পাকাপাকি ছড়া থেকে প্রশ্ন ও উত্তর | ৬ষ্ঠ শ্রেণির ৩য় অধ্যায় ২য় পরিচ্ছেদ

হ্যালো বন্ধুরা, আজ আমি আপনাদের জন্য ৬ষ্ঠ শ্রেণির ৩য় অধ্যায়ের বিখ্যাত লেখক সুকুমার রায় পাকাপাকি ছড়া থেকে বিস্তারিত আলোচনা করব।

পাকাপাকি ছড়া থেকে প্রশ্ন ও উত্তর | ৬ষ্ঠ শ্রেণির ৩য় অধ্যায় ২য় পরিচ্ছেদ
পাকাপাকি ছড়া থেকে প্রশ্ন ও উত্তর | ৬ষ্ঠ শ্রেণির ৩য় অধ্যায় ২য় পরিচ্ছেদ

 

পাকাপাকি ছড়া থেকে প্রশ্ন ও উত্তর

একটি শব্দের অনেক রকম অর্থ থাকতে পারে। বাক্যে প্রয়োগের ওপর শব্দের অর্থ নির্ভর করে। নিচের ছড়াটি পড়ো। এটি সুকুমার রায়ের লেখা। তিনি একজন বিখ্যাত ছড়াকার। তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত ছড়ার বইয়ের নাম ‘আবোল তাবোল’। নিচের ছড়াটি সুকুমার রায়ের ‘খাই খাই’ নামের ছড়ার বই থেকে নেওয়া হয়েছে। ছড়াটি পড়ার সময়ে ‘পাকা’ শব্দটি কত অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে খেয়াল করো।

আরো পড়ুনঃ অর্থ বুঝে বাক্য লেখার নিয়ম | ৬ষ্ঠ শ্রেণি বাংলা ৩য় অধ্যায়

অর্থ বুঝে বাক্য লেখার নিয়ম ৬ষ্ঠ শ্রেণি বাংলা ৩য় অধ্যায়
অর্থ বুঝে বাক্য লেখার নিয়ম ৬ষ্ঠ শ্রেণি বাংলা ৩য় অধ্যায়

পাকাপাকি

সুকুমার রায়

কবি-পরিচিতি (Biography)

নাম: সুকুমার রায়

পিতা: উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরী।

জন্ম : ৩০শে অক্টোবর, ১৮৮৭ খ্রিষ্টাব্দ, কলকাতা। তাঁর আদি পৈতৃক নিবাস- ময়মনসিংহ (কিশোরগঞ্জ) জেলার মসুয়া গ্রাম।

শিক্ষাজীবনঃ কলকাতা সিটি স্কুল থেকে এন্ট্রান্স পাস করেন। কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে রসায়ন ও পদার্থবিজ্ঞানে বি.এসসি ডিগ্রি অর্জন। ম্যাঞ্চেস্টার স্কুল অব টেকনোলজি থেকে এফ. আর. পি. এস ডিগ্রি লাভ।

পেশা/কর্মজীবন: পিতার ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে যোগদান। ‘মানডে ক্লাব’ প্রতিষ্ঠা। ‘সন্দেশ’ পত্রিকা সম্পাদনা। তিনি ছিলেন সুগায়ক ও অভিনেতা।

সাহিত্যসাধনা : আবোল-তাবোল, হযবরল, পাগলা দাশু, খাই খাই, বহুরূপী ইত্যাদি শিশুতোষ গ্রন্থ।

মৃত্যু : ১৯২৩ খ্রিষ্টাব্দ, কলকাতা।

পাকাপাকি ছড়া

আম পাকে বৈশাখে কুল পাকে ফাগুনে,

কাঁচা ইট পাকা হয় পোড়ালে তা আগুনে।

রোদে জলে টিকে রং, পাকা কই তাহারে;

ফলারটি পাকা হয় লুচি দই আহারে।

হাত পাকে লিখে লিখে, চুল পাকে বয়সে,

জ্যাঠামিতে পাকা ছেলে বেশি কথা কয় সে।

লোকে কয় কাঁঠাল সে পাকে নাকি কিলিয়ে?

বুদ্ধি পাকিয়ে তোলে লেখাপড়া গিলিয়ে!

কান পাকে ফোড়া পাকে, পেকে করে টনটন-

কথা যার পাকা নয়, কাজে তার ঠনঠন।

রাঁধুনি বসিয়া পাকে পাক দেয় হাঁড়িতে,

সজোরে পাকালে চোখ ছেলে কাঁদে বাড়িতে।

পাকায়ে পাকায়ে দড়ি টান হয়ে থাকে সে।

দুহাতে পাকালে গোঁফ তবু নাহি পাকে সে।

✔পাঠসংক্ষেপ (Summary)

