প্রিয় শিক্ষার্থী আজ আমি আপনাদের জন্য ৬ষ্ঠ শ্রেণির বাংলা বইয়ের ২য় অধ্যায়ের প্রমিত ভাষা শিখি অধ্যায়ের ২য় পরিচ্ছদের সুখী মানুষ নাটকের ব্যাখ্যাসহ আলোচনা করব।
সুখী মানুষ নাটকের ব্যাখ্যাসহ আলোচনা
একটি নাটক দেওয়া হলো। নাটকটির নাম ‘সুখী মানুষ‘। এটি মমতাজউদ্দীন আহমদের লেখা। তিনি একজন বিখ্যাত নাট্যকার। তাঁর লেখা বিখ্যাত নাটকের মধ্যে আছে ‘স্বাধীনতা আমার স্বাধীনতা’, ‘কি চাহ শঙ্খচিল’।
যাঁরা নাটক লেখেন, তাঁদের নাট্যকার বলে। নাটকে একজনের সঙ্গে অন্যজনের যেসব কথা হয়, সেগুলোকে সংলাপ বলে। এই নাটকের সংলাপে প্রমিত ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে। এই কথা বা সংলাপ যাদের মুখ দিয়ে উচ্চারিত হয়, তাদের বলে চরিত্র।
আরো পড়ুন: প্রমিত ভাষা যেভাবে শিখবেন | ৬ষ্ঠ শ্রেণি ১ম অধ্যায় ও পরিচ্ছেদ
‘সুখী মানুষ’ নাটকে অনেকগুলো চরিত্র আছে। তুমি ও তোমার সহপাঠীরা এগুলোর মধ্য থেকে একটি করে চরিত্র বেছে নাও এবং চরিত্র অনুযায়ী সংলাপ পাঠ করো। সংলাপ পাঠ করার সময়ে প্রমিত উচ্চারণের দিকে খেয়াল রেখো।
সুখী মানুষ
লেখক-পরিচিতি (Biography)
নাম : মমতাজউদদীন আহমদ
জন্ম: ১৮ই জানুয়ারি, ১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দ। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মালদহ জেলায়।
পিতা: কলিম উদ্দীন আহমদ।
মাতা: সখিনা খাতুন।
স্থায়ী ঠিকানা: বজরাটেক, ভোলাহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ।
শিক্ষাজীবন : প্রবেশিকা
ভোলাহাট আর ইনস্টিটিউশন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, (১৯৫১)।
উচ্চ মাধ্যমিক: রাজশাহী কলেজ, (১৯৫৪)। স্নাতক সম্মান (বাংলা), রাজশাহী কলেজ, (১৯৫৭)।
স্নাতকোত্তর: বাংলা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, (১৯৫৮)।
পেশা/কর্মজীবন: অধ্যাপনা, বিভিন্ন সরকারি কলেজ। খণ্ডকালীন অধ্যাপক, নাট্যকলা ও সংগীত বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। তিনি বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট নাট্যকার ও নির্দেশক।
সাহিত্যসাধনা: নাটক: স্বাধীনতা আমার স্বাধীনতা, রাজা অনুস্বারের পালা, সাতঘাটের কানাকড়ি, আমাদের শহর, হাস্য লাস্য “ভাষ্য। গবেষণাগ্রন্থ: বাংলাদেশের নাটকের ইতিবৃত্ত, বাংলাদেশের থিয়েটারের ইতিবৃত্ত। ছোটগল্প: রগড় কাহিনি ও সরস গল্প। উপন্যাস: সজল তোমার ঠিকানা, ওহে নুরুল ইসলাম ইত্যাদি।
পুরস্কার ও সম্মাননা: শিশু একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, মাহবুবউল্লাহ জেবুন্নেসা ট্রাস্ট স্বর্ণপদক, আলাওল পুরস্কার, বঙ্গবন্ধু সাহিত্য পুরস্কার, একুশে পদক (১৯৯৭)।
মৃত্যু : ২রা জুন, ২০১৯, ঢাকা।
সুখী মানুষ নাটকের চরিত্র
মোড়ল বয়স ৫০
কবিরাজ বয়স ৬০
হাসু বয়স ৪৫
রহমত বয়স ২০
লোক বয়স ৪০
আরো দেখুন: যেভাবে পরিস্থিতি অনুযায়ী যোগাযোগ করবেন | ব্যাখ্যাসহ সমাধান 2024 | ৬ষ্ঠ শ্রেণি বাংলা ১ম অধ্যায়
সুখী মানুষ নাটকের প্রথম দৃশ্য
[মোড়লের অসুখ। বিছানায় শুয়ে ছটফট করছে। কবিরাজ মোড়লের নাড়ি পরীক্ষা করছে। মোড়লের আত্মীয় হাসু মিয়া আর মোড়লের বিশ্বাসী চাকর রহমত আলী অসুখ নিয়ে কথা বলছে।]
হাসু : রহমত, ও রহমত আলী।
রহমত: শুনছি।
হাসু : ভালো করে শোনো, ওই কবিরাজ যতই নাড়ি দেখুক, তোমার মোড়লের নিস্তার নাই।
রহমত: অমন ভয় দেখাবেন না। তাহলে আমি হাউমাউ করে কাঁদতে লেগে যাব।
হাসু: কাঁদো, মন উজাড় করে কাঁদো। তোমার মোড়ল একটা কঠিন লোক। আমাদের সুবর্ণপুরের মানুষকে বড়ো জ্বালিয়েছে। এর গোরু কেড়ে, তার ধান লুট করে তোমার মোড়ল আজ ধনী। মানুষের কান্না দেখলে হাসে।
রহমত : তাই বলে মোড়লের ব্যারাম ভালো হবে না কেন?
