অর্থ বুঝে বাক্য লেখার নিয়ম | ৬ষ্ঠ শ্রেণি বাংলা ৩য় অধ্যায়

সুপ্রিয় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে আজ আমি অর্থ বুঝে বাক্য লেখার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। এ অধ্যায়ে আপনি প্রতিটি শব্দের অর্থ বুঝে কিভাবে বাক্য লিখবেন তা শিখতে পারবেন। এভাবে অর্থ বুঝে বাক্য লেখা শিখলে আপনি যেকোন ক্লাশে বিভিন্ন টপিকের উপর বাক্য তৈরি করে রচনা বা প্যারাগ্রাফটা লিখতে পারবেন। তাই নিচে কয়েকটি নমুনার মাধ্যমে আমি এ বিষয়ে ব্যাখ্যাসহ বুঝিয়ে দিব। নমুনা শেষে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর এবং নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নোত্তরও আলোচনা করা হয়েছে।

অর্থ বুঝে বাক্য লেখার নিয়ম ৬ষ্ঠ শ্রেণি বাংলা ৩য় অধ্যায়
অর্থ বুঝে বাক্য লেখার নিয়ম ৬ষ্ঠ শ্রেণি বাংলা ৩য় অধ্যায়

 

এই পোস্টের টপিকগুলি এক নজরে দেখে নিন

অর্থ বুঝে বাক্য লেখার নিয়ম- নমুনা ১

আমরা নমুনা- ১ এ অর্থ বুঝে বাক্য লেখার নিয়ম সম্পর্কে কিছু জানার চেষ্টা করব। এখানে বিশেষ্য সম্পর্কে জানব।

আরো পড়ুনঃ সুখী মানুষ নাটকের ব্যাখ্যাসহ আলোচনা | ৬ষ্ঠ শ্রেণি বাংলা ২য় পরিচ্ছেদ

হাবিব সোমবার সকালে ঢাকায় এসে পৌছাল। সে রবিবার রাতের ট্রেনে তার বড়ো বোনের সাথে রাজশাহী থেকে রওনা দিয়েছিল। এই প্রথম সে ঢাকায় এসেছে। কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে বোনের বাসায় যাওয়ার পথে ফ্লাইওভার দেখে হাবিব অবাক হয়ে গেল। এটাকে তার মনে হলো দোতলা রাস্তা। বোনের বাসার কাছে রাস্তার পাশে একটি ফুলের দোকান। সেখানে রজনীগন্ধা, গোলাপ, গাঁদাসহ নানা রকম ফুল থরে থরে সাজানো রয়েছে।

তার ঠিক পাশেই একটা ফলের দোকান। সেখান থেকে বড়ো বোন কিছু পেয়ারা কিনল। ঘরে ঢোকার পর পরিবারের সবার সাথে কুশল বিনিময় হলো। টেবিলে নাশতা দেওয়া ছিল। হাত-মুখ ধুয়ে সে নাশতা করতে বসল। সেদিন ছিল বাংলাদেশ দলের ক্রিকেট খেলা। তাই খাওয়া শেষ করেই টেলিভিশনের সামনে গিয়ে বসল। ভ্রমণের কারণে হাবিবের কিছুটা ক্লান্তি ছিল, তবে সব মিলিয়ে তার খুব আনন্দ হচ্ছিল।

উপরের নমুনা থেকে অর্থ বুঝে বাক্য লেখার নিয়ম শেখার জন্য নাম বোঝায় এমন শব্দ খুঁজে বের করো এবং নিচের খালি জায়গায় লেখো।

লেখা শেষ হলে তোমার বন্ধুদের সাথে মিলিয়ে নাও। তাদের সাথে উত্তরের পার্থক্য হলে তা নিয়ে আলোচনা করো।

উত্তর: হাবিব, সোমবার, ঢাকা, রবিবার, রাত, ট্রেন, রাজশাহী, কমলাপুর, রেলস্টেশন, ফ্লাইওভার, বোন, রাস্তা, দোকান, রজনীগন্ধা, গোলাপ, গাঁদা, পেয়ারা, ঘর, পরিবার, টেবিল, নাশতা, হাত-মুখ, বাংলাদেশ, দল, ক্রিকেট, টেলিভিশন, ভ্রমণ, আনন্দ।

আমার লেখার সাথে বন্ধুদের লেখা মিলিয়ে দেখলাম। তাদের উত্তরের সাথে আমার উত্তরের কোনো পার্থক্য হয়নি।

এই পোস্ট পড়তে পারেনঃ প্রমিত ভাষা যেভাবে শিখবেন | ৬ষ্ঠ শ্রেণি ১ম অধ্যায় ও পরিচ্ছেদ

বিশেষ্য

অর্থ বুঝে বাক্য লেখার নিয়ম শিখতে চাইলে সবার আগে বিশেষ্য সম্পর্কে জানতে হবে।

বাক্যে যেসব শব্দ দিয়ে কোনো নাম বোঝায় সেগুলোকে বিশেষ্য বলে। অনেক রকম বিশেষ্য রয়েছে। যেমন:

মানুষ, জায়গা ইত্যাদির নাম: রাসেল, ঢাকা, গীতাঞ্জলি।

একই জাতের কাউকে বা কোনোটিকে বোঝায় এমন নাম: শিক্ষক, নদী, গাছ।

কোনো জিনিসের নাম: ইট, চেয়ার, বই।

একত্রে থাকা বোঝায় এমন নাম: জনতা, বাহিনী, মিছিল।

কোনো গুণের নাম: সরলতা, মাধুর্য, দয়া।

কোনো কাজের নাম: ভোজন, শয়ন, পড়ানো।

অর্থ বুঝে বাক্য লেখার নিয়ম জানার জন্য পাঠ থেকে বিশেষ্য খুঁজি

‘চিঠি বিলি’ ছড়া ও ‘সুখী মানুষ’ নাটক থেকে বিশেষ্য পদ খুঁজে বের করে একটি তালিকা তৈরি করো।

নাটকের নাম বিশেষ্য শব্দ
‘চিঠি বিলি’ ছড়া থেকে পাওয়া ছাতা, মাথা, ব্যাঙ, চিঠি, বিলি, দেয়া, খেয়া, মাঝি, চিংড়ি, রোদ, নদী, ব্যাঙা, ভাই, খলসে, বাচ্চা, চোখ, হাল, বিল, ভেটকি, নাতনি, দেশ, কাতলা, বর্ষা, ভরসা।
‘সুখী মানুষ’ নাটক থেকে পাওয়া মোড়ল, কবিরাজ, হাসু, রহমত, লোক, বিছানা, নাড়ি, পরীক্ষা, আত্মীয়, চাকর, অসুখ, নিস্তার, ভয়, মন, সুবর্ণপুর, মানুষ, গোরু, ধান, লুট, কান্না, হাসি, ব্যারাম, অশান্তি, ওষুধ, বাড়ি, কোলাহল, প্রাণী, মনোযোগ, শ্রবণ, মনিব, কর্ম, বাঘ, চোখ, হিমালয়, পাহাড়, সমুদ্র, চন্দ্র, নক্ষত্র, সহ্য, হাড়, শরবত, জোর, মুরগি, জবাই, দাম, ভাই, শান্তি, কথা, মাথা, প্রতিজ্ঞা, জবরদস্তি, | লোভ, পাপ, মৃত্যু, অত্যাচার, চিন্তা, সুখ, দুঃখ, টাকা, ব্যামো, রাত্রি, ফতুয়া, সংগ্রহ, জামা, গা, রোগ, বখশিশ, বন, অন্ধকার, রাত, চাঁদ, আলো, কুঁড়েঘর, হাত, ভাই, জিনিস, ধন, ভিখারি, ভিক্ষা, ভূত, ঘর, কাঠ, বাজার, চাল, ডাল, ঘুম, কাবার, চোর, সোনাদানা, জামাজুতা, পাগল, দুনিয়া, রাজা, বাদশা, কষ্ট।

 

অনুচ্ছেদ লিখে বিশেষ্য খুঁজি

কোনো একটি বিষয় নিয়ে ১০০ শব্দের মধ্যে একটি অনুচ্ছেদ লেখো। লেখা হয়ে গেলে বিশেষ্য শব্দগুলোর নিচে দাগ দাও।

উত্তর: সাদা মেঘে আকাশ ছেয়ে আছে। হঠাৎ টিপটিপ বৃষ্টি শুরু হলো। করিম ভাঙা ছাতা দিয়ে বৃষ্টি ঠেকানোর বৃথা চেষ্টা করছিল। তার বেখেয়ালি মন হালকা বৃষ্টি আর মৃদু হাওয়ায় ব্যাকুল হয়ে উঠল। করিম মনে মনে ভাবল বাড়ি ফিরবে কী করে এ বাদলার মধ্য দিয়ে। তার মা আবার দেরি হলে অহেতুক চিন্তা করবে। করিম আবার ভাবলো ছাদে শুকাতে দেওয়া জামা-কাপড় মা কি ঘরে নিয়েছে কি না কে জানে। নয়তো শুকনো কাপড়-চোপড়গুলো আবার বৃষ্টির জলে ভিজবে। করিম ওসব চিন্তা বাদ দিয়ে ভাবলো যা হয় হোক। এ ভাঙা ছাতা নিয়ে বৃষ্টির মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকার কোনো মানে হয় না। তার ভয়ে বরং কোনো পথিক ছাউনিতে আশ্রয় নেওয়া ঢের বুদ্ধিমানের কাজ

অর্থ বুঝে বাক্য লেখার নিয়ম- নমুনা ২

আসুন নমুনা-২ থেকে এভান্স লেভেলের অর্থ বুঝে বাক্য লেখার নিয়ম শিখে নিই। এখানে সর্বনাম বিষয়ে ব্যাখ্যা তুকে ধরব।

পারুল ফোন করে জানাল, তার প্রিয় একটা বই হারিয়ে গেছে। সেটি টেবিলের উপরে রাখা ছিল। শাহেদ সেখান থেকে বইটা নিয়েছে বলে তার সন্দেহ হয়। তবে ঠিক কে নিয়েছে, পারুল সে ব্যাপারে নিশ্চিত নয়। সন্দেহের তালিকায় মিনু আর চিনুর নামও আছে। পারুলের ধারণা, ওরাও বইটা নিতে পারে।

সব শুনে আমি বললাম, কোনো ব্যাপারে নিশ্চিত না হয়ে কাউকে দোষ দেওয়া ঠিক নয়। যে নিয়েছে, সে হয়তো পড়ার জন্যই নিয়েছে। কয়েক দিন অপেক্ষা করে দেখো, বইটা পাওয়া যায় কি না। কিছু দিন পরে পারুল নিজেই জানাল, বইটা পাওয়া গেছে। পারুলের বাবা বইটা বুকশেলফে তুলে রেখেছিলেন। তিনি বুঝতেও পারেননি, এক বই নিয়ে এত ঘটনা ঘটে যাবে। আর পারুলও না বুঝে অন্যদের দোষ দিচ্ছিল!