‘পাকাপাকি’ কবিতায় পাকা বা দক্ষ বিষয়ক নানা কথা বলেছেন। বিভিন্ন উপমা এখানে ব্যক্ত করেছেন। বৈশাখে আম পাকে, ফাগুনে কুল পাকে, আগুনে পোড়ালে কাঁচা ইট পাকা হয়, রোদে জলে রং পাকা হয়। লুচি দই আহারে পাকা কলা ভালো হয়। হাতের লেখা পাকা হয় লিখতে লিখতে, বয়সে চুল পাকে। কিন্তু কম বয়সি ছেলে বড়দের মতো কথা বলে। কিলিয়ে কাঁঠাল পাকানো যায়, লেখাপড়া গিলিয়ে বুদ্ধি পাকানো যায়। কান পাকে, ফোঁড়া পাকে, আবার কথায় পাকা না হলেও কেউ কেউ কাজে ঠন ঠন দেখায়। রাঁধুনি পাক দেয় হাঁড়িতে, চোখ পাকালে কেউ ভয়ে কেঁদে ফেলে। গোঁফ দু’হাতে পাকালেও তাকে পাকা বলা হয় না।

শব্দের অর্থ (Word Note)

আহার: ভোজন।

কিলানো: খিল বা গোঁজা ঢুকানো।

কুল: ফলের নাম।

গোঁফ: নাকের নিচে গজানো লোম।

জ্যাঠামি: অল্প বয়সে বেশি বয়সের মতো আচরণ।

দড়ি: রশি।

ফলার: ভাত ছাড়া নিরামিষ খাবার।

ফাগুন: ফাল্গুন।

ফোড়া: চামড়ার নিচে ফুলে ওঠা ঘা।

রাঁধুনি: যে রান্না করে।

লুচি: ভিতরে ফাঁপা ছোটো পরোটা।

সজোরে : খুব জোরে।

উপরের কবিতায় ‘পাকা’ শব্দ কত ভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে তার তালিকা করো।

উত্তর:

বাক্যে প্রয়োগ ‘পাকা’ শব্দের অর্থ
আম পাকে বৈশাখে কুল পাকে ফাগুনে পরিপক্ক
কাঁচা ইট পাকা হয় পোড়ালে তা আগুনে মজবুত, শক্ত
রোদে জলে টিকে রং, পাকা কই তাহারে টেকসই, স্থায়ী
ফলারটি পাকা হয় লুচি দই আহারে উৎকৃষ্ট, পরিপূর্ণ
হাত পাকে লিখে লিখে দক্ষ
চুল পাকে বয়সে সাদা হওয়া, শুভ্র
জ্যাঠামিতে পাকা ছেলে বেশি কথা কয় সে পটু
কাঁঠাল সে পাকে নাকি কিলিয়ে পরিপক্ক
বুদ্ধি পাকিয়ে তোলে লেখাপড়া গিলিয়ে পরিণত, ঝানু
কান পাকে ফোড়া পাকে পুঁজ হওয়া
কথা যার পাকা নয় কাজে তার ঠনঠন স্থায়ী, অটল
রাঁধুনি বসিয়া পাকে পাক দেয় হাঁড়িতে রান্না করা
সজোরে পাকালে চোখ ছেলে কাঁদে রাগান্বিত
পাকায়ে পাকায়ে দড়ি টান হয়ে থাকে সে পেঁচিয়ে রাখা, মোচড়ানো
দুহাতে পাকালে গোঁফ তবু নাহি পাকে সে তা দেওয়া

 

 পাকাপাকি ছড়ায় মুখ্য অর্থ ও গৌণ অর্থ

একটি শব্দ শোনার সাথে সাথে মনে যে ছবি বা ধারণা জেগে ওঠে, সেটাকে ওই শব্দের মুখ্য অর্থ বলে। যেমন- ‘মাথা’ শব্দটি শোনার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের উপরের যে অংশের ছবি মনে ভেসে ওঠে, সেটাই মাথা শব্দের মুখ্য অর্থ।

কোনো শব্দের মুখ্য অর্থের পাশাপাশি এক বা একাধিক গৌণ অর্থ থাকতে পারে। যেমন- ‘মেয়েটির মাথা ভালো বললে মেধা বা বুদ্ধিকে বোঝায়। আবার যদি বলা হয় ‘রাস্তার মাথায় যাও’, তবে মাথা বলতে রাস্তার শেষ প্রান্তকে বোঝায়।

