি, কমা, প্রশ্নচিহ্নের মতো আর কী কী চিহ্ন তুমি চেনো?

উত্তর: দাঁড়ি (1), কমা (,), প্রশ্নচিহ্নের (?) মতো আরও যেসব যতিচিহ্ন আমি চিনি তা হচ্ছে- সেমিকোলন (;), বিস্ময়চিহ্ন (1), হাইফেন (-), ড্যাশ (-), কোলন (:), উদ্ধারচিহ্ন (”)।

আরো পড়ুনঃ পাকাপাকি ছড়া থেকে প্রশ্ন ও উত্তর | ৬ষ্ঠ শ্রেণির ৩য় অধ্যায় ২য় পরিচ্ছেদ

যতিচিহ্ন কাকে বলে?

মুখের কথাকে লিখিত রূপ দেওয়ার সময়ে কম-বেশি থামা বোঝাতে যেসব চিহ্ন ব্যবহৃত হয়, সেগুলোকে যতিচিহ্ন বলে। বক্তব্যকে স্পষ্ট করতেও কিছু যতিচিহ্ন ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

যতিচিহ্নের উদাহরণ: দাঁড়ি (1), কমা (,), সেমিকোলন (;), প্রশ্নচিহ্ন (?), বিস্ময়চিহ্ন (!) ইত্যাদি।

যতিচিহ্নের কি কি কাজ ?

প্রতিটি যতিচহ্নের বাক্য অনুযায়ী ব্যবহার রয়েছে। নিম্নে যতিচিহ্ন কি কি কাজ করে তা উল্লেখ করা হলো।

  • (১) দাঁড়ি (।): দাঁড়ি বাক্যের সমাপ্তি বোঝায়। যেমন- সে খেলার মাঠ থেকে বাড়ি ফিরল।
  • (২) কমা (,): একটু বিরতি বোঝাতে কমা ব্যবহার করা হয়। যেমন- আবার পছন্দের ফুল গোলাপ, বেলি, জুই আর হাসনাহেনা।
  • (৩) সেমিকোলন (;): ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্ক আছে এমন দুটি বাক্যের মাঝখানে সেমিকোলনের ব্যবহার হয়। যেমন- তিনি এলেন; তবে বেশিক্ষণ বসলেন না।
  • (৪) প্রশ্নচিহ্ন (?): সাধারণত কোনোকিছু জিজ্ঞাসা করার ক্ষেত্রে প্রশ্নচিহ্ন বসে। যেমন- সে কখন এসেছে?
  • (৫) বিস্ময়চিহ্ন (!): বিভিন্ন আবেগ বোঝাতে বিস্ময়চিহ্ন বসে। যেমন- বাহ! তুমি তো চমত্কার ছবি আঁকো।
  • (৬) হাইফেন (-): দুটি শব্দকে এক করতে অনেক সময় হাইফেন ব্যবহার করা হয়। যেমন- ভালো-মন্দ নিয়েই মানুষের জীবন।
  • (৭) ড্যাশ (-): এক বাক্যের ব্যাখ্যা পরের বাক্যে করা হলে দুই বাক্যের মাঝে ড্যাশ বসে। যেমন- তিনিই ভালো রাজা যিনি প্রজাদের কথা সবসময়ে ভাবেন।
  • (৮) কোলন (:): উদাহরণ উপস্থাপনের সময়ে কোলন বসে। যেমন- যোগাযোগের দুটি রূপ ভাষিক যোগাযোগ ও অভাষিক যোগাযোগ।
  • (৯) উদ্ধারচিহ্ন (”): কারো কথা সরাসরি দেখাতে উদ্ধারচিহ্ন বসে। যেমন- শিক্ষক বললেন, ‘তোমরা বড়ো হয়ে সিরাজউদ্দৌলা সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারবে।’