উপরের নমুনা থেকে বিশেষ্যের পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়েছে এমন শব্দ খুঁজে বের করো এবং নিচের খালি জায়গায় লেখো।

……………………………………………………………………………….

……………………………………………………………………………….

……………………………………………………………………………….

লেখা শেষ হলে তোমার বন্ধুদের সাথে মিলিয়ে নাও। তাদের সাথে উত্তরের পার্থক্য হলে তা নিয়ে আলোচনা কর।

উত্তর: তার, সেটি, সেখান, কে, সে, ওরাও, আমি, কাউকে, যে, তিনি, অন্যদের।

আমার লেখার সাথে বন্ধুদের লেখা মিলিয়ে দেখলাম। তাদের উত্তরের সাথে আমার উত্তরের কোনো পার্থক্য হয়নি।

সর্বনাম

বিশেষ্যের পরিবর্তে ব্যবহৃত শব্দকে সর্বনাম বলে। বাক্যের মধ্যে বিশেষ্য যে ভূমিকা পালন করে, সর্বনাম অনুরূপ ভূমিকা পালন করে। যেমন- শিমূল মনোযোগের সঙ্গে পড়াশোনা করতো। তাই সে পরীক্ষায় ভালো করেছে। দ্বিতীয় বাক্যের ‘সে’ প্রথম বাক্যের ‘শিমূল’-এর পরিবর্তে বসেছে।

পাঠ থেকে সর্বনাম খুঁজে অর্থ বুঝে বাক্য লেখার নিয়ম

‘চিঠি বিলি’ ছড়া ও ‘সুখী মানুষ’ নাটক থেকে সর্বনাম শব্দ খুঁজে বের করে তার একটি তালিকা তৈরি করো।

উত্তর:

নাটকের নাম সর্বনাম শব্দ
‘চিঠি বিলি’ থেকে পাওয়া সে, তার।
‘সুখী মানুষ’ থেকে পাওয়া তোমার, আমাদের, যে, ওই, এর, তার, আপনি, আমি, তাই, আমার,। আমাকে, তুমি, অন্যের, এটি, এ.। যাকেই, সেই, আমরা, কারও, আমরাও, কে, তোমরা, যা, তোমাকে।

 

অনুচ্ছেদ লিখে সর্বনাম খুঁজি

কোনো একটি বিষয় নিয়ে ১০০ শব্দের মধ্যে একটি অনুচ্ছেদ লেখো। লেখা হয়ে গেলে সর্বনাম শব্দগুলোর নিচে দাগ দাও।

……………………………………………………………………………….

……………………………………………………………………………….

……………………………………………………………………………….

উত্তর: কবি কাজী নজরুল ইসলামের জীবনের পরিণাম অত্যন্ত করুণ। মস্তিষ্কের পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হয়ে ১৯৪২ সাল থেকেই তিনি ছিলেন জীবিত থেকেও মৃত। দীর্ঘকাল তিনি ছিলেন নির্বাক ও ভাবশূন্য। যুদ্ধপরবর্তী স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁকে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। তাঁকে জাতীয় কবির মর্যাদা প্রদান করেন। ১৯৭৬ সালে কবির জীবনপ্রদীপ নির্বাপিত হলে তাঁর সমাধি রচিত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদ প্রাঙ্গণে।

কিছুদিন আগে তাঁর ১২৪তম জন্মবার্ষিকী বেশ জাঁকজমকের সাথে পালিত হয়েছে। এদিন নজরুল একাডেমি থেকে বিশেষ ক্রোড়পত্র বের হয়েছে। বর্তমান সময়ে এসেও কাজী নজরুল ইসলামের রচিত গান ও কবিতা আমাদের মনে একইরূপ আলোড়ন সৃষ্টি করে। তাঁর সৃষ্টিকর্মের আবেদন আজও সমানভাবে বিদ্যমান।

অর্থ বুঝে বাক্য লেখার নিয়ম- নমুনা ৩

এখানে নমুনা-৩ এ অর্থ বুঝে বাক্য লেখার নিয়ম শিখতে বিশেষণ আলোচনা করব।

নীল-সাদা স্কুলজামা পরে কয়েকটি মেয়ে স্কুল থেকে ফিরছিল। মেঠো পথের দুপাশে সবুজ ধানখেত। হঠাৎ সামনের মেয়েটি থমকে দাঁড়াল। বলল, ‘দ্যাখ দ্যাখ, কী সুন্দর একটা পাখি উড়ে যাচ্ছে।’ পাশের মেয়েটি উপরে তাকিয়ে কোনো পাখি দেখতে পেল না। নীল আকাশের দিকে তাকিয়ে সে শুধু সাদামেঘ ভেসে যেতে দেখল। অন্যরাও সেই পাখিটা খুঁজতে লাগল। কিন্তু ততক্ষণে উড়ন্ত পাখিটা চোখের আড়াল হয়ে গেছে।

ধানখেত পার হতেই একটা বড়ো পুকুর। সেখানকার পানি টলটলে। পুকুরের ধারে একটা বড়ো আমগাছ। সেই আমগাছের দিকে তাকিয়ে একটি মেয়ে বলল, ‘আমার মনে হচ্ছে, এবার অনেক আম ধরবে।’ সবাই তাকিয়ে দেখল, আমগাছে প্রচুর মুকুল এসেছে। সাদা মুকুলে আমগাছের সবুজ পাতা ঢাকা পড়েছে।

গাছের নিচে একজন বয়স্ক লোক পুরানো চেয়ারে বসে ছিলেন। তাঁর বয়স কম-বেশি সত্তর বছর। তিনি ওদের কথা শুনে বললেন, ‘ও ঠিকই বলেছে। যে বছর ধান ভালো হয়, সে বছর আমের ফলনও ভালো হয়।’ কিছু শব্দ বিশেষ্য ও সর্বনামের গুণ, দোষ, সংখ্যা, পরিমাণ, অবস্থা ইত্যাদি বোঝায়। উপরের নমুনা থেকে এ ধরনের শব্দ খুঁজে বের করো এবং নিচের খালি জায়গায় লেখো।

লেখা শেষ হলে তোমার বন্ধুদের সাথে মিলিয়ে নাও। তাদের সাথে উত্তরের পার্থক্য হলে তা নিয়ে আলোচনা কর।

উত্তর:

নীল, সাদা, মেঠো, সবুজ, সুন্দর, উড়ন্ত, একটা, বড়ো, টলটলে, অনেক, প্রচুর, বয়স্ক, পুরানো, কম-বেশি, সত্তর, ভালো।

আমার লেখার সাথে বন্ধুদের লেখা মিলিয়ে দেখলাম। তাদের উত্তরের সাথে আমার উত্তরের কোনো পার্থক্য হয়নি।

বিশেষণ এর অর্থ বুঝে বাক্য লেখার নিয়ম

যে শব্দ দিয়ে বিশেষ্য ও সর্বনামের পুণ, দোষ, সংখ্যা, পরিমাণ, অবস্থা বোঝায়, তাকে বিশেষণ শব্দ বলে। যেমন- লাল ফুল, ভালো কথা, দশ টাকা, লক্ষ জনতা, টাটকা সবজি। এখানে দাগ দেওয়া শব্দগুলো বিশেষণ।

পাঠ থেকে বিশেষণ খুঁজে অর্থ বুঝে বাক্য লেখার নিয়ম

‘চিঠি বিলি’ হুড়া ও ‘সুখী মানুষ’ নাটক থেকে বিশেষণ শব্দ খুঁজে বের করে তার একটি তালিকা তৈরি করো।

উত্তর:

নাটকের নাম বিশেষণ শব্দ
‘চিঠি বিলি’ থেকে পাওয়া জবর, সাচ্চা, ঝলসে, সারা, দারুণ, বাদলা।
‘সুখী মানুষ’ থেকে পাওয়া বিশ্বাসী, ভালো, উজাড়, কঠিন, ধনী, আজে- বাজে, রোগী, মূর্খ, মামাতো, নিষ্ঠুর, শান্ত, মিথ্যা, সুখী, হাড়-মড়মড়, সোজা, অসুখী, হাজার, ছোটো, তাজ্জব, বড়ো, পেটুক, চুপ, দুঃখী, সারা, খেয়ে-দেয়ে, একলা, প্রাণখোলা, সত্যি, মস্ত, খুব, মিছে।

 

অনুচ্ছেদ লিখে বিশেষণ খুঁজি

কোনো একটি বিষয় নিয়ে ১০০ শব্দের মধ্যে একটি অনুচ্ছেদ লেখো। লেখা হয়ে গেলে বিশেষণ শব্দগুলোর নিচে দাগ দাও:

উত্তর: রাঙামাটি ঘুরতে এসে মনটা ভালো হয়ে গেল। চারপাশে লাল মাটি আর কাপ্তাই লেকের স্বচ্ছ জল। এখানে ঘণ্টা চুক্তিতে বিভিন্ন আকারের নৌকা ভাড়া পাওয়া যায়। লেকের মাঝ দিয়ে চলার সময় মাঝখানে দ্বীপের মতো যে স্থানটি গড়ে উঠেছে তা চাকমাদের বাসস্থান। আমি জানি চাকমারা পিতৃতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার অন্তর্গত। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখলাম মেয়েরাই সকল অর্থনৈতিক কার্যাবলির সাথে সম্পৃক্ত। এখানে চাকমা মেয়েদের হাতে-বোনা কাপড় তারা নিজেরাই পসরা সাজিয়ে বিক্রি করে। এই পাহাড়ে যেসব ফল-ফলাদি ফলে তা খুব সুস্বাদু। আমি চাকমা মেয়েদের হাতে-বোনা একটি হলুদ শাল কিনলাম। মনে হলো ওরা কাপড় বুনতে খুব দক্ষ। এরই মধ্যে শেষ বিকেলের নরম আলো চারদিকে অন্তত সৌন্দর্য বিকিরণ করছিল। আমরা চাকমা পল্লিকে বিদায় জানিয়ে শহরের উদ্দেশে রওয়ানা হলাম।