আরো দেখুনঃ প্রমিত ভাষা যেভাবে শিখবেন | ৬ষ্ঠ শ্রেণি ১ম অধ্যায় ও পরিচ্ছেদ

নিচে কয়েকটি শব্দের মুখ্য অর্থ ও একাধিক গৌণ অর্থের প্রয়োগ দেখানো হলো।

কথা মুখ্য অর্থ মুখের ভাষা তাঁর কথা শুনতে ভালো লাগে।
গৌণ অর্থ ১ প্রস্তাব তোমার কথা আমি মানতে রাজি।
গৌণ অর্থ ২ তিরস্কার ওর জন্য আমাকে কথা শুনতে হলো।
কাজ মুখ্য অর্থ কর্ম ভালো কাজের জন্য ভালো পুরস্কার আছে।
গৌণ অর্থ ১ কর্তব্য তোমার কাজ পড়াশোনা করা।
গৌণ অর্থ ২ সমাধান ওর কাছে গেলে কাজ হবে।
পাগল মুখ্য অর্থ মানসিক রোগী পাগল হয়ে সে এখন পথে পথে ঘুরছে।
গৌণ অর্থ ১ মুগ্ধ ভাটিয়ালি গানের পাগল করা সুরে মন ভরে যায়।
গৌণ অর্থ ২ অনুরাগী  তিনি কাজ পাগল মানুষ।
বড়ো মুখ্য অর্থ বৃহৎ বড়ো আমগাছটার নিচে তাকে দেখতে পাবে।
গৌণ অর্থ ১ বেশি বয়সের ওর কথা বলছ? ও আমার বড়ো ভাই।
গৌণ অর্থ ২ উদার তিনি অনেক বড়ো মনের মানুষ।
শেষ মুখ্য অর্থ সমাপ্ত কাজটি গতকাল শেষ করেছি।
গৌণ অর্থ ১ ধ্বংস আগুনে পুড়ে বাড়িটি শেষ হয়ে গেল।
গৌণ অর্থ ২ প্রান্ত পথের শেষে চেয়ারম্যান সাহেবের বাড়ি।
মুখ মুখ্য অর্থ মুখের গর্ত দাদা মুখে পান পুরে কথা বলা শুরু করলেন।
গৌণ অর্থ ১ মুখমণ্ডল সে মুখে পাউডার দিচ্ছে।
গৌণ অর্থ ২ প্রবেশ পথ গলির মুখে রিকশাটা দাঁড়াল।

 

অর্থ বুঝে বাক্য লিখি

অর্থ বুঝে বাক্য লেখার নিয়ম জানতে এই পোস্ট পড়ুন। নিচের শব্দগুলো ব্যবহার করে মুখ্য অর্থ এবং এক বা একাধিক গৌণ অর্থের প্রয়োগ দেখাও।

উত্তর:

মাথা মুখ্য অর্থ মস্তক তার মাথায় অনেক চুল।
গৌণ অর্থ ১ পরিশ্রম শ্রমিকরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে রোজগার করে।
গৌণ অর্থ ২ বুঝতে পারা অঙ্কটি আমার মাথায় ঢুকছে না।
হাঁত মুখ্য অর্থ বাহু/ভুজ/হস্ত আমরা হাত দিয়ে সকল কাজ সম্পাদন করি।
গৌণ অর্থ ১ বশবর্তী জাফর শফিককে হাত করেছে।
গৌণ অর্থ ২ প্রহার করা বাচ্চাদের গায়ে হাত ওঠাতে নেই।
কাঁচা মুখ্য অর্থ অপক্ক আমটি কাঁচা হলেও বেশ মিঠে।
গৌণ অর্থ ১ অপূর্ণ আমার কাঁচা ঘুমটি ভাঙলে কেন?
গৌণ অর্থ ২ দুর্বল ছেলেটি অঙ্কে কাঁচা।
কাটা মুখ্য অর্থ কর্তন/ছেদন করা গাছ কাটা মোটেও ভালো কাজ নয়।
গৌণ অর্থ ১ চুরি পরের ঘাঁট কাটা ওর স্বভাব।
গৌণ অর্থ ২ ছন্দপতন তাল কাটা গান শুনতে ভালো লাগে নাকি?
চোখ মুখ্য অর্থ দর্শন ইন্দ্রিয় আমরা চোখ দিয়ে দেখি।
গৌণ অর্থ ১ রোগ রফিক চোখ ওঠার কারণে অনেক কষ্টে আছে।
গৌণ অর্থ ২ ভয় দেখানো আমাকে চোখ রাঙিয়ে লাভ হবে না।
কান মুখ্য অর্থ শ্রবণ অঙ্গ নোভা কানে দুল পরেছে।
গৌণ অর্থ ১ মনোযোগ আমার কথায় কান দাও।
গৌণ অর্থ ২ নির্লজ্জ সানুর মতো কানকাটা লোক আর দেখিনি।

 

অন্যের বাক্যের সঙ্গে আমার বাক্যগুলো মিলিয়ে দেখেছি। এগুলো যথার্থ হয়েছে।

প্রতিশব্দ

রাত, কবুতর, আকাশ, চোখ, সংবাদ, বাড়ি, বাসনা, হাওয়া, ললাট, ভাগ্য, কপোত, খুশি, গগন, হর্ষ, ভবন, আনন্দ, ইচ্ছা, কপাল, ঘর, বাতাস, পায়রা, রজনি, নয়ন, রাত্রি, আকাঙ্ক্ষা, নেত্র, বায়ু, বার্তা, খবর, আসমান।

আরো পড়ুনঃ যেভাবে পরিস্থিতি অনুযায়ী যোগাযোগ করবেন | ব্যাখ্যাসহ সমাধান 2024 | ৬ষ্ঠ শ্রেণি বাংলা ১ম অধ্যায়

উপরের শব্দ থেকে একই রকম অর্থ প্রকাশ করে এমন শব্দগুলো আলাদা করো। একটি করে দেখানো হলো।

উত্তর:

১. রাত রাত্রি রজনি
২. কবুতর কপোত পায়রা
৩. আকাশ গগন আসমান
৪. চোখ নেত্র নয়ন
৫. সংবাদ বার্তা খবর
৬. বাড়ি ঘর ভবন
৭. বাসনা ইচ্ছা আকাঙ্ক্ষা
৮. হাওয়া বাতাস বায়ু
৯. ললাট ভাগ্য কপাল
১০ খুশি হর্ষ আনন্দ

 