পড়তে পারেনঃ অর্থ বুঝে বাক্য লেখার নিয়ম | ৬ষ্ঠ শ্রেণি বাংলা ৩য় অধ্যায়

কোথায় কোন যতিচিহ্ন বসে

নিচ থেকে দেখে নিন যতিচিহ্ন বাক্যের কোথায় কোথায় বসে।

উদাহরণ দেওয়ার সময় কোলন (:)
এক বাক্যের ব্যাখ্যা পরের বাক্যে করা হলে দুই বাক্যের মাঝে ড্যাশ (-)
কারো কথা সরাসরি বোঝাতে উদ্ধারচিহ্ন (”)
কোনো বাক্যে যখন কিছু জিজ্ঞাসা করা হয় প্রশ্নচিহ্ন (?)
ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্ক আছে এমন দুটি বাক্যের মাঝখানে সেমিকোলন (;)
দুটি শব্দকে এক করতে হাইফেন (-)
বাক্যে বিভিন্ন ধরনের আবেগ বোঝাতে বিস্ময়চিহ্ন (!)
বাক্যের বিবরণ সাধারণভাবে শেষ হলে দাঁড়ি (।)
বাক্যের মধ্যে যখন একটু থামতে হয় কমা (,)

 

আরো দেখুনঃ সুখী মানুষ নাটকের ব্যাখ্যাসহ আলোচনা | ৬ষ্ঠ শ্রেণি বাংলা ২য় পরিচ্ছেদ

যতিচিহ্ন চর্চা করি

পরিচ্ছেদের শুরুতে দেওয়া অনুচ্ছেদটিতে এখন যতিচিহ্ন বসাও:

জানি কথাটি শুনলে তোমাদের কারো বিশ্বাস হবে না সেই লেখক একদিন বিকালে আমাদের বাড়িতে এসে হাজির তার হাতে অনেকগুলো নতুন বই আমি অবাক হয়ে বললাম আপনি কি আমাদের বাড়িতে এসেছেন তিনি আমার কথার জবাবে ছোটো করে বললেন হ্যাঁ আমি অনেকক্ষণ কোনো কথা বলতে পারছিলাম না শুধু তার হাতের বইগুলোর দিকে তাকিয়ে ছিলাম একসময়ে বললাম কিন্তু কেন তা কি জানতে পারি তিনি বললেন বারে তুমি বই পড়তে ভালোবাসো তাই বই নিয়ে এসেছি

উত্তর: যতিচিহ্ন বসিয়ে অনুচ্ছেদটি লেখা হলো:

জানি, কথাটি শুনলে তোমাদের কারো বিশ্বাস হবে না। সেই লেখক একদিন বিকালে আমাদের বাড়িতে এসে হাজির। তার হাতে অনেকগুলো নতুন বই। আমি অবাক হয়ে বললাম, ‘আপনি কি আমাদের বাড়িতে এসেছেন?’ তিনি আমার কথার জবাবে ছোটো করে বললেন, ‘হ্যাঁ।’ আমি অনেকক্ষণ কোনো কথা বলতে পারছিলাম না। শুধু তার হাতের বইগুলোর দিকে তাকিয়ে ছিলাম। একসময়ে বললাম, ‘কিন্তু কেন, তা কি জানতে পারি?’ তিনি বললেন, ‘বারে! তুমি বই পড়তে ভালোবাসো; তাই বই নিয়ে এসেছি।’

যতিচিহ্ন ব্যবহার করে অনুচ্ছেদ লিখি

একটি অনুচ্ছেদ লেখো যেখানে বিভিন্ন রকম যতিচিহ্নের ব্যবহার আছে।

……………………………………………………………….

……………………………………………………………….

……………………………………………………………….

আরো দেখুনঃ প্রমিত ভাষা যেভাবে শিখবেন | ৬ষ্ঠ শ্রেণি ১ম অধ্যায় ও পরিচ্ছেদ

উত্তর:

লোক: তোমরা কে ভাই? কী চাও?

হাসু: আমরা খুব দুঃখী মানুষ। তুমি কে?

লোক: আমি একজন সুখী মানুষ।

হাসু: অ্যাঁ। তোমার কোনো দুঃখ নাই?

লোক: না। সারা দিন বনে কাঠ কাটি। সেই কাঠ বাজারে বেচি। যা পাই, তাই দিয়ে চাল কিনি, ডাল কিনি। মনের সুখে খেয়ে-দেয়ে গান গাইতে গাইতে শুয়ে পড়ি। এক ঘুমেই রাত কাবার।

হাসু: বনের মধ্যে একলা ঘরে তোমার ভয় করে না? যদি চোর আসে?