হাসু : হবেই না তো। মোড়ল যে অত্যাচারী, মধ্যে থাকলে কাজ হয় পাপী। মনের অশান্তি ওষুধে না। দেখে নিও, মোড়ল মরবে।
রহমত: আর আজে-বাজে কথা বলবেন না। আপনি বাড়ি যান!
কবিরাজ: এত কোলাহল কোরো না। আমি রোগীর নাড়ি পরীক্ষা করছি। রহমত ও কবিরাজ, নাড়ি কী বলছে? মোড়ল বাঁচবে তো!
কবিরাজ: মূর্খের মতো কথা বোলো না। মানুষ এবং প্রাণী অমর নয়। আমি যা বলি, মনোযোগ দিয়ে তাই শ্রবণ করো।
হাসু : আমাকে বলুন। মোড়ল আমার মামাতো ভাই।
রহমত: মোড়ল আমার মনিব।
কবিরাজ: এই নিষ্ঠুর মোড়লকে যদি বাঁচাতে চাও, তাহলে একটি কঠিন কর্ম করতে হবে।
হাসু : বাঘের চোখ আনতে হবে? কবিরাজ: আরও কঠিন কাজ।
রহমত: হিমালয় পাহাড় তুলে আনব?
কবিরাজ: পাহাড়, সমুদ্র, চন্দ্র, নক্ষত্র কিছুই আনতে হবে না।
মোড়ল : আর সহ্য করতে পারছি না। জ্বলে গেল। হাড় ভেঙে গেল। আমাকে বাঁচাও।
কবিরাজ: শান্ত হও। ও রহমত, মোড়লের মুখে শরবত ঢেলে দাও।
[রহমত মোড়লকে শরবত দিচ্ছে।।
হাসু : ওই মোড়ল জোর করে আমার মুরগি জবাই করে খেয়েছে। আমি আজ মুরগির দাম নিয়ে ছাড়ব।
মোড়ল: ভাই হাসু, এদিকে এসো, আমি সব দিয়ে দেবো। আমাকে শান্তি এনে দাও।
কবিরাজ: মোড়ল, তুমি কি আর কোনোদিন মিথ্যা কথা বলবে?
মোড়ল: আর বলব না। এই তোমার মাথায় হাত রেখে প্রতিজ্ঞা করছি, আর কোনোদিন মানুষের ওপর জবরদস্তি করব না। আমাকে ভালো করে দাও।
কবিরাজ: লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু। আর কোনোদিন লোভ করবে?
মোড়ল: না। লোভ করব না, অত্যাচার করব না। আমাকে শান্তি দাও। সুখ দাও।
কবিরাজ: তাহলে মনের সুখে শুয়ে থাকো। আমি ওষুধের কথা চিন্তা করি।
মোড়ল: সুখ কোথায় পাব? আমাকে সুখ এনে দাও।
হাসু : অন্যের মনে দুঃখ দিলে কোনোদিন সুখ পাবে না।
মোড়ল: আমার কত টাকা, কত বড়ো বাড়ি। আমার মনে দুঃখ কেন?