অর্থ বুঝে বাক্য লেখার নিয়ম- নমুনা ৪

আপনাদের জন্য নমুনা-৪ এ অর্থ বুঝে বাক্য লেখার নিয়ম শেখার জন্য ক্রিয়া শব্দগুলো চেনার উপায় শিখাব।

সবাই যখন খেলে, রিনার ভাই রাজীব তখন পড়তে বসে। আবার সবাই যখন পড়তে বসে, রাজীব তখন ঘুমায়। আর সবাই যখন ঘুমিয়ে পড়ে, রাজীব তখন খেলে। আজকাল কী যে করছে ছেলেটা! বয়স সবে চার বছর পূর্ণ হলো। সবকিছুতেই তার এলোমেলো আচরণ। বাবা একদিন কথায় কথায় মাকে বললেন, ‘আচ্ছা, ছেলেটার সব কাজ এমন এলোমেলো হচ্ছে কেন?’ মা হেসে বললেন, ‘কোথায়! সব কাজ তো এলোমেলো হচ্ছে না। এই যেমন- আমি খাইয়ে দিলে রাজীব সময়মতো খায়।’ মার কথা শুনে বাবা হাসলেন। বললেন, ‘আরেকটু বড়ো হলে কী করবে, সেটাই দেখার বিষয়।’ মা বললেন, ‘বড়ো হলে সব বুঝতে শিখবে। তখন সময়মতো পড়বে, ঘুমাবে, আর ফেলবে।’

উপরের অনুচ্ছেদ থেকে কাজ করা হোঝায় এমন শব্দ খুঁজে বের করো এবং নিচের খালি জায়গায় লেখো।

……………………………………………………………………………….

……………………………………………………………………………….

……………………………………………………………………………….

লেখা শেষ হলে তোমার বন্ধুদের সাথে মিলিয়ে নাও। তাদের সাথে উত্তরের পার্থক্য হলে তা নিয়ে আলোচনা কর।

উত্তর: খেলে, পড়তে বসে, ঘুমায়, ঘুমিয়ে পড়ে, করছে, হলো, বললেন, হচ্ছে, হেসে, দিলে, খায়, শুনে, হাসলেন, হলে, করবে, দেখার, বুঝতে, শিখবে, পড়বে, ঘুমাবে, খেলবে।

আমার লেখার সাথে বন্ধুদের লেখা মিলিয়ে দেখলাম। তাদের উত্তরের সাথে আমার উত্তরের কোনো পার্থক্য হয়নি।

ক্রিয়া শব্দ

ক্রিয়া যেসব শব্দ দিয়ে করা বা হওয়া বোঝায়, সেগুলোকে ক্রিয়া বলে। যেমন- সুমি খেলছে। সূর্য ডুবে গিয়েছে। এখানে দাগ দেওয়া শব্দগুলো ক্রিয়া।

পাঠ থেকে ক্রিয়া খুঁজি ‘চিঠি বিলি’ ছড়া ও ‘সুখী মানুষ’ নাটক থেকে ক্রিয়া শব্দ খুঁজে বের করে তার একটি তালিকা তৈরি করো।

উত্তর:

নাটকের নাম ক্রিয়া শব্দ
‘চিঠি বিলি’ থেকে পাওয়া চলেছে, করতে, ঝরছে, ধরতে, হলো, ধরে, এসেছে, লিখছে, গেছে, গিয়ে, এসেছে, নিলাম।
সুখী মানুষ নাটক থেকে পাওয়া করছে, নিয়ে, বলছে, শুনছি, করে, দেখাবেন, যাব, জ্বালিয়েছে, হাসে, হবে, থাকলে, হয়, নিয়ো, মরবে, বলবেন, যান, করো, করছি, বাঁচবে, বলো, বলুন, বাঁচাতে, চাও, আনতে, তুলে, আনব, করতে, পারছি, গেল, দাও, খেয়েছে, এসো, দিয়ে, দেবো, এনে, বলবে, বলব, করব, করবে, থাকো, করি, পাব, এনে, পাবে, বাড়বে, পারে, পারো, দিলে, দেখো, হলে, ভাবছে, পেলাম, যাবে, বলছে, বলছি, চলেন, যাই, ধরতে, পারলে, খাবে, বলছ, ডাকবেন, এলো, পাই, গাইতে, পড়ি, আসে, হাসছে, হাসছো, হাসছি, আছে, রেখেছো, দেবো, হচ্ছে।

 

অনুচ্ছেদ লিখে ক্রিয়া খুঁজি

কোনো একটি বিষয় নিয়ে ১০০ শব্দের মধ্যে একটি অনুচ্ছেদ লেখো। লেখা হয়ে গেলে ক্রিয়া শব্দগুলোর নিচে দাগ দাও:

……………………………………………………………………………………..

……………………………………………………………………………………..

……………………………………………………………………………………..

উত্তর: খুব ভোরে আমাদের রওয়ানা করতে হলো। আমরা ব্যাংকক পৌছালাম, থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক; বেশ বড়ো এয়ারপোর্ট তাদের। এখানে আমরা চা-নাশতা খেলাম। এক ঘণ্টা পর হংকং রওয়ানা করলাম। সোজা হংকং। আর কোথাও প্লেন থামবে না। প্লেনে আমার ঘুমাতে কোনো কষ্ট হয় না। থাইল্যান্ড, লাওস, ভিয়েতনাম ও দক্ষিণ চীন সাগর পাড়ি দিয়ে বেলা একটায় হংকংয়ের কাইতেক বিমান ঘাঁটিতে পৌঁছালাম। ‘সিনহুয়া’ সংবাদ প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা আমাদের অভ্যর্থনা করল।

ইংরেজিতে ‘নিউ চায়না নিউজ এজেন্সি’ বলা হয় সংবাদ প্রতিষ্ঠানটাকে। কৌলুন হোটেলে আমাদের থাকার বক্লোভস্ত হয়েছে। পশ্চিম পাকিস্তান থেকে দশ-বারো জন প্রতিনিধি আগেই পৌঁছে গেছেন। ঐদিন সন্ধ্যায় ও পরের দিন ভোরের মধ্যে পাকিস্তানের প্রতিনিধিরা সকলেই পৌঁছাবে। পরের দিন ভোরে আমাদের সভা হলো। সভায় পীর মানিক শরীফকে নেতা করা হলো।

[অসমাপ্ত আত্মজীবনী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান)

অর্থ বুঝে বাক্য লেখার নিয়ম- নমুনা ৫

অর্থ বুঝে বাক্য লেখার নিয়ম শিখতে গেলে আপনাকে ক্রিয়া বিশেষণ নিয়ে জানতে হবে।

তুমি জোরে দৌড়াও, আমি ধীরে হাঁটি।

তুমি সামনে যাও, আমি পিছনে থাকি।

তুমি থামবে না, আমিও দাঁড়াব না।

তুমি ঠিকঠাক যাও, আমি চুপচাপ দেখি।

তোমাকে কানে কানে বলি, আমি ভয়ে ভয়ে আছি।

আরও দেখুনঃ যেভাবে পরিস্থিতি অনুযায়ী যোগাযোগ করবেন | ব্যাখ্যাসহ সমাধান 2024 | ৬ষ্ঠ শ্রেণি বাংলা ১ম অধ্যায়

কিছু শব্দ দিয়ে ক্রিয়ার গতি, সময় ইত্যাদি বোঝায়। উপরের অনুচ্ছেদ থেকে এ ধরনের শব্দ খুঁজে বের করো এবং নিচের খালি জায়গায় লেখো।

……………………………………………………………………………………..

……………………………………………………………………………………..

……………………………………………………………………………………..

লেখা শেষ হলে তোমার বন্ধুদের সাথে মিলিয়ে নাও। তাদের সাথে উত্তরের পার্থক্য হলে তা নিয়ে আলোচনা কর।

উত্তর:

জোরে দৌড়াও, ধীরে হাঁটি, পিছনে থাকি, থামবে না, সামনে যাও, দাঁড়াব না,

ঠিকঠাক যাও, চুপচাপ দেখি, কানে কানে বলি, ভয়ে ভয়ে আছি

আমার লেখার সাথে বন্ধুদের লেখা মিলিয়ে দেখলাম। তাদের উত্তরের সাথে আমার উত্তরের কোনো পার্থক্য হয়নি।

ক্রিয়াবিশেষণ

যে শব্দ দিয়ে ক্রিয়ার গতি, সময় ইত্যাদি বোঝায়, সেগুলোকে ক্রিয়াবিশেষণ বলে। যেমন- ছেলেটি তাড়াতাড়ি হাঁটে। লোকটি সামনে এগিয়ে গেল। মেয়েরা এখান থেকে যাবে না। এখানে দাগ দেওয়া শব্দগুলো ক্রিয়াবিশেষণ।

পাঠ থেকে ক্রিয়াবিশেষণ খুঁজি

‘চিঠি বিলি’ ছড়া ও ‘সুখী মানুষ’ নাটক থেকে ক্রিয়াবিশেষণ শব্দ খুঁজে বের করে তার একটি তালিকা তৈরি করো।

উত্তর:

নাটকের নাম ক্রিয়াবিশেষণ
‘চিঠি বিলি’ থেকে পাওয়া টাপুসটুপুস ঝরছে,
‘সুখী মানুষ’ থেকে পাওয়া যতই, অমন, বাঁচবে তো, হবে না, এদিকে এসো, কোনোদিন, তৎক্ষণাৎ, সামনে, পালিয়ে যাই, বেরিয়ে এসো, গাইতে গাইতে।

 

অনুচ্ছেদ লিখে ক্রিয়াবিশেষণ খুঁজি

কোনো একটি বিষয় নিয়ে ১০০ শব্দের মধ্যে একটি অনুচ্ছেদ লেখো। লেখা হয়ে গেলে ক্রিয়াবিশেষণ শব্দগুলোর নিচে দাগ দাও।

……………………………………………………………………………………..

……………………………………………………………………………………..

……………………………………………………………………………………..