লোক: চোর আমার কী চুরি করবে?

হাসু : তোমার সোনাদানা, জামাজুতা?

যতিচিহ্নের উপর অতিরিক্ত প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন-১। যতিচিহ্ন কাকে বলে?

উত্তর: মুখের কথাকে লিখিত রূপ দেওয়ার সময়ে কম-বেশি বিরতি বোঝাতে যেসব চিহ্ন ব্যবহৃত হয়, সেগুলোকে যতিচিহ্ন বলে।

প্রশ্ন-২। বক্তব্যকে স্পষ্ট করতে কোন চিহ্ন ব্যবহৃত হয়?

উত্তর: বক্তব্যকে স্পষ্ট করতে যতিচিহ্ন ব্যবহৃত হয়।

প্রশ্ন-৩। বাক্যের সমাপ্তি বোঝাতে কোন যতিচিহ্ন বসে?

উত্তর: বাক্যের সমাপ্তি বোঝাতে দাঁড়িচিহ্ন বসে।

প্রশ্ন-৪। বাক্যের একটু বিরতি বোঝাতে কোন যতিচিহ্ন ব্যবহৃত হয়?

উত্তর: বাক্যের একটু বিরতি বোঝাতে কমা ব্যবহৃত হয়।

প্রশ্ন-৫। ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্ক আছে এমন দুটি বাক্যের মাঝখানে কোন চিহ্ন ব্যবহৃত হয়?

উত্তর: ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্ক আছে এমন দুটি বাক্যের মাঝখানে সেমিকোলন ব্যবহৃত হয়।

প্রশ্ন-৬। সাধারণত কোনোকিছু জিজ্ঞাসাকরার ক্ষেত্রে কোন চিহ্ন বসে?

উত্তর: সাধারণত কোনোকিছু জিজ্ঞাসা করার ক্ষেত্রে প্রশ্নচিহ্ন বসে।

প্রশ্ন-৭। বিস্ময়চিহ্ন কখন বসে?

উত্তর: বাক্যে বিভিন্ন আবেগ প্রকাশের সময় বিস্ময়চিহ্ন বসে।

প্রশ্ন-৮। দুটি শব্দকে এক করতে কোন চিহ্ন ব্যবহার করতে হয়? উত্তর: দুটি শব্দকে এক করতে হাইফেন ব্যবহার করতে হয়।

প্রশ্ন-৯। একটি বাক্যের ব্যাখ্যা অপর বাক্যে করা হলে দুটি বাক্যের মাঝে কোন চিহ্ন বসে?

উত্তর: একটি বাক্যের ব্যাখ্যা অপর বাক্যে করা হলে মাঝে ড্যাশচিহ্ন বসে। ৰ ৰাকো ব হলে দুটি বাক্যের

প্রশ্ন-১০। কোনো উদাহরণ উপস্থাপনের সময় ব্যবহৃত হয় কোন চিহ্ন?

উত্তর: কোনো উদাহরণ উপস্থাপনের সময় কোলন ব্যবহৃত হয়।

প্রশ্ন-১১। কারও কথা সরাসরি উপস্থাপন করতে হলে কোন চিহ্ন ব্যবহার করতে হবে?

উত্তর: কারও কথা সরাসরি উপস্থাপন করতে হলে উদ্ধারচিহ্ন ব্যবহার করতে হবে।

প্রশ্ন-১২। দাঁড়িচিহ্ন বাক্যের কোথায় বসে?

উত্তর: দাঁড়িচিহ্ন বাক্যের শেষে বা সমাপ্তিতে বসে।

প্রশ্ন-১৩। বাক্যে সেমিকোলন কোথায় বসে?

উত্তর: সেমিকোলন বসে দুটি বাক্যের মাঝখানে।

প্রশ্ন-১৪। আবেগ প্রকাশক চিহ্ন কোনটি?