পাকাপাকি ছড়া থেকে প্রতিশব্দ শিখি

একটা শব্দকে অন্য শব্দ দিয়েও প্রকাশ করা যায়। যেমন- ‘আকাশ’ না বলে ‘আসমান’ বা ‘গগন’ বলা যায়। যেসব শব্দের অর্থ অনুরূপ বা প্রায় সমান, সেসব শব্দকে প্রতিশব্দ বলে। নিচে কিছু শব্দের প্রতিশব্দ দেওয়া হলো।

অনেক : বেশি, বহু, প্রচুর, অধিক, অত্যন্ত।

আগুন : অগ্নি, অনল, বহ্নি।

কন্যা : মেয়ে, দুহিতা, ঝি।

তৈরি : গঠন, নির্মাণ, গড়া, বানানো, প্রস্তুত।

দেহ: শরীর, গা, গাত্র, তনু, অঙ্গ।

নারী :মানবী, মহিলা, স্ত্রীলোক

পর্বত : পাহাড়, অদ্রি, গিরি

পানি : জল, সলিল, , নীর, বারি

পুত্র : ছেলে, দুলাল, কুমার।

পৃথিবী : জগৎ, ভুবন, দুনিয়া, বিশ্ব, ধরণি।

বন : অরণ্য, জঙ্গল, কানন, বনানী।

সমুদ্র : সাগর, সিন্ধু, পাথার।

সাপ : সর্প, অহি, ফণী, নাগ, ভুজঙ্গ।

সূর্য : রবি, তপন, অরুণ।

হাত : হস্ত, কর, বাহু, ভুজ।

প্রতিশব্দ বসিয়ে আবার লিখি

নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ো। এরপর এখানকার অন্তত দশটি শব্দের বদল ঘটিয়ে অনুচ্ছেদটি নতুন করে লেখো।

আমার ছোটো মামা শহরে থাকেন। একদিন খবর পেলেন, রূপখালী গ্রামে লোকেরা একটা নতুন স্কুল খুলবে। তাঁর ইচ্ছা হলো, তিনিও এই কাজের সাথে যোগ দেবেন। তাই এক অন্ধকার রাতে তিনি ব্যাগপত্র গুছিয়ে রওনা দিলেন। অনেক দূরের পথ। বাসে করেই তাঁকে রওনা দিতে হলো। বাস থেকে যখন নামলেন, তখন সকাল হয়ে গেছে। পূর্ব আকাশে সূর্য উঠেছে লাল রঙের। ছোটো মামার মনে হলো, এবার তিনি সত্যিই একটা ভালো কাজ করতে পারবেন।

……………………………………………………………………………………..

……………………………………………………………………………………..

……………………………………………………………………………………..

উত্তর: আমার কনিষ্ঠ মামা নগরে থাকেন। একদিন সংবাদ পেলেন, রূপখালী গাঁয়ে মানুষ একটি নুতন বিদ্যালয় চালু করবে। তাঁর সাধ হলো, তিনিও এই কর্মের সঙ্গে যুক্ত হবেনসেজন্য এক আঁধার রজনিতে তিনি ব্যাগপত্র গুছিয়ে রওয়ানা দিলেন। বহু দূরের রাস্তাগাড়িতে করেই তাঁকে রওয়ানা দিতে হলো। গাড়ি থেকে যখন নামলেন, তখন প্রভাত হয়ে গেছে, পূব গগনে রবি উদিত হয়েছে রক্তিম বর্ণের। কনিষ্ঠ মামার মনে হলো, এবার তিনি আসলেই একটা মহৎ কর্ম করতে পারবেন।

আরো দেখতে পারেনঃ সুখী মানুষ নাটকের ব্যাখ্যাসহ আলোচনা | ৬ষ্ঠ শ্রেণি বাংলা ২য় পরিচ্ছেদ

পাকাপাকি ছড়ায় বিপরীত শব্দ

দাগ দেওয়া শব্দগুলোর বিপরীত শব্দ বসিয়ে বাক্যগুলো আবার লেখো। প্রথমটি করে দেখানো হলো-

এই শহরে অনেক মানুষ থাকে। বাক্য: এই শহরে অল্প মানুষ থাকে।

উত্তর:

বাক্য  বিপরীত বাক্য
বীথির বাড়ি দূরে বীথির বাড়ি কাছে।
শুকনো খাবার আমার পছন্দ। শুকনো খাবার আমার অপছন্দ।
আজ গরম পড়েছে। আজ ঠান্ডা পড়েছে।
তিনি ঘুমিয়ে ছিলেন। তিনি জেগে ছিলেন।
এ জমি উর্বর। এ জমি অনুর্বর।
ভালো কাজ করব। খারাপ/মন্দ কাজ করব।
তুমি যাও। তুমি এসো।
ছেলেটি চালাক। ছেলেটি বোকা।
কুকুর বিশ্বাসী প্রাণী। কুকুর অবিশ্বাসী প্রাণী।

 

এভাবে বিপরীত শব্দ বসানোর ফলে বাক্যগুলোর অর্থ বদলে গেছে।

বিপরীত শব্দ বুঝি

যেসব শব্দ পরস্পর বিপরীত অর্থ প্রকাশ করে, সেগুলোকে বিপরীত শব্দ বলে। যেমন- ধনী-গরিব, সৎ-অসৎ, বড়ো-ছোটো ইত্যাদি। নিচে কিছু শব্দ এবং তার বিপরীত শব্দের উদাহরণ দেওয়া হলো।