উত্তর: সকাল থেকে টিপটিপ বৃষ্টি পড়ছে। পাহাড়ি রাস্তায় ঠিকভাবে হাঁটতে পারছিলাম না। আমরা ভয়ে ভয়ে আলুটিলা গুহায় ঢুকলাম। ঢুকেই গা ছমছমিয়ে উঠল। আরিফ নির্ভয়ে চলতে লাগল। ওর হাতে কোনো মশাল পর্যন্ত নেই। এই কথা ওকে বলা মাত্র ও হা হা শব্দে হেসে উঠল। আমি আরিফের দিকে তাকিয়ে ভেবেচিন্তে বললাম, তুই পারিসও বটে। তুহিন বলল, ওকে বলে কোনো লাভ নেই; চল হাঁটি। এর মধ্যে শফিক জোরে চিৎকার করে উঠল। আমরা কাছে গিয়ে দেখলাম একটি সাপের খোলস। নিলয় বলল, ভালোয় ভালোয় এই গর্ত থেকে বের হতে পারলেই হয়। আমি বললাম, সাপটি যদি এখনি গুহায় ফেরে? আরিফ বলল, ততক্ষণে আমরা চলে যাবো। এবার অনিক মুখ খুলল। বলল, সাপটা আশেপাশে কোথাও লুকিয়ে আছে; আর আমাদের দিকে নজর রাখছে।

অর্থ বুঝে বাক্য লেখার নিয়ম- নমুনা ৬

অর্থ বুঝে বাক্য লেখার নিয়ম শেখার জন্য অনুসর্গের ভূমিকা অপরিসীম। তাই এখানে অনুসর্গ বিষয়ে তুলে ধরছি।

তিশার দাদির কাছে একটা পুরাতন সিন্দুক আছে। সেই সিন্দুক সবসময়ে তালা দিয়ে আটকানো থাকে। সিন্দুকের চাবি গেছে হারিয়ে; তাই বহুদিন ধরে ওটা খোলা হয় না। তিশা ওর দাদিকে গিয়ে বলল, ‘দাদি, এই সিন্দুকের ভেতরে কী আছে?’

দাদি অবাক চোখে তিশার দিকে তাকালেন। তারপর তিশাকে পাশে বসালেন। বললেন, ‘এর মধ্যে আমার শাশুড়ির, আমার, আর তোমার মার অনেক গয়না আছে। চাবি দিয়ে তালা খোলার পর সব দেখতে পাবে।’ এই বলে তিনি বাজার থেকে চাবি বানানোর লোক আনালেন। তিশার জন্য সিন্দুক খোলা হলো।

কিছু শব্দ অন্য শব্দের পরে বসে শব্দটিকে বাক্যের সঙ্গে সম্পর্কিত করে। উপরের অনুচ্ছেদ থেকে এ ধরনের শব্দ খুঁজে বের করো এবং নিচের খালি জায়গায় লেখো।

……………………………………………………………………………………..

……………………………………………………………………………………..

……………………………………………………………………………………..

লেখা শেষ হলে তোমার বন্ধুদের সাথে মিলিয়ে নাও। তাদের সাথে উত্তরের পার্থক্য হলে তা’ তা নিয়ে আলোচনা। কর।

উত্তর:

কাছে, দিয়ে, ধরে, গিয়ে ভেতরে,
মধ্যে, বলে, থেকে, জন্য।
পাশে,

 

আমার লেখার সাথে বন্ধুদের লেখা মিলিয়ে দেখলাম। তাদের উত্তরের সাথে আমার উত্তরের কোনো পার্থক্য হয়নি।

অনুসর্গ

যেসব শব্দ কোনো শব্দের পরে বসিয়ে শব্দটিকে বাক্যের সঙ্গে সম্পর্কিত করা হয়, সেসব শব্দকে অনুসর্গ বলে। যেমন- মাথার উপর নীল আকাশ। সে ঢাকা থেকে বরিশালে পেল। এখানে দাগ দেওয়া শব্দগুলো অনুসর্গ।

পাঠ থেকে অনুসর্গ খুঁজি

‘চিঠি বিলি’ ছড়া ও ‘সুখী মানুষ’ নাটক থেকে অনুসর্গ শব্দ খুঁজে বের করে তার একটি তালিকা তৈরি করো।

উত্তর:

নাটকের নাম অনুসর্গ শব্দ
‘চিঠি বিলি’ থেকে পাওয়া গিয়ে, নাকি, বাইরে, জন্য, থেকে, জন্যই।
‘সুখী মানুষ’ থেকে পাওয়া নিয়ে, লেগে, বলে, মধ্যে, মতো, দিয়ে, যদি, দিকে, ওপর, থাকো, মধ্যেই, কি না।

 

অনুচ্ছেদ লিখে অনুসর্গ খুঁজি কোনো একটি বিষয় নিয়ে ১০০ শব্দের মধ্যে একটি অনুচ্ছেদ লেখো। লেখা হয়ে গেলে অনুসর্গ শব্দগুলোর নিচে দাগ দাও।

……………………………………………………………………………..

……………………………………………………………………………..

……………………………………………………………………………..

উত্তর: আজ শহিদুল খেলতে আসবে না কথাটি শুনে বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো হলো আমাদের। শহিদুল আমাদের দলের জন্য নির্ভরযোগ্য হার্ড হিটার ব্যাটসম্যান। ও ব্যতীত কীভাবে আমরা সামনে এগিয়ে যাব? আমি শহিদুলের বাড়ি অভিমুখে চলতে শুরু করলাম। সকাল ৯টা নাগাদ পৌঁছে গেলাম। গিয়ে দেখি বেচারার জ্বর ১০৩০ ডিগ্রির উপরে। যার দরুন খেলা বাতিল করেছে। আমার ভেতরে-বাইরে তখন দারুণ ঝড় চলছে।

শহিদুলের বদলে কাকে খেলাই। হাতে এক ঘণ্টা পর্যন্ত সময় আছে। এর মধ্যে ভাবতে হবে। … ইউরেকা! লালমোহন পোদ্দার লেন-এর মাধবকে দিয়ে খেলানো যেতে পারে। ও ব্যাটিং-বোলিং দুটোতেই বরাবর ভালো। আজ বাংলাবাজার বনাম দয়াগঞ্জের খেলায় মাধবকে খেলাব বলে সিদ্ধান্ত নিলাম। মাধবকে ফোন করে পুরো বিষয়টি খুলে বললে ও রাজি হলো। যাক বাঁচা গেল। মাধবকে আসার সময় সঙ্গে করে ওর কিপিং গ্লাভসটি আনতে বললাম।

অর্থ বুঝে বাক্য লেখার নিয়ম- নমুনা ৭

অর্থ বুঝে বাক্য লেখার নিয়ম জানতে চাইলে আপনাকে শব্দের যোজক নিয়ে জানতে হবে পলাশের নানা ও নানি একইদিনে মারা যান। নানার কঠিন অসুখ হয়েছিল এবং ওই অসুখে তিনি কয়েক বছর ভুগেছিলেন। নানা মারা যাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর পলাশের নানির হার্ট-অ্যাটাক হয়। তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল; কিন্তু বাঁচানো যায়নি। তারপর থেকে বেশ কয়েকদিন পলাশের মন খুব খারাপ; তাই তখন সে কারও সাথে কথা বলত না। পলাশ একসময়ে বুঝতে পারে, মানুষের বার্ধক্য আর মৃত্যুকে ঠেকানো যায় না। তবু প্রতিটি মৃত্যু মানুষকে কষ্ট দেয়। পলাশদের বাড়িতে যখন নানা বা নানি বেড়াতে ‘আসতেন, তখন পলাশের খুব ভালো লাগাত। কারণ, তাঁরা পলাশকে খুব আদর করতেন। তাছাড়া তাঁরা শলালের সঙ্গে অনেক মজার মজার গল্পও করতেন।

উপরের অনুচ্ছেদ থেকে এমন শব্দ খুঁজে বের করো যেগুলো শব্দ বা বাক্যকে যুক্ত করেছে। বের করা শব্দগুলো নিচের খালি জায়গায় লেখো।

……………………………………………………………………………..

……………………………………………………………………………..

……………………………………………………………………………..

লেখা শেষ হলে তোমার বন্ধুদের সাথে মিলিয়ে নাও। তাদের সাথে উত্তরের পার্থক্য হলে তা নিয়ে আলোচনা কর।

উত্তর:

ও, এবং, কিন্তু, তাই, আর, তবু, কারণ, তাছাড়া, বা,

আমার লেখার সাথে বন্ধুদের লেখা মিলিয়ে দেখলাম। তাদের উত্তরের সাথে আমার উত্তরের কোনো পার্থক্য হয়নি।

যোজক

শব্দ বা বাক্যকে যুক্ত করে যেসব শব্দ, সেগুলোকে যোজক বলে। যেমন- এবং, ও, আর, অথবা, তবু, সুতরাং, কারণ, তবে ইত্যাদি।

পাঠ থেকে যোজক খুঁজি

‘চিঠি বিলি’ ছড়া ও ‘সুখী মানুষ’ নাটক থেলে যোজক শব্দ খুঁজে বের করে তার একটি তালিকা তৈরি করো।

উত্তর:

নাটকের নাম যোজক শব্দ
‘চিঠি বিলি’ থেকে পাওয়া আর
‘সুখী মানুষ’ থেকে পাওয়া ও, এবং, যত, তত

 

অনুচ্ছেদ লিখে যোজক খুঁজি

কোনো একটি বিষয় নিয়ে ১০০ শব্দের মধ্যে একটি অনুচ্ছেদ লেখো। লেখা হয়ে গেলে যোজক শব্দগুলোর নিচে দাগ দাও।

উত্তর: আজ তপুর মনে ভারি আনন্দ। বাবা তাকে আজ এক জোড়া টিয়া পাখি কিনে দিয়েছেন। যদিও বাবা অনেক রাশভাবি স্বভাবের, তবুও তপুকে বাবা অনেক ভালোবাসেন। যেহেতু আজ পাখি কেনা হয়েছে, তাই বাড়িতে একটু উৎসব উৎসব পরিবেশ বিরাজ করছে। নিচের ফ্ল্যাটের অনেকে এসে তপুর পাখি দেখে গেছে। তপুর পাখিটি মিঠু মিঠু বলে ডাকে। কারণ ছোটোবেলা থেকেই নাকি তাকে মিঠু নামে ডাকা হতো। টিয়া পাখিকে কোনো একটা নাম ধরে ডাকতে হয়: নইলে টিয়া পাখি সহজে কথা বসে না। আর পাশের বাড়ির রবিনদেরও টিয়া পাখি আছে। তবে ওদের পাখি কোনো কিছুই ডাকে না। যদি রবিন ওদের ফ্ল্যাটে আসে তবে তপু ওকে ওর টিয়া পাখি দেখাবে। নতুবা রবিন তপুকে অহংকারী ভাবতে পারে।

অর্থ বুঝে বাক্য লেখার নিয়ম- নমুনা ৮

নমুনা ৮ এ আমরা অর্থ বুঝে বাক্য লেখার নিয়ম শিখতে আবেগ সংক্রান্ত শব্দ শিখে বাক্য তৈরি করব।

শেষ বলে ছয় মেরে বাংলাদেশ, জিতে গেল। আমি বললাম, ‘আহ্! কী চমৎকার খেলাই না দেখলাম!’