উত্তর: আবেগ প্রকাশক চিহ্ন হচ্ছে বিস্ময়চিহ্ন।

প্রশ্ন-১৫। হাইফেন কোথায় ব্যবহৃত হয়? উত্তর: দুটি শব্দকে এক করতে হাইফেন ব্যবহৃত হয়।

যতিচিহ্ন থেকে নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নোত্তর

১. বাক্যে সমাপ্তি বোঝাতে কোন চিহ্ন বসে?

ক) দাঁড়ি

খ) হাইফেন

গ) কমা

ঘ) ড্যাশ

উ. ক

২. আমার পছন্দের ফুল বেলি, গোলাপ, জুঁই ও রজনীগন্ধা। এখানে কোন যতিচিহ্ন ব্যবহূত হয়েছে?

ক) প্রশ্নচিহ্ন

খ) হাইফেন

গ) বিস্ময়চিহ্ন

ঘ) কমা

উ. ঘ

৩. ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বোঝাতে দুটি বাক্যের মাঝখানে কোন চিহ্ন বসে?

ক) দাঁড়ি

খ) সেমিকোলন

গ) কমা

ঘ) কোলন

উ. খ

৪. নিচের কোনটি সেমিকোলন চিহ্ন?

ক) ,

খ) :

গ) ।

ঘ) ;

উ. ঘ

৫. ‘তিনি এলেন, তবে বেশিক্ষণ বসলেন না।’-এখানে কোন চিহ্নের, ব্যবহার হয়েছে?

ক) কমাচিহ্ন

খ) বিস্ময়চিহ্ন

গ) প্রশ্নচিহ্ন

ঘ) কোলনচিহ্ন

উ. ক

৬. সাধারণত কোনো কিছু জিজ্ঞাসা করতে হলে কোন চিহ্ন বসে?

ক) কমা

খ) প্রশ্ন

গ) দাঁড়ি

ঘ) বিস্ময়

উ. খ

৭. বাক্যে আবেগ প্রকাশ করতে কোন চিহ্নের ব্যবহার করতে হয়?

ক) দাঁড়ি

খ) সেমিকোলন

গ) বিস্ময়

ঘ) কমা

উ. গ

৮. নিচের কোন চিহ্নটি হাইফেন চিহ্ন?

ক) !

খ) –

গ) :

ঘ) ;

উ. খ

৯. বাহ। তুমি তো চমৎকার ছবি এঁকেছো।- এখানে ‘বাহ।’ শব্দে কোন চিহ্ন ব্যবহৃত হয়েছে?

ক) দাঁড়ি

খ) বিস্ময়

গ) সেমিকোলন

ঘ) কোলন

উ. খ

১০. দুটি শব্দকে এক করতে কোন চিহ্ন ব্যবহার করতে হবে?

ক) সেমিকোলন

খ) হাইফেন

গ) কোলন

ঘ) ড্যাশ

উ. খ

১১. ভালো-মন্দ নিয়েই মানুষের জীবন।- এখানে ‘ভালো-মন্দ’ শব্দের মাঝে কোন চিহ্ন বসেছে?

ক) প্রশ্নচিহ্ন

খ) কোলন

গ) সেমিকোলন

ঘ) হাইফেন

উ. ঘ

১২. নিচের কোনটি হাইফেন চিহ্ন?

ক) –

খ) ।

গ) ,

ঘ) :

উ. ক

১৩. একটি বাক্যের ব্যাখ্যা পরের বাক্যে করা হলে ব্যবহৃত হয়-

ক) কোলনচিহ্ন

খ) সেমিকোলন

গ) ড্যাশচিহ্ন

ঘ) দাঁড়িচিহ্ন

উ.  গ

১৪. কোনো উদাহরণ উপস্থাপনের সময় কোন চিহ্ন বসে?

ক) দাঁড়িচিহ্ন

খ) কমাচিহ্ন

গ) সেমিকোলন

ঘ) কোলনচিহ্ন

উ. ঘ

১৫. কারও কথা সরা সরি বাক্যে প্রয়োগের ক্ষেত্রে বসে-

ক) সেমিকোলন

খ) কোলনচিহ্ন

গ) উদ্ধারচিহ্ন

ঘ) হাইফেন

উ. গ

১৬. নিচের কোনটি কোলন চিহ্ন?