শব্দ  বিপরীত শব্দ 
অধম উত্তম
ভিতর বাহির
অল্প বেশি
ভীরু সাহসী
আপন পর
মুখ্য গৌণ
আয় ব্যয়
লাভ ক্ষতি
উঁচু নিচু
সরব নীরব
উপস্থিত অনুপস্থিত
সুন্দর কুৎসিত
খাটি ভেজাল
হ্রাস বৃদ্ধি
জ্ঞানী মূর্খ
হালকা ভারী
জয় পরাজয়
স্থির চঞ্চল
হার জিত
খুচরা পাইকারি

 

বাক্যের অর্থ ঠিক রেখে বিপরীত শব্দ বসাই

এবার দাগ দেওয়া শব্দগুলোর বিপরীত শব্দ বসিয়ে বাক্যগুলো এমনভাবে লেখো যাতে বাক্যের অর্থ ঠিক থাকে। এজন্য বাক্যের শেষে না, নি, নেই, নয় ইত্যাদি বসানোর দরকার হবে। প্রথমটি করে দেখানো হলো।

এই শহরে অনেক মানুষ থাকে। বাক্য: এই শহরে অল্প মানুষ থাকে না।

বীথির বাড়ি দূরে। বাক্যঃ …………………………………………………………

শুকনো খাবার আমার পছন্দ। বাক্যঃ …………………………………………………………

আজ গরম পড়েছে। বাক্যঃ …………………………………………………………

তিনি ঘুমিয়ে ছিলেন। বাক্যঃ …………………………………………………………

এ জমি উর্বর। বাক্যঃ …………………………………………………………

ভালো কাজ করব। বাক্যঃ …………………………………………………………

তুমি যাও। বাক্যঃ …………………………………………………………

ছেলেটি চালাক। বাক্যঃ …………………………………………………………

কুকুর বিশ্বাসী প্রাণী। বাক্যঃ …………………………………………………………

উত্তর:

বীথির বাড়ি দূরে। বাক্যঃ বীথির বাড়ি কাছে নয়।

এই শহরে অনেক মানুষ থাকে। বাক্য: এই শহরে অল্প মানুষ থাকে না।

শুকনো খাবার আমার পছন্দ। বাক্য: শুকনো খাবার আমার অপছন্দ নয়।

আজ গরম পড়েছে। বাক্য: আজ ঠান্ডা পড়েনি।

তিনি ঘুমিয়ে ছিলেন। বাক্য: তিনি জেগে ছিলেন না।এ জমি উর্বর।

ভালো কাজ করব। বাক্য: খারাপ/মন্দ কাজ করব না।

তুমি যাও। বাক্য: তুমি এসো না।

ছেলেটি চালাক। বাক্য: ছেলেটি বোকা নয়।

এ জমি উর্বর। বাক্য: এ জমি অনূর্বর নয়।

কুকুর বিশ্বাসী প্রাণী। বাক্য: কুকুর অবিশ্বাসী প্রাণী নয়।

পাকাপাকি ছড়ায় অতিরিক্ত প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন-১। একটি শব্দের অনেক রকম অর্থ থাকলে কীসের ওপর শব্দের অর্থ নির্ভর করে?

উত্তর: একটি শব্দের অনেক রকম অর্থ থাকলে বাক্য প্রয়োগের ওপর শব্দের অর্থ নির্ভর করে।

প্রশ্ন-২। ‘পাকাপাকি’ ছড়াটি কার লেখা?

উত্তর: ‘পাকাপাকি’ ছড়াটি সুকুমার রায়-এর লেখা।

প্রশ্ন-৩। সুকুমার রায়ের বিখ্যাত ছড়া বইয়ের নাম কী?

উত্তর: সুকুমার রায়ের বিখ্যাত ছড়া বইয়ের নাম ‘আবোল-তাবোল’।

প্রশ্ন-৪। ‘পাকাপাকি’ ছড়াটি সুকুমার রায়ের কোন ছড়াগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে?

উত্তর: ‘পাকাপাকি’ ছড়াটি সুকুমার রায়ের ‘খাই খাই’ ছড়াগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে।

প্রশ্ন-৫। আম এবং কুল কোন কোন মাসে পাকে?

উত্তর: আম পাকে বৈশাখ মাসে আর কুল পাকে ফাল্গুন মাসে।

প্রশ্ন-৬। কাঁচা ইট পাকা করতে হলে কী করা প্রয়োজন?

উত্তর: কাঁচা ইট পাকা করতে হলে আগে আগুনে পোড়ানো প্রয়োজন।

প্রশ্ন-৭। পাকা রং চিনবো কীভাবে?

উত্তর: যে রং রোদে পুড়ে এবং বৃষ্টিতে ভিজেও টিকে থাকে, সেই রং-ই পাকা রং।

প্রশ্ন-৮। লিখে লিখে কী পাকা হয়?

উত্তর: লিখে লিখে হাত পাকা হয়।

প্রশ্ন-৯। যে বেশি কথা বলে তাকে কী বলে?

উত্তর: যে বেশি কথা বলে তাকে জ্যাঠামি বলে।

প্রশ্ন-১০। লোকে বলে কী কিলিয়ে পাকানো যায়?