কবিরাজ: চুপ করো। যত কোলাহল করবে, তত দুঃখ বাড়বে। হাসু এদিকে এসো, আমার কথা শ্রবণ করো। মোড়লের ব্যামো ভালো হতে পারে, যদি আজ রাত্রির মধ্যেই-
রহমত: যদি কী?
কবিরাজ: যদি আজ রাত্রির মধ্যেই-
হাসু : কী করতে হবে?
কবিরাজ: যদি একটি ফতুয়া সংগ্রহ করতে পারো
রহমত: ফতুয়া?
কবিরাজ: হ্যাঁ, জামা। এই জামা হবে একজন সুখী মানুষের। তার জামাটা মোড়লের গায়ে দিলে তৎক্ষণাৎ তার হাড়-মড়মড় রোগ ভালো হবে।
রহমত : এ তো খুব সোজা ওষুধ।
কবিরাজ: সোজা নয়, খুব কঠিন কাজ। যাও, সুখী মানুষকে খুঁজে দেখো। সুখী মানুষের জামা না হলে অসুখী মোড়ল বাঁচবে না।
মোড়ল : আমি বাঁচব। জামা এনে দাও, হাজার টাকা বখশিশ দেবো।
সুখী মানুষ নাটকের দ্বিতীয় দৃশ্য
[বনের ধারে অন্ধকার রাত। চাঁদের ম্লান আলো। ছোটো একটু কুঁড়েঘরের সামনে হাসু মিয়া ও রহমত গালে হাত দিয়ে ভাবছে।)
রহমত: কী তাজ্জব কথা, পাঁচ গ্রামে একজনও সুখী মানুষ পেলাম না। যাকেই ধরি, সেই বলে, না ভাই, আমি সুখী নই।
হাসু : আর তো সময় নেই ভাই, এখন বারোটা। সুখী মানুষ নেই, সুখী মানুষের জামাও নেই। মোড়ল তো তাহলে এবার মরবে।
হাসু: পাওয়া যাবে না। সুখী মানুষ পাওয়া যাবে না। সুখ বড়ো কঠিন জিনিস। এ দুনিয়াতে ধনী বলছে, আরও ধন দাও; ভিখারি বলছে, আরও ভিক্ষা দাও; পেটুক বলছে, আরও খাবার দাও। শুধু দাও আর দাও। সবাই অসুখী। কারও সুখ নেই।
রহমত: আমরাও বলছি, মোড়লের জন্য জামা দাও, আমাদের বখশিশ দাও। আমরাও অসুখী।
হাসু : চুপ চুপ! ঘরের মধ্যে কে যেন কথা বলছে।
রহমত: ভূত নাকি? চলেন, পালিয়ে যাই। ধরতে পারলে মাহুভাজা- করে খাবে।
হাসু : এই যে ভাই। ঘরের মধ্যে কে কথা বলছ? বেরিয়ে এসো।
রহমত: ভূতকে ডাকবেন না।
[ঘর থেকে একজন লোক বেরিয়ে এলো।]
লোক: তোমরা কে ভাই? কী চাও?
হাসু: আমরা খুব দুঃখী মানুষ। তুমি কে?
লোক: আমি একজন সুখী মানুষ।
হাসু : অ্যাঁ! তোমার কোনো দুঃখ নাই?
লোক : না। সারা দিন বনে বনে কাঠ কাটি। সেই কাঠ বাজারে বেচি। যা পাই, তাই দিয়ে চাল কিনি, ডাল কিনি। মনের সুখে খেয়ে-দেয়ে গান গাইতে গাইতে শুয়ে পড়ি। এক ঘুমেই রাত কাবার।
হাসু: বনের মধ্যে একলা ঘরে তোমার ভয় করে না? যদি চোর আসে?
লোক : চোর আমার কী চুরি করবে?
হাসু : তোমার সোনাদানা, জামাজুতা?
[লোকটি প্রাণখোলা হাসি হাসছে।।
রহমত: হা হা করে পাগলের মতো হাসছ কেন ভাই!
লোক : তোমাদের কথা শুনে হাসছি। চোরকে তখন বলব, নিয়ে যাও, আমার যা কিছু আছে নিয়ে যাও।
হাসু : তুমি তাহলে সত্যিই সুখী মানুষ!
লোক : দুনিয়াতে আমার মতো সুখী কে? আমি সুখের রাজা। আমি মস্ত বড়ো বাদশা।
রহমত: ও বাদশা ভাই, তোমার গায়ের জামা কোথায়? ঘরের মধ্যে রেখেছ? তোমাকে একশো টাকা দেবো। জামাটা নিয়ে এসো।
লোক : জামা!