ক) :

খ) –

গ) !

ঘ) ;

উ. ক

১৭. তুমি কখন এসেছো?- বাক্যে কোন চিহ্ন বসেছে?

ক) দাঁড়ি

খ) কমা

গ) বিস্ময়

ঘ) প্রশ্ন

উ. ঘ

বাক্য কাকে বলে ও কি কি?

নিচের বাক্যগুলো পড়ো এবং বাক্যগুলোতে সাধারণভাবে কী অর্থ প্রকাশ পাচ্ছে তার উল্লেখ করো।

১. আমি বাজারে যাচ্ছি।

২. তুমি কোথায় যাচ্ছ?

৩. তুমি বাজারে যাও।

৪. ওরে বাবা! কত বড়ো বাজার!

উত্তর:

প্রদত্ত বাক্য অর্থ
১. আমি বাজারে যাচ্ছি। একটি সাধারণ বক্তব্য বোঝানো হচ্ছে
২. তুমি কোথায় যাচ্ছ? জানতে চাওয়া হচ্ছে।
৩. তুমি বাজারে যাও। নির্দেশ বোঝানো হচ্ছে।
৪. ওরে বাবা! কত বড়ো বাজার। অবাক হয়েছে এমন অনুভূতি বোঝানো হচ্ছে।

 

গঠন অনুসারে বাক্য কত প্রকার ও কি কি উদাহরণ সহ?

যে কোনো বাক্যই কোনো না কোনো অর্থ প্রকাশ করে। বেশিরভাগ বাক্যে সাধারণভাবে কোনো বিবরণ দেওয়া হয়। এছাড়া কোনো কোনো বাক্য দিয়ে আমরা প্রশ্ন বোঝাই, কোনো কোনো বাক্য দিয়ে আদেশ-অনুরোধ বোঝাই এবং কোনো কোনো বাক্যের মধ্য দিয়ে আমাদের বিস্ময় প্রকাশ পায়।

  • ১. বিবৃতিমূলক বাক্য: সাধারণভাবে কোনো বিবরণ প্রকাশ পায় যেসব বাক্যে, সেগুলোকে বিবৃতিবাচক বাক্য বলে। যেমন- আগামীকাল স্কুলে একজন বিশেষ অতিথি আসবেন।
  • ২. প্রশ্নবাচক বাক্য: কারো কাছ থেকে কিছু জানার জন্য যেসব বাক্য বলা হয় বা লেখা হয়, সেগুলোকে প্রশ্নবাচক বাক্য বলে। যেমন- তুমি কি জানো কাল কে আসবেন স্কুলে?
  • ৩. অনুজ্ঞাবাচক বাক্য: আদেশ, নিষেধ, অনুরোধ, প্রার্থনা ইত্যাদি বোঝাতে অনুজ্ঞাবাচক বাক্য হয়। যেমন- তোমরা সবাই কাল স্কুলে উপস্থিত থাকার চেষ্টা করো।
  • ৪. ‘আবেগবাচক বাক্য: কোনোকিছু দেখে বা শুনে অবাক হয়ে যে ধরনের বাক্য তৈরি হয়, সেগুলোকে আবেগবাচক বাক্য বলে। যেমন- দারুণ! তুমি সময়মতো আসতে পেরেছ।

বাংলা বাক্য তৈরি কর

‘সুখী মানুষ’ নাটকটি থেকে চার ধরনের বাক্য খুঁজে বের করো।

১. বিবৃতিবাচক বাক্য: …………………………………………………………….

২. প্রশ্নবাচক বাক্য: …………………………………………………………….

৩. অনুজ্ঞাবাচক বাক্য: …………………………………………………………….

৪. আবেগবাচক বাক্য: …………………………………………………………….