উত্তর: লোকে বলে কাঁঠাল কিলিয়ে (খিল বা গোঁজ ঢুকিয়ে) পাকানো যায়।

প্রশ্ন-১১। কীভাবে বুদ্ধি পাকাপোক্ত হয়?

উত্তর: লেখাপড়া করলে বৃদ্ধি পাকাপোক্ত হয়।

প্রশ্ন-১২। ফোড়া পেকে গেলে কেমন করে?

উত্তর: ফোড়া পেকে গেলে ব্যথায় টনটন করে।

প্রশ্ন-১৩। যারা কথায় ঠিক থাকে না তারা কাজে কেমন?

উত্তর: যারা কথায় ঠিক থাকে না তারা কাজে ঠনঠন বা ঠিক নেই।

প্রশ্ন-১৪। যিনি রান্না করেন তাকে কী বলে?

উত্তর: যিনি রান্না করেন তাকে রাঁধুনি বলে।

প্রশ্ন-১৫। রাঁধুনি কী করেন?

উত্তর: রাঁধুনি হাঁড়িতে পাকান বা রান্না করেন।

প্রশ্ন-১৬। ‘সজোরে রাকালে চোখ’ বলতে কী বোঝায়?

উত্তর: ‘সজোরে পাকালে চোখ’ বলতে চোখের ইশরায় ভয়-ভীতি

প্রদর্শন করানোকে বোঝায়।

প্রশ্ন-১৭। দড়িতে অধিক পাক পড়লে দড়ি কেমন হয়ে থাকে?

উত্তর: দড়িতে অধিক পাক পড়লে দড়ি টনটনে হয়ে থাকে।

প্রশ্ন-১৮। ‘ফলার’ কাকে বলে?

উত্তর: ভাত ছাড়া নিরামিষ খাবারকে ফলার বলে।

প্রশ্ন-১৯। খিল বা গোঁজা ঢুকানোকে কী বলে?

উত্তর: খিল বা গোঁজা ঢুকানোকে কিলানো বলে।

প্রশ্ন-২০। ‘জ্যাঠামি’ কী?

উত্তর: অল্প বয়সে বেশি বয়সের মতো আচরণ হচ্ছে জ্যাঠামি।

প্রশ্ন-২১। ‘ফোড়া’ শব্দের অর্থ কী?

উত্তর: ‘ফোড়া’ শব্দের অর্থ চামড়ার নিচে ফুলে ওঠা ঘা।

* মুখ্য অর্থ ও গৌণ অর্থ

প্রশ্ন-১। মুখ্য অর্থ কাকে বলে?

উত্তর: একটি শব্দ শোনার সাথে সাথে মনে যে ছবি বা ধারণা জেগে ওঠে, সেটাকে ওই শব্দের মুখ্য অর্থ বলে।

প্রশ্ন-২। মুখ্য অর্থের পাশাপাশি এক বা একাধিক কোন অর্থ থাকতে পারে?

উত্তর: মুখ্য অর্থের পাশাপাশি এক বা একাধিক গৌণ অর্থ থাকতে পারে।

প্রশ্ন-৩। একই শব্দ বাক্যে ব্যবহারের ফলে ভিন্ন ভিন্ন অর্থ প্রকাশ পেলে তাকে কী বলে?

উত্তর: একই শব্দ বাক্যে ব্যবহারের ফলে ভিন্ন ভিন্ন অর্থ প্রকাশ পেলে তাকে গৌণ অর্থ বলে।

প্রশ্ন-৪। ‘রোদে জলে টিকে রং, পাকা কই তাহারে।’- এখানে ‘পাকা’ কী অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে?

উত্তর: ‘রোদে জলে টিকে রং, পাকা কই তাহারে।’- এখানে ‘পাকা’ টেকসই অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।

প্রশ্ন-৫। ‘তোমার কথা আমি মানতে রাজি।’- এখানে ‘কথা’ কী অর্থে ব্যবহূত হয়েছে?

উত্তর: ‘তোমার কথা আমি মানতে রাজি।’- এখানে ‘কথা’ প্রস্তাব অর্থে ব্যবহূত হয়েছে।

প্রশ্ন-৬। ‘তোমার কাজ পড়াশোনা করা।’- এখানে ‘কাজ’ কী অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে?

উত্তর: ‘তোমার কাজ পড়াশোনা করা।’- এখানে অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। ‘কাজ’ কর্তব্য

প্রশ্ন-৭। ‘তিনি কাজ পাগল মানুষ।’-এখানে ‘পাগল’ অর্থ কী?

উত্তর: ‘তিনি কাজ পাগল মানুষ।’-এখানে ‘পাগল’ অর্থ হলো অনুরাগী।

• প্রতিশব্দ

প্রশ্ন-১। প্রতিশব্দ কাকে বলে?

উত্তর: সমান অর্থ প্রকাশক ভিন্ন শব্দবে প্রতিশব্দ বলে।

প্রশ্ন-২। রাতের তিনটি প্রতিশব্দ লেখো।

উত্তর: রাতের তিনটি প্রতিশব্দ হলো- রজনি, রাত্রি, নিশি।

■ বিপরীত শব্দ

প্রশ্ন-১। বিপরীত শব্দ কাকে বলে?

উত্তর: যেসব শব্দ পরস্পর বিপরীত অর্থ প্রকাশ করে থাকে, তাকে বিপরীত শব্দ বলে।

প্রশ্ন-২। ‘শহরে অনেক মানুষ থাকে।’- এখানে ‘শহরে’ শব্দের বিপরীত শব্দ কী হবে?