ছোটো বোন চিৎকার দিয়ে উঠল দারুণ। আমরা জিতে গেছি।’ ওর চোখে-মুখে খুশির ঝিলিক। মা বললেন, ‘বাহু, এমন খেলা বহুদিন দেখেনি। ছেলেরা ভালোই খেলেছে।’ বাবা বললেন, “শাবাশ। এই না হলে বাঘের বাচ্চা!’ ‘আহা। যারা হেরে গেল, ওদের মনে অনেক কষ্ট। তাই না?’ ছোটো বোন একটা ফোড়ন কাটল।

বাবা হাসলেন। বললেন, ‘দুর। এতে কষ্টের কী আছে? এটা তো একটা খেলা। খেলায় হারজিত থাকতেই পারে।’

মা জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে বললেন, ‘আরে! এর মধ্যেই দেখি বিজয় মিছিল শুরু হয়ে গেছে।’ বোন সেদিকে তাকিয়ে বলল, ‘বাপরে বাপ! কত বড়ো মিছিল।’

মনের আবেগে হঠাৎ করে কিছু শব্দ আমরা উচ্চারণ করে থাকি। উপরের অনুচ্ছেদ থেকে এ ধরনের শব্দ খুঁজে বের করো এবং নিচের খালি জায়গায় লেখো।

…………………………………………………………………………………………..

…………………………………………………………………………………………..

…………………………………………………………………………………………..

লেখা শেষ হলে তোমার বন্ধুদের সাথে মিলিয়ে নাও। তাদের সাথে উত্তরের পার্থক্য হলে তা নিয়ে আলোচনা কর।

উত্তর:

আহ্! দারুণ! বাহ! দূর! আরে! বাপরে বাপ!

আমার লেখার সাথে বন্ধুদের লেখা মিলিয়ে দেখলাম। তাদের উত্তরের সাথে আমার উত্তরের কোনো পার্থক্য হয়নি।

আবেগ

মনের নানা ভাব বা আবেগকে প্রকাশ করা হয় যেসব শব্দ দিয়ে সেগুলোকে আবেগ শব্দ বলে। এই ধরনের শব্দ বাক্যের অন্য শব্দগুলো থেকে খানিকটা আলগাভাবে বা স্বাধীনভাবে ব্যবহৃত হয়। যেমন- ছি ছি, আহা, বাহ্, শাবাশ, হায় হায় ইত্যাদি। পাঠ থেকে আবেগ খুঁজি

‘চিঠি বিলি’ ছড়া ও ‘সুখী মানুষ’ নাটক থেকে আবেগ শব্দ খোঁজ করো। পাওয়া গেলে এর একটি তালিকা তৈরি করো।

উত্তর:

নাটকের নাম আবেগ শব্দ
‘চিঠি বিলি’ থেকে পাওয়া নেই
‘সুখী মানুষ’ থেকে পাওয়া তো! আহা রে।, চুপ চুপ! অ্যা!

 

অনুচ্ছেদ লিখে আবেগ খুঁজি

কোনো একটি বিষয় নিয়ে ১০০ শব্দের মধ্যে একটি অনুচ্ছেদ লেখো। লেখা হয়ে গেলে আবেগ শব্দগুলোর নিচে দাগ দাও।

……………………………………………………………………………….

……………………………………………………………………………….

……………………………………………………………………………….

উত্তর: আজ অর্ধবার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল দিয়েছে। আলম সব- বিষয়ে পাস করলেও অঙ্কে পেয়েছে ৩০। ইস্। আর মাত্র তিনটি নম্বরের জন্য ফেল। মাকে রেজাল্ট দেখানো মাত্র মা হায় হায়! করে উঠলেন। বললেন, ‘ওরে! এই ফলাফল। তোর বাবা শুনলে ছি ছি! করবেন। মা আলমকে অনেক গালমন্দ করলেন। বললেন, জ্বালা! গোল্লায় যাক এসব ছেলে। উফ, আর পারি না। আলমকে মন খারাপ করে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে দাদি বললেন, দূর পাগল, অত ভাবার কী আছে? তোর বাবাকে আমি বুঝিয়ে বলব। এখন থেকে মন দিয়ে অঙ্ক করবি। আহারে! বাছার মুখটা একেবারে শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে। ওরে, কে আছিস, আলম সোনাকে খেতে দে। মা আবারও রেগে উঠলেন। বললেন, ‘কী জ্বালা।’।

অর্থ বুঝে বাক্য লেখার নিয়ম এর অতিরিক্ত প্রশ্ন ও উত্তর

নিম্নে প্রতিটি নমুনা থেকে অর্থ বুঝে বাক্য লেখার নিয়ম শেখার জন্য এক কথায় প্রশ্নোত্তর আলোচনা করা হলো।

■ নমুনা ১

প্রশ্ন-১। হাবিব কখন ঢাকায় এসে পৌছালো?

উত্তর: হাবিব সোমবার সকালে ঢাকায় এসে পৌঁছালো।

প্রশ্ন-২। হাবিব কখন রওনা দিয়েছিল?

উত্তর: হাবিব রবিবার রাতে রওনা দিয়েছিল।

প্রশ্ন-৩। হাবিব কার সাথে ঢাকায় গিয়েছিল?

উত্তর: হাবিব তার বড়ো বোনের সাথে ঢাকায় গিয়েছিল।

প্রশ্ন-৪। হাবিবের বাড়ি কোথায়?

উত্তর: হাবিবের বাড়ি হলো রাজশাহী।

প্রশ্ন-৫। হাবিব ঢাকায় কার বাসায় গিয়েছিল?

উত্তর: হাবিব ঢাকায় তার বোনের বাসায় গিয়েছিল।

প্রশ্ন-৬। হাবিব পথে কী দেখে অবাক হয়েছিল?

উত্তর: হাবিব পথে ফ্লাইওভার দেখে অবাক হয়েছিল।

প্রশ্ন-৭। হাবিব ফ্লাইওভার দেখে কী মনে করেছিল?

উত্তর: হাবিব ফ্লাইওভার দেখে দোতলা রাস্তা মনে করেছিল।

প্রশ্ন-৮। হাবিব বোনের বাসার কাছে রাস্তার পাশে কীসের দোকান দেখতে পায়?

উত্তর: হাবিব বোনের বাসার কাছে রাস্তার পাশে একটি ফুলের দোকান দেখতে পায়।

প্রশ্ন-৯। ফুলের দোকানে কী কী ফুল ছিল?

উত্তর: ফুলের দোকানে রজনীগন্ধা, গোলাপ, গাঁদাসহ নানা রকমের ফুল ছিল।

প্রশ্ন-১০। ফুলের দোকানের পাশে কীসের দোকান রয়েছে?

উত্তর: ফুলের দোকানের পাশে ফলের দোকান রয়েছে।

প্রশ্ন-১১। ফলের দোকান থেকে আপা কী কিনল?

উত্তর: ফলের দোকান থেকে আপা কিছু পেয়ারা কিনল।

প্রশ্ন-১২। সেদিন টেলিভিশনে কোন দেশের খেলা দেখাচ্ছিল?

উত্তর: সেদিন টেলিভিশনে বাংলাদেশের খেলা দেখাচ্ছিল।

■ বিশেষ্য

প্রশ্ন-১। বিশেষ্য কাকে বলে?

উত্তর: বাক্যে যেসব শব্দ দিয়ে কোনো নাম বোঝায় সেগুলোকে বিশেষ্য বলে।

প্রশ্ন-২। বিশেষ্য কী কী রকমের হতে পারে?

উত্তর: বিশেষ্য অনেক রকমের হতে পারে। যেমন- মানুষ বা জায়গার নাম, একই জাতের কাউকে বা কোনোটিকে বোঝায় এমন নাম: কোনো গুণের নাম; কোনো কাজের নাম ইত্যাদি হতে পারে।

প্রশ্ন-৩। রাসেল, ঢাকা, গীতাঞ্জলি ইত্যাদি কী বিশেষ্য?

উত্তর: রাসেল, ঢাকা, গীতাঞ্জলি ইত্যাদি মানুষ, জায়গা ইত্যাদির নাম বিশেষ্য।

প্রশ্ন-৪। শিক্ষক, গাছ দিয়ে কী বোঝায়?

উত্তর: শিক্ষক, গাছ দিয়ে একই জাতের কাউকে বা কোনোটিকে বোঝায়।

প্রশ্ন-৫। ইট ও বই কীসের নাম?

উত্তর: ইট ও বই কোনো জিনিসের নাম।

প্রশ্ন-৬। একত্রে থাকা বোঝায় কোনগুলোকে?

উত্তর: একত্রে থাকা বোঝায় জনতা, বাহিনী, মিছিল ইত্যাদিকে।

প্রশ্ন-৭। সরলতা, মাধুর্য, দয়া কীসের নাম?

উত্তর: সরলতা, মাধুর্য, দয়া হলো গুণের নাম।

প্রশ্ন-৮। কোনো কাজের নাম বোঝায় কোনগুলোকে?

উত্তর: কোনো কাজের নাম বোঝায় ভোজন, শয়ন, পড়ানো ইত্যাদিকে।

■ নমুনা ২

প্রশ্ন-১। কার প্রিয় বইটি হারিয়ে গেছে?

উত্তর: পারুলের প্রিয় বইটি হারিয়ে গেছে।

প্রশ্ন-২। পারুল কীভাবে জানালো তার প্রিয় বইটি হারিয়ে গেছে?