রহমত: জামা মানে জামা! এই যে, আমাদের এই জামার মতো জিনিস। তোমাকে পাঁচশো টাকা দেবো। জামাটা নিয়ে এসো, মোড়লের খুব কষ্ট হচ্ছে।
হাসু : মিছে কথা বোলো না।
লোক : মিছে বলব কেন? আমার ঘরে কিছু নেই। সেই জন্যই তো আমি সুখী মানুষ।
সুখী মানুষ নাটকের পাঠসংক্ষেপ (Summary)
‘সুখী মানুষ’ মমতাজউদদীন আহমদের একটি নাটক। এর দুটি মাত্র দৃশ্য। নাটিকটির কাহিনিতে আছে, মানুষকে ঠকিয়ে, মানুষের মনে কষ্ট দিয়ে, ধনী হওয়া এক মোড়লের জীবনে শান্তি নেই। চিকিৎসক বলেছেন, কোনো সুখী মানুষের জামা গায়ে দিলে মোড়লের অসুস্থতা কেটে যাবে। কিন্তু পাঁচ গ্রাম খুঁজেও একজন সুখী মানুষ পাওয়া গেল না।
শেষে একজনকে পাওয়া গেল, যে নিজের শ্রমে উপার্জিত আয় দিয়ে কোনোভাবে জীবিকা নির্বাহ করে সুখে দিন কাটাচ্ছে। তার কোনো সম্পদ নেই, ফলে চোরের ভয় নেই। সুতরাং শান্তিতে ঘুমানোর ব্যাপারে তার কোনো দুশ্চিন্তাও নেই। শেষ পর্যন্ত সুখী মানুষ একজন পাওয়া গেলেও দেখা গেল তার কোনো জামা নেই। সুতরাং মোড়লের সমস্যার সমাধান হলো না। নাটকের মূল বক্তব্য- সম্পদই অশান্তির কারণ। সুখ একটা আপেক্ষিক ব্যাপার। একজনের অনেক সম্পদ থেকেও সুখ নেই। আবার আরেকজনের কিছু না থাকলেও সে সুখী থাকতে পারে।
সুখী মানুষ নাটকের গুরুত্বপূর্ণ শব্দের অর্থ (Word Note)
অত্যাচারী: যে অত্যাচার করে।
অমর: যার মৃত্যু নেই।
আত্মীয়: পরিবারের ঘনিষ্ঠজন।
কবিরাজ: যিনি চিকিৎসা করেন।
কুঁড়েঘর: খড় দিয়ে ছাওয়া ছোটো ঘর।
কোলাহল করা: বহু লোকের একসাথে কথা বলা।
ছটফট করা: অস্থির হয়ে নড়াচড়া করা।
চাকর: কর্মচারী
জবরদস্তি করা: জোর করা।
তৎক্ষণাৎ: সেই সময়ে।
তাজ্জব কথা: অবাক করা কথা।
দৃশ্য: নাটকের অংশ।
নক্ষত্র: আকাশের তারা।
নাড়ি পরীক্ষা করা: রোগ নির্ণয় করা।
নিষ্ঠুর: যার মনে মায়া-মমতা কম।
নিস্তার: রক্ষা।
পাপী: যে পাপ করে।
প্রতিজ্ঞা করা: ওয়াদা করা।
ফতুয়া: বখশিশ
বাঘের চোখ আনা: কঠিন কাজ করা।
বিশ্বাসী: যাকে বিশ্বাস করা যায়।
বখশিশ: খুশি হয়ে দেওয়া উপহার।
ব্যামো : অসুস্থতা।
ব্যারাম : অসুস্থতা।
মন উজাড় করে কাঁদা: ইচ্ছামতো কাঁদা।
মানুষকে জ্বালানো : মানুষকে কষ্ট দেওয়া।
মূর্খ : বোকা।
মোড়ল : গ্রামের প্রধান।
ম্লান আলো : সামান্য আলো।
শ্রবণ করা : শোনা।
হাড়-মড়মড় রোগ : রোগের নাম।
হিমালয় : পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু পাহাড়ের নাম।
সুখী মানুষ নাটকে ব্যবহৃত শব্দের উচ্চারণ
প্রমিত ভাষায় শব্দের উচ্চারণ ঠিকমতো করতে হয়। ‘সুখী মানুষ’ নাটক থেকে কিছু শব্দ বাম কলামে দেওয়া হলো। শব্দগুলোর উচ্চারণ কেমন হবে, তা ডানের কলামে লিখে দেখানো হয়েছে। তোমার উচ্চারণ ঠিক হচ্ছে কি না, এখান থেকে মিলিয়ে নাও।
শব্দ – প্রমিত শব্দ
অত্যাচারী- | ওততাচারি |