উত্তর: ‘শহরে অনেক মানুষ থাকে।’- এখানে ‘শহরে’ শব্দের বিপরীত শব্দ হবে গ্রামে।

প্রশ্ন-৩। এ জমি অনেক উর্বর। ‘উর্বর’ শব্দের বিপরীত শব্দ কী হবে? উত্তর: ‘উর্বর’ শব্দের বিপরীত শব্দ হলো অনুর্বর।

প্রশ্ন-৪। ‘তুমি যাও।’- এর বিপরীত বাক্য কী হবে?

উত্তর: ‘তুমি যাও।’- এর বিপরীত বাক্য হবে ‘তুমি আসো’।

প্রশ্ন-৫। ‘পাইকারি’ শব্দের বিপরীত শব্দ কী হবে?

উত্তর: ‘পাইকারি’ শব্দের বিপরীত শব্দ হবে খুচরা।

প্রশ্ন-৬। ‘ভীতু’ শব্দের বিপরীত শব্দ কী হবে?

উত্তর: ‘ভীতু’ শব্দের বিপরীত শব্দ হবে সাহসী।

প্রশ্ন-৭। বীথির বাড়ি দূরে। বাক্যটির অর্থ ঠিক রেখে বিপরীত শব্দ লেখো।

উত্তর: বীথির বাড়ি কাছে নয়।

প্রশ্ন-৮। ‘ছেলেটি চালাক।’- অর্থ ঠিক রেখে বিপরীত শব্দটি কী হবে?

উত্তর: ছেলেটি বোকা নয়।

পাকাপকি ছড়াতে নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নোত্তর

১. ‘পাকাপাকি’ ছড়াটির রচয়িতা কে?

ক) রোকনুজ্জামান খান

খ) শামসুর রাহমান

গ) সুকুমার রায়

ঘ) জসীমউদ্দীন

উ. গ

২. সুকুমার রায়ের বিখ্যাত ছড়া বইয়ের নাম কী?

ক) আবোল-তাবোল

গ) হইচই

গ) শিখাই খাই

ঘ) ছানাবড়া

উ. ক

৩. পাকাপাকি ছড়াটি সুকুমার রায়ের কোন ছড়ার বই থেকে নেওয়া হয়েছে?

ক) আবোল-তাবোল

খ) গহনহন

গ) খাই খাই

ঘ) ছানাবড়া

উ. গ

৪. আম কোন মাসে পাকে?

ক) বৈশাখ

খ) আষাঢ়

গ) জৈষ্ঠ

ঘ) শ্রাবণ

উ. গ

৫. কুল বা বরই পাকা শুরু হয় কোন মাসে?

ক) পৌষ

খ) ফাল্গুন

গ) মাঘ

ঘ) চৈত্র

উ. খ

৬. ‘কাঁচা ইট পাকা হয় পোড়ালে তা আগুনে।’- এখানে ‘পাকা’ কী অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে?

ক) নিপুণ

খ) পরিপক্ক

গ) মজবুত

ঘ) খাসা

উ. গ

৭. রং পাকা কীভাবে বোঝা যায়?

ক) দীর্ঘদিন পর

খ) পানিতে ডুবিয়ে রেখে

গ) রোদ বৃষ্টিতে পেকে গেলে

ঘ) আগুনে তাপ দিলে

উ. গ

৮. লিখতে লিখতে কী পাকা হয়?

ক) কলম

খ) হাত

গ) পা

ঘ) শরীর

উ. খ

৯. বেশি কথা বলে কেমন ছেলেরা?

ক) জ্যাঠামিতে পাকা যারা

খ) শান্ত-শিষ্ট যারা

গ) দুষ্টুমিতে পাকা যারা

ঘ) ঝগড়া-বাধায় যারা

উ. ক

১০. কী কিলিয়ে পাকানো যায়?

ক) আম

খ) লিচু

গ) জাম

(ঘ) কাঁঠাল

উ. ঘ

১১. কী করলে বুদ্ধি পাকিয়ে তোলা যায়?

(ক) জ্যাঠামি

খ) লেখাপড়া

গ) খেলাধুলা

ঘ) হইচই

উ. খ

১২. কাজের বেলা ঠনঠন করে কারা?

ক) যারা বেশি কথা বলে

খ) যারা অলস

গ) যাদের কথায়-কাজে ঠিক নেই

ঘ) যাদের কান পেকে গেছে

উ. গ

১৩. চোখ সজোরে পাকালে কে কান্না করে?

ক) রাখালেরা

খ) বুড়োরা

গ) ছোট ছেলেরা

ঘ) বয়স্করা

উ. গ

১৪. ‘কান পাকে, ফোড়া পাকে’- এখানে ‘পাকা’ কী অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে?

ক) পরিপক্ক

খ) উজ্জ্বলতা

গ) অসুখ

ঘ) নিপুণ

উ. গ

১৫. ‘কুল’ শব্দের অর্থ কী?

(ক) নদীর তীর

খ) বরই

গ) জাতি

ঘ) বংশ

উ. খ

১৬. ভাত ছাড়া নিরামিষ খাবারকে কী বলে?