উত্তর: পারুল ফোন করে জানালো যে, তার প্রিয় বইটি হারিয়ে গেছে।

প্রশ্ন-৩। পারুলের বইটি কোথায় ছিল?

উত্তর: পারুলের বইটি টেবিলের উপর রাখা ছিল।

প্রশ্ন-৪। বইটি কে নিয়েছে বলে সন্দেহ হয় পারুলের?

উত্তর: বইটি শাহেদ নিয়েছে বলে সন্দেহ হয় পারুলের।

প্রশ্ন-৫। পারুলের সন্দেহের তালিকায় আরও কে কে আছে?

উত্তর: পারুলের সন্দেহের তালিকায় আরও আছে মিনু আর চিনুর নাম।

প্রশ্ন-৬। পারুলের ধারণা তার বইটি কে নিতে পারে?

উত্তর: পারুলের ধারণা তার বইটি শাহেদ, মিনু ও চিনু যে কেউ নিতে পারে।

প্রশ্ন-৭। কোনো ব্যাপারে নিশ্চিত না হয়ে কী করা ঠিক নয়?

উত্তর: কোনো ব্যাপারে নিশ্চিত না হয়ে কাউকে দোষ বা সন্দেহ করা ঠিক নয়।

প্রশ্ন-৮। কাউকে দোষ না দিয়ে পারুলের কী করা উচিত?

উত্তর: কাউকে দোষ না দিয়ে পারুলের কয়েক দিন অপেক্ষা করা উচিত।

প্রশ্ন-৯। কিছু দিন পর পারুল কী জানালো?

উত্তর: কিছু দিন পর পারুল জানালো যে তার বইটি পাওয়া গেছে।

প্রশ্ন-১০। পারুলের বইটি কীভাবে পাওয়া গেল?

উত্তর: পারুলের বইটি তার বাবা বুকসেলফে তুলে রেখেছিলেন। তাই বুকশেলফে পাওয়া গেল।

প্রশ্ন-১১। কে পারুলের বইটি বুকশেলফে তুলে রেখেছিলেন?

উত্তর: পারুলের বাবা পারুলের বইটি বুকসেলফে তুলে রেখেছিলেন।

■ সর্বনাম

প্রশ্ন-১। সর্বনাম কাকে বলে?

উত্তর: বিশেষ্যের পরিবর্তে ব্যবহৃত শব্দকে সর্বনাম বলে।

প্রশ্ন-২। সর্বনাম কীসের পরিবর্তে ব্যবহূত হয়?

উত্তর: সর্বনাম বিশেষ্যের পরিবর্তে ব্যবহৃত হয়।

প্রশ্ন-৩। বাক্যের মধ্যে বিশেষ্যের অনুরূপ শব্দ পালন করে কোন শব্দ?

উত্তর: বাক্যের মধ্যে বিশেষ্যের অনুরূপ শব্দ পালন করে সর্বনাম শব্দ।

প্রশ্ন-৪। ‘শিমূল মনোযোগের সঙ্গে পড়াশোনা করত। তাই সে পরীক্ষায় ভালো করেছে। এখানে সর্বনাম শব্দ কোনটি?

উত্তর: ‘শিমুল মনোযোগের সঙ্গে পড়াশোনা করত। তাই সে পরীক্ষায় ভালো করেছে। এখানে সর্বনাম শব্দ হলো ‘সে’।

■ নমুনা ৩

প্রশ্ন-১। কী কী রঙের জামা পড়ে কয়েকটি মেয়ে স্কুল থেকে ফিরছিল?

উত্তর: নীল-সাদা রঙের জামা পড়ে কয়েকটি মেয়ে স্কুল থেকে ফিরছিল।

প্রশ্ন-২। মেঠো পথের দুপাশে কী আছে?

উত্তর: মেঠো পথের দুপাশে ধানখেত আছে।

প্রশ্ন-৩। হঠাৎ সামনের মেয়েটি থমকে দাঁড়িয়ে কী বলল?

উত্তর: হঠাৎ সামনের মেয়েটি থমকে দাঁড়িয়ে বলল, “দ্যাখ দ্যাখ, কী সুন্সর একটা পাখি উড়ে যাচ্ছে।”

প্রশ্ন-৪। পাশের মেয়েটি তাকিয়ে কী দেখতে পেল?

উত্তর: পাশের মেয়েটি তাকিয়ে নীল আকাশে শুধু সাদা মেঘ ভেসে যেতে দেখতে পেল।

প্রশ্ন-৫। উড়ন্ত পাখিটা কী হয়ে গেল?

উত্তর: উড়ন্ত পাখিটা চোখের আড়াল হয়ে গেল।

প্রশ্ন-৬। ধানখেত পার হতেই কী পাওয়া যায়?

উত্তর: ধানখেত পার হতেই বড়ো পুকুর পাওয়া যায়।

প্রশ্ন-৭। পুকুরের পানি কেমন?

উত্তর: পুকুরের পানি টলমলে।

প্রশ্ন-৮। পুকুরের ধারে কী রয়েছে?

উত্তর: পুকুরের ধারে রয়েছে একটা বড়ো আমগাছ।

প্রশ্ন-৯। সবাই আমগাছে কী দেখতে পেল?

উত্তর: সবাই আমগাছের দিকে তাকিয়ে প্রচুর মুকুল দেখতে পেল।

প্রশ্ন-১০। কীসে আমগাছের সবুজ পাতা ঢাকা পড়েছে?

উত্তর: সাদা মুকুলে আমগাছের সবুজ পাতা ঢাকা পড়েছে।

প্রশ্ন-১১। গাছের নিচে কে বসে আছেন?

উত্তর: গাছের নিচে একজন বয়স্ক লোক চেয়ারে বসে আছেন।

প্রশ্ন-১২। লোকটির বয়স কত হতে পারে?

উত্তর: লোকটির বয়স রুম-বেশি সত্তর বছর হতে পারে।

প্রশ্ন-১৩। যে বছর ধান ভালো হয়, সে বছর আমের ফলনও ভালো হয়।-কথাটি কে বলেছেন?

উত্তর: যে বছর ধান ভালো হয়, সে বছর আমের ফলনও ভালো হয়।-কথাটি বলেছেন একজন বয়স্ক ব্যক্তি।

প্রশ্ন-১৪। গুণ, দোষ, সংখ্যা, পরিমাণ, অবস্থা ইত্যাদি বোঝায় কোন কোন শব্দে?

উত্তর: গুণ, দোষ, সংখ্যা, পরিমাণ, অবস্থা ইত্যাদি বোঝায় কিছু বিশেষ্য ও সর্বনাম শব্দে।

■ বিশেষণ

প্রশ্ন-১। বিশেষণ শব্দ কাকে বলে?

উত্তর: যে শব্দ দিয়ে বিশেষ্য ও সর্বনামের গুণ, দোষ, সংখ্যা, পরিমাণ, অবস্থা বোঝায়, তাকে বিশেষণ শব্দ বলে।

প্রশ্ন-২। ‘লাল ফুল, টাটকা সবজি, দশ টাকা- এখানে বিশেষণ শব্দ কোনগুলো?

উত্তর: বিশেষণ শব্দগুলো হলো- লাল, টাটকা, দশ।

■ নমুনা ৪

প্রশ্ন-১। রিনার ভাইয়ের নাম কী?

উত্তর: রিনার ভাইয়ের নাম রাজীব।

প্রশ্ন-২। রিনার ভাই রাজীব কী করে?

উত্তর: সবাই যখন খেলে, রাজীব তখন পড়তে বসে। সবাই যখন পড়ে, রাজীব তখন ঘুমায়। সবাই যখন ঘুমায় রাজীব তখন খেলে।

প্রশ্ন-৩। রাজীবের বয়স কত বছর পূর্ণ হলো?

উত্তর: রাজীবের বয়স চার বছর পূর্ণ হলো।

প্রশ্ন-৪। রাজীবের আচরণ কেমন?

উত্তর: রাজীবের আচরণ সবকিছুতেই এলোমেলো।

প্রশ্ন-৫। রাজীবের বাবার প্রশ্নে রাজীবের মা কী উত্তর দিলেন?

উত্তর: রাজীবের বাবার প্রশ্নে রাজীবের মা বললেন যে, রাজীব সব কাজ এলোমেলো করে না।

প্রশ্ন-৬। রাজীবের মায়ের উত্তরে রাজীবের বাবা কী বললেন?

উত্তর: রাজীবের মায়ের উত্তরে রাজীবের বাবা বললেন যে, আরও বড়ো হলে কী আচরণ করে সেটাই দেখার বিষয়।

• ক্রিয়া

প্রশ্ন-১। ক্রিয়া কাকে বলে?

উত্তর: যেসব শব্দ দিয়ে করা বা হওয়া বোঝায়, সেগুলোকে ক্রিয়া বলে।

প্রশ্ন-২। ‘সুমি খেলছে। সূর্য ডুবে গিয়েছে।’- এখানে ক্রিয়া শব্দ কোনগুলো? উত্তর: খেলছে, গিয়েছে শব্দগুলো ক্রিয়া শব্দ।

■ নমুনা ৫

প্রশ্ন-১। তুমি জোরে দৌড়াও, রানা ধীরে হাঁটে। তুমি থামবে না, আমিও দাঁড়াব না। এখানে জোরে, ধীরে, থামবে, দাঁড়াব শব্দ দ্বারা কী বোঝায়?

উত্তর: তুমি জোরে দৌড়াও, রানা ধীরে হাঁটে। তুমি থামবে না, আমিও দাঁড়াব না। এখানে জোরে, ধীরে, থামবে, দাঁড়াব শব্দ যারা ক্রিয়ার গতি, সময় ইত্যাদি বোঝায়।

■ ক্রিয়াবিশেষণ

প্রশ্ন-১। ক্রিয়াবিশেষণ কাকে বলে?

উত্তর: যে শব্দ দিয়ে ক্রিয়ার গতি, সময় ইত্যাদি বোঝায়, সেগুলোকে ক্রিয়াবিশেষণ বলে।

প্রশ্ন-২। ছেলেটি তাড়াতাড়ি হাঁটে। লোকটি সামনে এগিয়ে গেল।-

এখানে ক্রিয়াবিশেষণ কোনগুলো?