অন্ধকার- | অনধোকার |
অসুখ- | অশুখ্ |
অসুখী- | অশুখি |
আত্মীয়- | আততিঁয়ো |
একলা- | অ্যাক্ লা |
একশো- | অ্যাকশো |
কবিরাজ- | কোবিরাজ |
কুঁড়েঘর- | কুঁড়েঘর্ |
ঘুম- | ঘুম্ |
চাকর- | চাকোর্ |
চাল- | চাল্ |
ঘুম- | ঘুম্ |
তৎক্ষণাৎ- | তত্খনাত্ |
তাজ্জব- | তাজজোব |
দুঃখী- | দুকখি |
দুনিয়া- | দুনিয়া |
পাগল- | পাগোল্ |
বখশিশ- | বোখশিশ্ |
বাজার- | বাজার |
বিশ্বাসী- | বিশশাশি |
ভিক্ষা- | ভিকখা |
ভিখারি- | ভিখারি |
মস্ত- | মসতো |
মানুষ- | মানুশ |
মিথ্যা- | মিতথা |
মোড়ল- | মোড়োল্ |
সত্যি- | শোততি |
সুখী- | শুখি |
সোজা- | শোজা |
শোনাদানা- | সোনাদানা |
উপস্থিত বক্তৃতায় প্রমিত ভাষার চর্চা
তোমরা প্রত্যেকে একটি করে বিষয় লিখে শিক্ষকের কাছে জমা দাও। একেকটি বিষয় নিয়ে একেক জনকে এক মিনিট করে কথা বলতে হবে। কথা বলার সময়ে প্রমিত ভাষা ব্যবহার করো।
উত্তর: ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির মাধ্যমে পাকিস্তান স্বাধীনতা লাভ করে। বাংলাদেশ (পূর্ব পাকিস্তান) ছিল পাকিস্তানের একটি প্রদেশ। স্বাধীনতার পর থেকেই নানা দিক থেকে আগ্রাসন শুরু হয় বাংলাদেশের ওপর। বাংলাকে বাদ দিয়ে উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার ঘোষণা দেওয়া হয়। কিন্তু বাঙালিরা তা মেনে না নিয়ে শুরু করে ভাষা আন্দোলন। ১৯৫২ সালে রফিক, জব্বার, সালাম, বরকতসহ আরও অনেকের প্রাণের বিনিময়ে প্রতিষ্ঠিত হয় আমাদের মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা। এরপরও পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী বাংলাদেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র চালায়।
১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ গভীর রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আক্রমণ চালায় ঘুমন্ত বাঙালিদের ওপর। হাজার হাজার বাঙালিকে হত্যা করা হয়। ইতিহাসের এক কলঙ্কিত অধ্যায় সৃষ্টি হয় বাংলাদেশের বুকে। ফলে স্বাধীনতা যুদ্ধ অনিবার্য হয়ে ওঠে।
সুখী মানুষ নাটকের অতিরিক্ত প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন-১। ‘সুখী মানুষ’ নাটকটির লেখকের নাম কী?
উত্তর: ‘সুখী মানুষ’ নাটকটির লেখকের নাম মমতাজউদদীন আহমদ।
প্রশ্ন-২। যাঁরা নাটক রচনা করেন তাঁদের কী বলে?
উত্তর: যাঁরা নাটক রচনা করেন তাঁদের নাট্যকার বলে।
প্রশ্ন-৩। ‘সংলাপ’ কাকে বলে?
উত্তর: নাটকে একজনের সঙ্গে অন্যজনের যেসব কথা হয় তাকে সংলাপ বলে।
প্রশ্ন-৪। যারা সংলাপ মুখ দিয়ে উচ্চারণ করে তাদের কী বলে? উত্তর: যারা সংলাপ মুখ দিয়ে উচ্চারণ করে তাদের চরিত্র বলে।
প্রশ্ন-৫। নাটকের ক্ষেত্রে সংলাপ প্রমিত ভাষায় রচিত হলে কোন বিষয়ে খেয়াল রাখতে হয়?