উত্তর:

১. বিবৃতিবাচক বাক্য:

  • (ক) কী তাজ্জব কথা, পাঁচ গ্রামে একজনও সুখী মানুষ পেলাম না।
  • (খ) এ তো খুব সোজা ওষুধ।
  • (গ) সোজা নয় খুব কঠিন কাজ।
  • (ঘ) জামা এনে দাও, হাজার টাকা বখশিশ দেবো।

২. প্রশ্নবাচক বাক্য:

  • (খ) ও কবিরাজা, নাড়ি কী বলছে?
  • (ক) তোমরা কে ভাই?
  • (গ) মোড়ল তুমি কি আর কোনো দিন মিথ্যা কথা বলবে?
  • (ঘ) কী করতে হবে?

৩. অনুজ্ঞাবাচক বাক্য:

  1. ক) বেরিয়ে এসো।
  2. খ) আমাকে সুখ এনে দাও।
  3. গ) গ্রামাকে বাঁচাও
  4. ঘ) যাও, সুখী মানুষকে খুঁজে দেখো

৪. ‘আবেগবাচক বাক্য:

  • ক) আমার কত টাকা, কত বড়ো বাড়ি!
  • খ) চুপ চুপ। ঘরের মধ্যে কে যেন কথা বলছে।
  • গ) অ্যা! তোমার কোনো দুঃখ নাই।
  • ঘ) আমার তো কোনো জামা নেই ভাই।

বাংলা শব্দ দিয়ে বাক্য গঠন

বিবৃতিবাচক, প্রশ্নবাচক, অনুজ্ঞাবাচক ও আবেগবাচক- এই চার ধরনের বাকা ব্যবহার করে একটি অনুচ্ছেদ লেখো।

………………………………………………………………………………………………….

………………………………………………………………………………………………….

………………………………………………………………………………………………….

উত্তর: মতিন বলল, ব্রিজাতি কাপে বাংলাদেশ জিতবে দেখে নিয়ো।’ এ কথা শুনে আরিফ বলল, ‘তোর আগের কথা মনে নেই? শেষমেষ দেখবি তীরে এসে তরি ডুববে মতিন বলল, ‘না এমন কথা বলিস না। বাংলাদেশ দল এখন আগের থেকে অনেক পরিত এবার ভালো কিছু আশা করতেই পারি।’ এর মধ্যেই মতিনের মা এসে ঘরে ঢুকে বললেন, ‘অনেক গল্প হয়েছে, এবার পড়তে বসো আগামীকাল না তোমার অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে হবে। তৈরি হয়েছে?’ মতিন কাচুমাচু হয়ে বলল ‘না মা, তৈরি হয়নি ‘শুনে মা বললেন, ‘হায়। হায়’ বাছাবলে কী?

এক্ষুনি পড়তে বসো’ আরিফের দিকে তাকিয়ে মা বললেন, ‘সারা দিন খেলা খেলা। এত খেলা খেলা করে কি হবে শুনি? যাও, বাসায় গিয়ে পড়তে বসো খবরদার! পড়া শেষ না করে খেলতে যাবে না। আর হ্যাঁ, আরিফ তোমার মাকে একবার আসতে বলো।’

বাক্যের উপর সাধারণ প্রশ্নোত্তর

প্রশ্ন-১। যে-কোনো বাকাই কোনো না কোনো কী প্রকাশ করে? উত্তর: যে-কোনো বাকাই কোনো না কোনো অর্থ প্রকাশ করে।

প্রশ্ন-২। বেশিরভাগ বাকো সাধারণভাবে কী দেওয়া হয়?

উত্তর: বেশিরভাগ বাক্যে সাধারণভাবে কোনো বিবরণ দেওয়া হয়।

প্রশ্ন-৩ একটি বাক্যে কী কী প্রকাশ পেয়ে থাকে?

উত্তর: একটি বাক্যে কখনো প্রশ্ন, কখনো আদেশ-অনুরোধ কিংবা বিস্ময় এবং আবেগ প্রকাশ পেয়ে থাকে।

প্রশ্ন-৪। বক্তব্যের লক্ষ্য অনুযায়ী বাক্যকে কয় ভাগে ভাগ করা যায়? উত্তর: বক্তব্যের পশ্চা অনুযায়ী রাকাকে চার ভাগে ভাগ করা যায়।

প্রশ্ন-৫। বিবৃতিবাচক বাক্য কাকে বলে?