উত্তর: ক্রিয়াবিশেষণগুলো হলো- তাড়াতাড়ি, সামনে।

■ নমুনা ৬

প্রশ্ন-১। তিশার দাদির কাছে কী রয়েছে?

উত্তর: তিশার দাদির কাছে একটা পুরাতন সিন্দুক রয়েছে।

প্রশ্ন-২। সিন্দুকটি সব সময় কেমন অবস্থায় থাকে?

উত্তর: সিন্দুকটি সব সময় তালা দিয়ে আটকানো থাকে।

প্রশ্ন-৩। সিন্দুকটি বহুদিন ধরে খোলা হয় না কেন?

উত্তর: সিন্দুকটির চাবি হারিয়ে গেছে, তাই বহুদিন ধরে খোলা হয় না।

প্রশ্ন-৪। তিশা দাদির কাছে কী জানতে চাইল?

উত্তর: তিশা দাদির কাছে সিন্দুকে কী আছে তা জানতে চাইল।

প্রশ্ন-৫। সিন্দুকটির ভেতরে কী কী জিনিস রয়েছে?

উত্তর: সিন্দুকটির ভেতরে দাদির শাশুড়ির, দাদির এবং তিশার মায়ের গয়না রয়েছে।

প্রশ্ন-৬। সিন্দুকটি খোলার জন্য কী করা হলো?

উত্তর: সিন্দুকটি খোলার জন্য চাবি বানানোর লোক আনানো হলো।

■ অনুসর্গ

প্রশ্ন-৭। অনুসর্গ কাকে বলে?

উত্তর: যেসব শব্দ কোনো শব্দের পরে বসিয়ে শব্দটিকে বাক্যের সঙ্গে সম্পর্কিত করা হয়, সেসব শব্দকে অনুসর্গ বলে।

প্রশ্ন-৮। ‘মাথার উপরে নীল আকাশ। সে ঢাকা থেকে বরিশাল গেল।– এখানে অনুসর্গ শব্দ কোনগুলো?

উত্তর: অনুসর্গ শব্দগুলো হলো- উপরে, থেকে।

■ নমুনা ৭

প্রশ্ন-১। নমুনা ৭-এ পলাশের নানার কী হয়েছিল?

উত্তর: : নমুনা ৭-এ পলাশের নানার কঠিন cationbl এবং ওই অসুখে কয়েক বছর ভুগেছিলেন।

প্রশ্ন-২। পলাশের নানি কীভাবে মারা যায়?

উত্তর: পলাশের নানা মারা যাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর পলাশের নানি হাট-অ্যাটাকে মারা যায়।

প্রশ্ন-৩। পলাশের মন খুব খারাপ ছিল কেন?

উত্তর: পলাশের নানা-নানি মারা যাওয়ায় পলাশের মন খুব খারাপ ছিল।

প্রশ্ন-৪। পলাশ একসময়ে কী বুঝতে পারে?

উত্তর: পলাশ একসময়ে বুঝতে পারে মানুষের বার্ধক্য আর মৃত্যু ঠেকানো যায় না।

প্রশ্ন-৫। পলাশের কখন খুব ভালো লাগত?

উত্তর: পলাশদের বাড়িতে যখন নানা-নানি বেড়াতে আসতেন তখন পলাশের খুব ভালো লাগত।

প্রশ্ন-৬। নানা-নানি বেড়াতে এলে পলাশের ভালো লাগত কেন?

উত্তর: পলাশের নানা-নানি যখন পলাশদের বাড়িতে বেড়াতে আসত তখন তার খুব ভালো লাগত। কারণ তাঁরা পলাশকে খুব আদর করতেন। মজার মজার গল্প করতেন।

■ যোজক

প্রশ্ন-১। যোজক কাকে বলে?

উত্তর: শব্দ বা বাক্যকে যুক্ত করে যেসব শব্দ, সেগুলোকে যোজক বলে।

প্রশ্ন-২। এবং, ও, আর, অথবা, তবু, সুতরাং, কারণ, তবে এগুলো কোন ধরনের শব্দ?

উত্তর: এবং, ও, আর, অথবা, তবু, সুতরাং, কারণ, তবে এগুলো যোজক শব্দ।

■ নমুনা ৮

প্রশ্ন-১। শেষ বলে কোন দল ছয় মেরে জিতে গেল?

উত্তর: শেষ বলে বাংলাদেশ দল হয় মেরে জিতে গেল।

প্রশ্ন-২। ছোটো বোনের চোখে-মুখে খুশির ঝিলিক কেন?

উত্তর: বাংলাদেশের ক্রিকেট দল শেষ বলে ছয় মেরে জিতে গেছে। তাই ছোটো বোনের চোখে-মুখে খুশির ঝিলিক।

প্রশ্ন-৩। কে বলেছিলেন, ‘এমন খেলা বহুদিন দেখিনি’?

উত্তর: মা বলেছিলেন, এমন খেলা বহুদিন দেখিনি।

প্রশ্ন-৪। বাবা খেলা দেখে কী বলেছিলেন?

উত্তর: বাবা খেলা দেখে বলেছিলেন, ‘শাবাশ! এই না হলে বাঘের বাচ্চা।’

প্রশ্ন-৫। ছোটো বোন কী নিয়ে ফোড়ন কাটল?

উত্তর: যারা হেরে গেছে তাদের কষ্টের কথা বলে ছোটো বোন ফোড়ন কাটল।

প্রশ্ন-৬। খেলায় কী থাকতেই পারে?

উত্তর: খেলায় হারজিত থাকতেই পারে।

প্রশ্ন-৭। মা জানালা দিয়ে তাকিয়ে বাইরে কী দেখতে পেল?

উত্তর: মা জানালা দিয়ে তাকিয়ে বাইরে দেখতে পেল বিজয় মিছিল।

■ আবেগ

প্রশ্ন-১। আবেগ শব্দ কাকে বলে?

উত্তর: মনের নানা ভাব বা আবেগকে প্রকাশ করা হয় যেসব শব্দ

দিয়ে সেগুলোকে আবেগ শব্দ বলে।

প্রশ্ন-২। আবেগ শব্দ বাক্যে কীভাবে ব্যবহৃত হয়?

উত্তর: আবেগ শব্দ বাক্যের অন্য শব্দগুলো থেকে খানিকটা আলাদাভাবে বা স্বাধীনভাবে ব্যবহৃত হয়।

প্রশ্ন-৩। ছি, ছি, আহা, শাবাশ ইত্যাদি শব্দকে কী ধরনের শব্দ বলে? উত্তর: ছি, ছি, আহা, শাবাশ ইত্যাদি শব্দকে আবেগ শব্দ বলে।

অর্থ বুঝে বাক্য লিখি থেকে নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নোত্তর

■ নমুনা ১

১. হাবিব ঢাকায় কখন পৌছাল?

ক) শনিবার সকালে •

খ) রবিবার বিকালে

গ) সোমবার সকালে

ঘ) ভঙ্গলবার রাতে

উ. গ

২. হাবিব কার সাথে ট্রেনে করেঞ্চঘনা দিয়েছিল?

ক) মামার

খ) বোনের

গ) মায়ের

ঘ) বাবার

উ. খ

৩. হাবিব কোথা থেকে রওনা দিয়েছিল?

ক) যশোর

খ) রাজশাহী

গ) সিলেট

ঘ) পঞ্চগড়

উ. খ

৪. হাবিব রাস্তায় কী দেখে অবাক হয়েছিল?

ক) ফ্লাইওভার

খ) প্রচুর লোক

গ) বাসের জ্যাম

ঘ) উঁচু ভবন

উ. ক

৫. হাবিবের বোনের বাসার পাশের রাস্তায় কীসের দোকান রয়েছে?

ক) তরকারির

খ) হার্ডওয়্যারের

গ) ফুলের

ঘ) মাছের

উ. গ

৬. হাবিবের বড়ো বোন দোকান থেকে কী কিনল?

ক) ফুল

খ) ফল

গ) তরকারি

ঘ) কিছু মাছ

উ. খ

৭. হাবিব সেদিন টেলিভিশনের সামনে কী খেলা দেখতে বসেছিল?

ক) ফুটবল

খ) দাবা

গ) ক্রিকেট

ঘ) সাঁতার

উ. গ

৮. ঢাকা, নদী, বই, জনতা- এগুলো কী ধরনের শব্দ?

ক) বিশেষ্য

খ) সর্বনাম

গ) বিশেষণ

ঘ) ক্রিয়া

উ. ক

৯. নদী, গাছ, শিক্ষক-এগুলো কী ধরনের বিশেষ্য?

ক) জায়গার নাম

খ) জিনিসের নাম

গ) জাতের নাম

ঘ) গুণের নাম

উ. গ

১০. নিচের কোন বিশেষ্যগুলো কাজের নাম বোঝায়?

ক) ঢাকা, গীতাঞ্জলি

খ) সরলতা, দয়া

গ) নদী, গাছ

ঘ) ভোজন, শয়ন

উ. ঘ

■ নমুনা ২

১১. নমুনা ২-এ কার একটি বই হারিয়ে গেছে?

ক) শাহেদের

খ) মিনুর

গ) পারুলের

ঘ) চিনুর

উ. গ

১২. পারুলের বইটি কে নিয়েছে বলে পারুলের সন্দেহ।

ক) শাহেদ

খ) মিনু

গ) চিনু

ঘ) পলাশ

উ. ক

১৩. পারুলের বইটি কোথায় পাওয়া গিয়েছিল?

ক) শোবার ঘরে

খ) বুকসেলফে

গ) মিটশেফে

ঘ) কিচেনে

উ. গ

■ সর্বনাম

১৪. বিশেষ্যের পরিবর্তে কোন শব্দ ব্যবহৃত হয়?

ক) বিশেষণ

খ) ক্রিয়া

গ) সর্বনাম

ঘ) যোজক

উ. গ

১৫. শিমুল মনোযোগের সঙ্গে পড়াশোনা করতো। তাই সে পরীক্ষায় ভালো করেছে এখানে সর্বনাম শব্দ কোনটি?

ক) শিমূল

খ) সে

গ) পড়াশোনা

ঘ) পরীক্ষা

উ. খ

■ নমুনা ৩

১৬. নমুনা ৩-এ মেঠো পথের, দুপাশে কী ছিল?