উত্তর: নাটকের ক্ষেত্রে সংলাপ প্রমিত ভাষায় রচিত হলে উচ্চারণের দিকে খেয়াল রাখতে হয়।
প্রশ্ন-৬। ‘সুখী মানুষ’ নাটকের চরিত্র সংখ্যা কয়টি?
উত্তর: ‘সুখী মানুষ’ নাটকের চরিত্র সংখ্যা ৫টি।
প্রশ্ন-৭। মোড়লের বয়স কত বছর?
উত্তর: মোড়লের বয়স ৫০ বছর।
প্রশ্ন-৮। হাসুর বয়স কত বছর?
উত্তর: হাসুর বয়স ৪৫ বছর।
প্রশ্ন-৯। কার কঠিন অসুখ হয়েছে?
উত্তর: মোড়লের কঠিন অসুখ হয়েছে।
প্রশ্ন-১০। কে মোড়লের নাড়ি পরীক্ষা করবে?
উত্তর: কবিরাজ মোড়লের নাড়ি পরীক্ষা করবে।
প্রশ্ন-১১। মোড়লের আত্মীয় ও চাকরের নাম কী?
উত্তর: মোড়লের আত্মীয়ের নাম হাসু এবং চাকরের নাম রহমত আলী।
প্রশ্ন-১২। ‘কবিরাজ যতই নাড়ি দেখুক, তোমার মোড়লের নিস্তার নাই।’- কথাটি কে বলেছেন?
উত্তর: ‘কবিরাজ যতই নাড়ি দেখুক, তোমার মোড়লের নিস্তার নাই।’- কথাটি বলেছেন মোড়লের আত্মীয় হাসু।
প্রশ্ন-১৩। রহমত কেন হাউমাউ করে কাঁদতে লেগে যাবে?
উত্তর: রহমতের মনিব মোড়লের কঠিন অসুখ হয়েছে। সে বিছানায় শুয়ে ছটফট করছে। কবিরাজ নাড়ি দেখছে। হাসু মোড়লের অবস্থা ভালো না থাকার বিষয়টি জানালে রহমত ভয় পেয়ে যায়। তাই সে হাউমাউ করে কাঁদতে লেগে যাওয়ার কথা বলে।
প্রশ্ন-১৪। ‘কাঁদো, মন উজাড় করে কাঁদো।’- এ কথাটি কে, কাকে উদ্দেশ্য করে বলেছে?
উত্তর: ‘কাঁদো, মন উজাড় করে কাঁদো।’- এ কথাটি হাসু রহমতকে উদ্দেশ্য করে বলেছে।
প্রশ্ন-১৫। মোড়লের স্বভাব চরিত্র কেমন ছিল?
উত্তর: মোড়ল খুব অত্যাচারী ছিল। সুবর্ণপুর গ্রামের মানুষকে খুব জ্বালাতন করতো। কারও গোরু কেড়ে নিয়েছে; কারও মাঠের ধান লুট করেছে। অন্যের ধন-সম্পত্তি লুটে নিয়ে ধনী হয়েছে। মানুষের কান্না দেখলে মোড়ল হাসতো। আনন্দিত হতো। মোড়লের স্বভাব ছিল নিষ্ঠুর প্রকৃতির।
প্রশ্ন-১৬। মনে অশান্তি থাকলে কীসে কাজ হয় না?
উত্তর: মনে অশান্তি থাকলে ওষুধে কাজ হয় না।
প্রশ্ন-১৭। কবিরাজের দার্শনিক উক্তিটি কী ছিল?
উত্তর: কবিরাজের দার্শনিক উক্তিটি ছিল- মূর্খের মতো কথা বলো না। মানুষ এবং প্রাণী অমর নয়।
প্রশ্ন-১৮। কে মোড়লের মামাতো ভাই?
উত্তর: হাসু মোড়লের মামাতো ভাই।
প্রশ্ন-১৯। এই নিষ্ঠুর মোড়লকে যদি বাঁচাতে চাও, তাহলে একদিন কঠিন কর্ম করতে হবে।- উক্তিটি কার?
উত্তর: এই নিষ্ঠুর মোড়লকে যদি বাঁচাতে চাও, তাহলে একটি কঠিন কর্ম করতে হবে। উক্তিটি কবিরাজের।
প্রশ্ন-২০। কার হাড় ভেঙে যাচ্ছে, শরীর জ্বলে যাচ্ছে?