ক) আহার

খ) ফলার

গ) বিহার

ঘ) ফোলার

উ. খ

১৭. অল্প বয়সে বেশি বয়সের মতো আচরণকে কী বলে?

ক) বাচাল

খ) চঞ্চল

গ) জ্যাঠামি

ঘ) ফাজিল

উ. গ

• মুখ্য অর্থ ও গৌণ অর্থ

১৮. ‘মেয়েটির মাথা ভালো।’- এখানে ‘মাথা’ কোন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে?

ক) মেধা

খ) মাথার ভালো দিক

গ) শরীরের উপরের অংশ

ঘ) প্রজ্ঞাবান

উ. ক

১৯. ‘কর্তব্য’ অর্থে নিচের কোনটি সঠিক?

ক) ভালো কাজের জন্য ভালো পুরস্কার

খ) তোমার কাজ পড়াশোনা করা

গ) ওর কাছে গেলে কাজ হবে

ঘ) উনি তো কাজের কাজি

উ. খ

২০. ‘অনুরাগী’ অর্থে নিচের কোন বাক্যটি সঠিক?

ক) ফুলের গন্ধে চারপাশ মৌ মৌ করছে

খ) মা-শিশুকে আদর করছেন

গ) তিনি কাজ পাগল মানুষ

ঘ) শিশুটি মাকে ভালোবাসে বেশি

উ. গ

২১. একটি কথা শোনার সাথে সাথে মনে যে ছবি বা ধারণা জেগে ওঠে তাকে শব্দের কী বলে?

ক) গৌণ অর্থ

খ) অর্থহীন

গ) মুখ্য অর্থ

ঘ) গৌণ অর্থ

উ. গ

■ প্রতিশব্দ

২২. ‘গগন’ শব্দটির প্রতিশব্দ কী?

ক) ভবন

খ) আসমান

গ) নেত্র

ঘ) জমিন

উ. খ

২৩. ‘হর্ষ’ কোন শব্দের প্রতিশব্দ?

ক) কপোত

খ) অশ্ব

গ) আনন্দ

ঘ) বার্তা

উ. গ

২৪. নিচের কোনগুলো ‘কপাল’ শব্দের প্রতিশব্দ?

ক) ভাগ্য, বাসনা

খ) নেত্র, কপোত

গ) ইচ্ছা, ললাট

ঘ) ললাট, ভাগ্য

উ. ঘ

২৫. ‘বাড়ি’ শব্দের প্রতিশব্দ নিচের কোনটি?

ক) বাসনা

খ) ললাট

গ) ভবন

ঘ) কপোত

উ. গ

২৬. নিচের কোনটি ‘আগুন’ শব্দের প্রতিশব্দ?

ক) অদ্রি

খ) পাথার

গ) অগ্নি

ঘ) তপন

উ. গ

২৭. ‘সূর্য’ শব্দের প্রতিশব্দ কোনটি?

ক) সেতু

খ) তপন

গ) অহি

ঘ) বহ্নি

উ. খ

■ বিপরীত শব্দ

২৮. ‘শহরে অনেক মানুষ থাকে।’- এখানে ‘শহরে’ শব্দের বিপরীত শব্দ কোনটি?

ক) নগরে

খ) বিদেশে

গ) পল্লিতে

ঘ) শহুরে

উ. গ

২৯ ‘অধম’-এর বিপরীত শব্দ নিচের কোনটি?

ক) উত্তম

খ) ভালো

গ) পাগল

ঘ) নিচে

উ. ক

৩০. ছেলেটি চালাক। এখানে ‘চালাক’ শব্দের বিপরীত শব্দ হলো-

ক) চতুর

খ) বোকা

গ) দুরন্ত

ঘ) চঞ্চল

উ. খ

৩১. কুকুর বিশ্বাসী প্রাণী।- ‘বিশ্বাসী’ শব্দের বিপরীত অর্থ নিচের কোনটি?

ক) চোর

খ) অবিশ্বাসী

গ) চালাক

(ঘ) সাহসী

উ. খ

৩২. ‘কুৎসিত’ শব্দের বিপরীত শব্দ কোনটি?

ক) আনন্দ

খ) গভীর

গ) সুন্দর

ঘ) কালো

উ. গ

৩৩. হ্রাস’ শব্দের বিপরীত শব্দ নিচের কোনটি?

ক) আয়

খ) বৃদ্ধি

গ) ব্যয়

ঘ) লাভ

উ. খ

৩৪. ‘এই জমি উর্বর।’- এখানে ‘উর্বর’ শব্দের বিপরীত শব্দ কোনটি?

ক) খাঁটি

খ) নকল

গ) অনুর্বর

ঘ) গৌণ

উ. গ

পাকাপাকি ছড়ার এক্সক্লুসিড স্টাডি

কথার মুখ্য অর্থ- মুখের ভাষা।

আগুন-এর প্রতিশব্দ- অগ্নি, অনল, বহ্নি।

‘সৎ’ শব্দের বিপরীত শব্দ- অসৎ।

‘অধম’ শব্দের বিপরীত শব্দ-উত্তম।

‘খাঁটি’ শব্দের বিপরীত শব্দ- ভেজাল।

‘সরব’ শব্দের বিপরীত শব্দ- নীরব।

Visited 5,809 times, 11 visit(s) today

Leave a Comment