উত্তর: যেসব বাক্যে সাধারণভাবে কোনো বিবরণ প্রকাশ পায়, সেগুলোকে বিবৃতিবাচক বাক্য বলে।

প্রশ্ন-৬। প্রশ্নবাচক বাক্য কাকে বলে?

উত্তর: কারও কাছ থেকে কোনো কিছু জানার জন্য যেসব বাকা বলা বা লেখা হয়, সেগুলোকে প্রশ্নবাচক বাক্য বলে

প্রশ্ন-৭। অনুজ্ঞাবাচক বাক্য কাকে বলে?

উত্তর: আদেশ, নিষেধ, অনুরোধ, প্রার্থনা ইত্যাদি বোঝাতে যেসব বাক্য বলা বা লেখা হয়, সেগুলোকে অনুজ্ঞাবাচক বাক্য বলে।

প্রশ্ন-৮। আবেগবাচক বাক্য কাকে বলে?

উত্তর: কোনোকিছু দেখে বা শুনে অবাক হয়ে যে ধরনের বাক্য তৈরি হয়, সেগুলোকে আবেগবাচক বাকা বলে

প্রশ্ন-৯। ‘ওরে বাবা! কত বড়ো বাজার! এটি কোন ধরনের বাক্য?

উত্তর: ‘ওরে বাবা কত বড়ো বাজার।- এটি আবেগবাচক বাক্য।

বাক্যের উপর নৈর্বাক্তিক প্রশ্নোত্তর

১. বেশিরভাগ বাক্যে সাধারণভাবে কী দেওয়া হয়?

ক) বিবরণ

খ) আবেগ

গ) অনুজ্ঞা

ঘ) অর্থ

উ. ক

২. বক্তব্যের লক্ষ্য অনুযায়ী বাক্যকে কত ভাগে ভাগ করা যায়?

ক) দুই

খ) তিন

গ) চার

ঘ) পাঁচ

উ. গ

৩. ‘আমি বাজারে যাচ্ছি। এটি কোন ধরনের বাক্য?

ক) বিবৃতিবাচক

খ) প্রশ্নবাচক

গ) আবেগবাচক

ঘ) অনুজ্ঞাবাচক

উ. ক

৪. ‘তুমি কোথায় যাচ্ছো?’- এটি কোন ধরনের বাক্য?

ক) বিবৃতিবাচক

খ) প্রশ্নবাচক

গ) আবেগবাচক

ঘ) অনুজ্ঞাবাচক

উ. খ

৫. আদেশ, নিষেধ, অনুরোধ, প্রার্থনা ইত্যাদি বোঝায় কোন ধরনের বাক্যে?

ক) বিবৃতিবাচক

খ) প্রশ্নবাচক

গ) অনুজ্ঞাবাচক

ঘ) আবেগবাচক

উ. গ

৬. বাহ! কী সুন্দর ফুল। এটি কোন ধরনের বাক্য?

ক) বিবৃতিবাচক

খ) প্রশ্নবাচক

গ) আবেগবাচক

ঘ) অনুজ্ঞাবাচক

উ. গ

বাক্য নিয়ে অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর

  • দাঁড়ি বাক্যের- সমাপ্তি বোঝায়।
  • একটু বিরতি বোঝাতে- কমা বসে।
  • বিভিন্ন আবেগ বোঝীতে- বিস্ময়চিহ্ন বসে।
  • দুটি শব্দকে এক করতে- হাইফেন এসে।
  • উদাহরণ উপস্থাপনের সময়- কোলন বসে। -কোলন
  • বক্তব্যের লক্ষ্য অনুযায়ী বাক্য- চার প্রকার।
  • কোনো বিবরণ প্রকাশ পায়- বিবৃতিবাচক বাকে।
  • কারো কাছ থেকে কিছু জানতে- প্রশ্নচিহ্ন বসে।
  • অনুজ্ঞাবাচক বাক্য হয়- আদেশ, নিষেধ, অনুরোধ, প্রার্থনা ইত্যাদি বোঝাতে।
Visited 3,689 times, 1 visit(s) today

Leave a Comment