উত্তর: মোড়লের হাড় ভেঙে যাচ্ছে, শরীর জ্বলে যাচ্ছে।
প্রশ্ন-২১। বহুক্ষত মোড়লের মূদ্ধে কী ঢেলে দিচ্ছে?
উত্তব: রহমত মোড়লের মুখে শরবত ঢেলে দিচ্ছে।
প্রশ্ন-২২। হাসু মুরগির দাম নিতে চায় কেন?
উত্তর: হাসুর মুরগি মোড়ল জোর করে জবাই করে খেয়েছে। মুরগির দাম দেয়নি। মোড়ল আজ অসুস্থ, কঠিন রোগ হয়েছে। তাই হাসু আজ তার মুরগির দাম আদায় করে ছাড়বে।
প্রশ্ন-২৩। লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু। উক্তিটি ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: ‘লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু।’ কথাটি বলেছেন ‘সুখী মানুষ’ নাটকের কবিরাজ নিষ্ঠুর মোড়লকে।
মোড়ল একজন ধনী ও ক্ষমতাবান ব্যক্তি। সে গ্রামের সাধারণ মানুষের ধন-সম্পত্তি লুটে নেয়। অন্যের গোরু, খেতের ফসল লুটে নেয়। সুবর্ণপুর গ্রামের মানুষ তার জ্বালায় অতিষ্ঠ। সে মানুষের কান্না দেখে হাসে। এমনকি তার মামাতো ভাই হাসুর মুরগি পর্যন্ত জবাই করে খেয়ে দাম দেয়নি। এই অত্যাচারী ও পাপী মোড়লের কঠিন অসুখ হয়েছে। কোনো ডাক্তার কবিরাজ তার চিকিৎসা করে ভালো করতে পারছে না। এই কঠিন অসুখের জন্য মোড়লের অত্যাচারী মনোভাব এবং অন্যের সম্পত্তি হরণই দায়ী। অধিক লোভ করতে গিয়েই আজ তার কঠিন অসুখ হয়েছে। তাই অধিক লোভ করা ভালো নয়, লোভে পাপ হয়। তার সেই পাপের শাস্তি হলো মৃত্যু।
প্রশ্ন-২৪। ‘আমাকে শান্তি এনে দাও। সুখ দাও।’- কথাটি কে বলেছেন?
উত্তর : ‘আমাকে শান্তি এনে দাও। সুখ দাও।’-এই কথাটি বলেছেন লোভী মোড়ল।
প্রশ্ন-২৫। কার অনেক টাকা, অনেক বড়ো বাড়ি?
উত্তর: মোড়লের ‘অনেক টাকা, অনেক বড়ো বাড়ি।
প্রশ্ন-২৬। মোড়লের ব্যামো ভালো করার জন্য কী সংগ্রহ করতে হবে?
উত্তর: মোড়লের ব্যামো ভালো করার জন্য একটি ফতুয়া সংগ্রহ করতে হবে।
প্রশ্ন-২৭। মোড়লের ব্যামো ভালো করার জন্য কার জামা প্রয়োজন?
উত্তর: মোড়লের ব্যামো ভালো করার জন্য একজন সুখী মানুষের জামা প্রয়োজন।
প্রশ্ন-২৮! মোড়লের কী ধরনের রোগ হয়েছে?
উত্তর: মোড়লের হাড়-মড়মড় রোগ হয়েছে।
প্রশ্ন-২৯। কী না পেলে অসুখী মোড়ল বাঁচবে না?
উত্তর: সুখী মানুষের জামা না পেলে অসুখী মোড়ল বাঁচবে না।
৩০। সুখী মানুষের জামা এনে দেওয়ার জন্য মোড়ল কী বখশি দেবে?
উত্তর: সুখী মানুষের জামা এনে দেওয়ার জন্য মোড়ল হাজার টাকা বখশিশ দেবে।
প্রশ্ন-৩১। হাসু ও রহমত একটি কুঁড়েঘরের সামনে বসে ভাবছে কেন?
উত্তর: হাসু ও রহমত একটি কুঁড়েঘরের সামনে বসে ভাবছে, মোড়লের জন্য সুখী মানুষের জামা কোথায় পাবে এই নিয়ে।
প্রশ্ন-৩২। কত গ্রাম ঘুরেও কোনো সুখী মানুষের জামা পাওয়া যায়নি?