ক) দুটি তালগাছ

খ) বাড়িঘর

গ) সবুজ ধানখেত

ঘ) দুটি পুকুর

উ. গ

১৭. স্কুলে যাওয়া মেয়েদের স্কুলজামা কী রঙের ছিল?

ক) সাদা-কালো

খ) নীল-সাদা

গ) সাদা-সবুজ

ঘ) সবুজ-হলুদ

উ. খ

১৮. আকাশে কী ভেসে বেড়াচ্ছে?

ক) সাদা মেঘ

খ) কয়েকটি পাখি

গ) একটি ঘুড়ি

ঘ) উড়োজাহাজ

উ. ক

১৯. ধানখেত পার হতেই কী রয়েছে?

ক) একটি আমগাছ

খ) একটি বড়ো পুকুর

গ) দুটি তালগাছ

ঘ) একটি বাড়ি

উ. খ

২০. পুকুরের ধারে কী রয়েছে?

ক) একটি আমগাছ

খ) একটি বাড়ি

গ) দুটি তালগাছ

ঘ) ধানের খেত

উ. ক

২১. গাছের নিচে বসে থাকা লোকটির বয়স কত বছর?

ক) ৪৫

খ) ৬৫

গ) ৭০

ঘ) ৮০

উ. গ

■ বিশেষণ

২২. যে শব্দ দিয়ে বিশেষ্য ও সর্বনামের গুণ, দোষ, সংখ্যা, পরিমাণ, অবস্থা বোঝায় তাকে কী শব্দ বলে?

ক) বিশেষ্য

খ) বিশেষণ

গ) সর্বনাম

ঘ) ক্রিয়া

উ. খ

২৩. লাল ফুল, ভালো কথা। এখানে লাল, ভালো কী শব্দ?

ক) বিশেষ্য

খ) সর্বনাম

গ) বিশেষণ

ঘ) ক্রিয়া

উ. গ

২৪. নিচের কোনটির বিশেষণ শব্দ আছে?

ক) সে গান করে

খ) মিতু যায়

গ) টাটকা সবজি

ঘ) সুমি খেলছে

উ. গ

■ নমুনা ৪

২৫. নমুনা ৪-এ রিনার ভাইয়ের নাম কী?

ক) পলাশ

খ) রাজীব

গ) হাবিব

ঘ) নিলয়

উ. খ

২৬. রিনার ভাইয়ের বয়স কত বছর পূর্ণ হলো?

ক) চার

খ) ছয়

গ) পাঁচ

ঘ) সাত

উ. ক

২৭. রিনার ভাই রাজীবের কাজ কেমন?

ক) পরিপাটি

খ) যেমন-তেমন

গ) এলোমেলো

ঘ) খুব ভালো

উ. গ

২৮. যেসব শব্দ দিয়ে কোনোকিছু করা বা হওয়া বোঝায় তাকে কী বলে?

ক) বিশেষ্য

খ) সর্বনাম

গ) বিশেষণ

ঘ) ক্রিয়া

উ. ঘ

২৯. ‘সুমি খেলছে।’- এখানে ‘খেলছে’ কী ধরনের শব্দ?

ক) বিশেষ্য

খ) বিশেষণ

গ) সর্বনাম

ঘ) ক্রিয়া

উ. ঘ

৩০. ‘রাজীব বড়ো হলে বুঝতে শিখবে।’- এখানে ক্রিয়া শব্দ কোনটি?

ক) রাজীব

খ) বুঝতে

গ) বড়ো

ঘ) শিখবে

উ. ঘ

৩১. নিচের কোনটি ক্রিয়া?

ক) বল

খ) নদী

গ) খেলছে

ঘ) এবং

উ. গ

■ নমুনা ৫

৩২. ‘তুমি জোরে দৌড়াও।’- বাক্যটিতে কোন ধরনের শব্দ রয়েছে?

ক) বিশেষ্য

খ) ক্রিয়াবিশেষণ

গ) বিশেষণ

ঘ) আবেগ

উ. খ

৩৩. ‘ছেলেটি তাড়াতাড়ি হাঁটে।’- এখানে ‘তাড়াতাড়ি’ কোন ধরনের শব্দ?

ক) বিশেষ্য

খ) ক্রিয়াবিশেষণ

গ) বিশেষণ

ঘ) ক্রিয়া

উ. খ

৩৪. যে শব্দ দিয়ে ক্রিয়ার গতি, সময় ইত্যাদি বোঝায়, সেগুলোকে কী বলে?

ক) বিশেষ্য

খ) ক্রিয়া

গ) বিশেষণ

ঘ) ক্রিয়াবিশেষণ

উ. ঘ

৩৫. ‘লোকটি সামনে এগিয়ে গেল।’- এখানে ক্রিয়াবিশেষণ কোনটি?

ক) লোকটি

খ) এগিয়ে

গ) সামনে

ঘ) গেল

উ. গ

■ নমুনা ৬

৩৬. নমুনা ৬-এ তিশার দাদির কাছে কী আছে?

ক) একটি পানের বাটা

খ) একটি পুরাতন সিন্দুক

গ) একটি বই

ঘ) একটি চাবিগোছা

উ. খ

৩৭. তিশার দাদির সিন্দুকটি বহুদিন ধরে খোলা হয় না কেন?

ক) প্রয়োজন পড়ে না

খ) চাবি হারিয়ে গেছে

গ) মানা আছে তাই

ঘ) সিন্দুকে কিছু নেই

উ. খ

■ অনুসর্গ

৩৮. যেসব শব্দ কোনো শব্দের পরে বসিয়ে শব্দটিকে বাক্যের সঙ্গে সম্পর্কিত করা হয় সেসব শব্দকে কী বলে?

ক) বিশেষ্য

খ) অনুসর্গ

গ) ক্রিয়া

ঘ) যোজক

উ. খ

৩৯. ‘মাথার উপরে নীল আকাশ।’- এখানে ‘উপরে’ কী ধরনের শব্দ?

ক) ক্রিয়া

খ) যোজক

গ) অনসর্গ

ঘ) আবেগ

উ. গ

৪০. সে ঢাকা থেকে বরিশালে গেল। এখানে অনুসর্গ শব্দ কোনটি?

ক) সে

খ) থেকে

গ) ঢাকা

ঘ) বরিশাল

উ. খ

■ নমুনা ৭

৪১. নমুনা ৭-এ পলাশের কে মারা গেছে?

ক) মা-বাবা

খ) দাদা-দাদি

গ) নানা-নানি

ঘ) চাচা-চাচি

উ. গ

৪২. কে হাট-অ্যাটাকে মারা যায়?

ক) পলাশের নানা

খ) পলাশের নানি

গ) পলাশের দাদা

ঘ) পলাশের দাদি

উ. খ

৪৩. কে বুঝতে পারে যে, মানুষের বার্ধক্য আর মৃত্যুকে ঠেকানো যায় না?

ক) পলাশ

খ) রাজীব

গ) হাবিব

ঘ) তিশা

উ. ক

৪৪. পলাশের বাড়িতে কারা বেড়াতে আসতেন?

ক) পলাশের ফুফা-ফুফি

খ) পলাশের খালা-খালু

গ) পলাশের নানা-নানি

ঘ) পলাশের চাচা-চাচি

উ. গ

• যোজক

৪৫. শব্দ বা বাক্যকে যুক্ত করে যেসব শব্দ, সেগুলোকে কী বলে?

ক) অনুসর্গ

খ) যোজক

গ) ক্রিয়া

ঘ) আবেগ

উ. খ

৪৬. নিচের কোনটি যোজক শব্দ?

ক) কসে

খ) পড়া

গ) তবু

ঘ) তাড়াতাড়ি

উ. গ

৪৭. ‘অপু ও তপু দুই ভাই।’- এখানে যোজক শব্দ কোনটি?

ক) অপু

খ) তপু

গ) দুই

ঘ) ও

উ. ঘ

■ নমুনা ৮

৪৮. নমুনা ৮-এ কে চিৎকার দিয়ে উঠল- ‘দারুণ! আমরা জিতে গেছি ‘ বলে?

ক) বাবা

খ) ছোটো বোন

গ) মা

ঘ) বড়ো ভাই

উ. খ

৪৯. ‘শাবাশ! এই না হলে বাঘের বাচ্চা।’- উক্তটি কার?

ক) বাবার

খ) ছোটো বোনের

গ) মায়ের

ঘ) বড়ো ভাইয়ের

উ. ক

৫০. মনের নানা ভাব বা আবেগকে প্রকাশ করা হয় যেসব শব্দ দিয়ে সেগুলোকে কী শব্দ বলে?

ক) বিশেষণ

খ) যোজক

গ) অনুসর্গ

ঘ) আবেগ

উ. ঘ

৫১. আবেগ শব্দ বাক্যে কীভাবে ব্যবহৃত হয়?

ক) বাক্যের সাথে

খ) স্বাধীনভাবে

গ) শব্দের আগে

ঘ) শব্দের পরে

উ. খ

৫২. ‘শাবাশ। এই না হলে বাঘের বাচ্চা।’- এখানে ‘শাবাশ’ কী শব্দ?

ক) ক্রিয়া

খ) আবেগ

গ) ক্রিয়াবিশেষণ

ঘ) যোজক

উ. খ

৫৩. ‘দূর! এতে কষ্টের কী আছে?’- এখানে আবেগ শব্দ কোনটি?

ক) দুর

খ) কষ্টের

গ) এতে

ঘ) কী

উ. ক

৫৪. নিচের কোনটি আবেগ শব্দ?

ক) কও, এবং

খ) হায় হায়।

গ) কী, কীসের

ঘ) থেকে থেকে

উ. খ

অর্থ বুঝে বাক্য লেখার নিয়ম জানতে এক্সক্লুসিভ স্টাডি

• হাবিব ঢাকায় এসে পৌঁছায়- সোমবার সকালে।

• ঢাকা, শিক্ষক, নদী, ইট, সরলতা- বিশেষ্য পদ।

• পারুলের হারিয়ে গেছে- একটা বই।

• বইটা পাওয়া যায়- বুকশেলফে।

• বিশেষ্যের পরিবর্তে বসে- সর্বনাম।

ধানখেত পার হতেই একটা বড় পুকুর।

একটা পুরাতন সিন্দুক আছে- তিশার দাদির কাছে।

যোজক হলো- এবং, ও আর, তবু, কারণ, তবে ইত্যাদি।

Visited 3,149 times, 1 visit(s) today

Leave a Comment