উত্তর: পাঁচ গ্রাম ঘুরেও কোনো সুখী মানুষের জামা পাওয়া যায়নি।
প্রশ্ন-৩৩। পাঁচ গ্রাম ঘুরেও সুখী মানুষের জামা পাওয়া যায়নি কেন?
উত্তর: পাঁচ গ্রাম ঘুরেও সুখী মানুষের জামা পাওয়া যায়নি। কারণ গ্রামের কেউই প্রকৃত অর্থে সুখী নয়। প্রত্যেকেরই কোনো না-কোনো সমস্যা আছেই। তাই সুখী মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন।
প্রশ্ন-৩৪। ‘সবাই অসুখী, কারও সুখ নেই।’- কেন?
উত্তর: সুখ বড়ো কঠিন জিনিস। এই পৃথিবীতে ধনী লোক বলছে আরও ধন দাও। ভিখারি বলছে আরও ভিক্ষা দাও। পেটুক বলছে আরও খাবার দাও। শুধু দাও আর দাও। সবাই আরও অধিক পেতে চায়। তাই পৃথিবীতে সবাই অসুখী। কারও সুখ নেই।
প্রশ্ন-৩৫। ঘর থেকে কে বেরিয়ে এলো?
উত্তর: ঘর থেকে একজন লোক বেরিয়ে এলো।
প্রশ্ন-৩৬। সুখী মানুষটি সারাদিন কী কী কাজ করে?
উত্তর: সুধী মানুষটি সারাদিন বনে কাঠ কেটে তা বাজারে বিক্রি করে। তারপর তা-ই দিয়ে চাল, ডাল কিনে আনে। মনের সুখে খেয়ে-দেয়ে গান গাইতে গাইতে শুয়ে পড়ে। এক ঘুমেই রাত কাবার।
প্রশ্ন-৩৭। লোকটি প্রাণখোলা হাসি দেয় কেন?
উত্তর: লোকটি সোনাদানা, জামাজুতা চোরে চুরি করে নিয়ে যাওয়ার কথা শুনে প্রাণখোলা হাসি দেয়। কারণ তার কাছ থেকে চোর কিছু নিয়ে যাওয়ার মতো কিছুই নেই। তাই সে প্রাণখোলা হাসি দেয়।
প্রশ্ন-৩৮। কে সুখের রাজা, মস্ত বড়ো বাদশা?
উত্তর: লোকটি সুখের রাজা, মস্ত বড়ো বাদশা।
প্রশ্ন-৩৯। রহমত লোকটির কাছে কী চাইল?
উত্তর: রহমত লোকটির কাছে লোকটির ব্যবহৃত কোনো একটি জামা চাইল।
প্রশ্ন-৪০। লোকটির জামা নেওয়ার জন্য রহমত কতো টাকা দিতে চাইল?
উত্তর: লোকটির জামা নেওয়ার জন্য রহমত একশো টাকা দিতে চাইল।
প্রশ্ন-৪১। রহমত লোকটিকে জামার জন্য আরও কতো টাকার প্রলোভন দেখিয়েছিল?
উত্তর: রহমত লোকটিকে জামার জন্য আরও পাঁচশো টাকা দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়েছিল।
প্রশ্ন-৪২। কার কোনো জামা নেই?
উত্তর: লোকটির কোনো জামা নেই।
প্রশ্ন-৪৩। সবচেয়ে সুখী মানুষ কে?
উত্তর: যার ঘরে কিছুই নেই সেই সবচেয়ে সুখী মানুষ।
প্রশ্ন-৪৪। যার মৃত্যু নেই তাকে কী বলে?
উত্তর: যার মৃত্যু নেই তাকে অমর বলে।
প্রশ্ন-৪৫। কবিরাজ কাকে বলে?
উত্তর: যিনি চিকিৎসা করেন তাকে কবিরাজ বলে।
প্রশ্ন-৪৬। ‘তাজ্জব কথা’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: ‘তাজ্জব কথা’ শব্দের অর্থ অবাক করা কথা।
প্রশ্ন-৪৭। রোগ নির্ণয়ের জন্য কী করতে হয়?
উত্তর: রোগ নির্ণয়ের জন্য নাড়ি পরীক্ষা করতে হয়।
প্রশ্ন-৪৮। ‘প্রতিজ্ঞা’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: ‘প্রতিজ্ঞা’ শব্দের অর্থ হলো ‘ওয়াদা’।
প্রশ্ন-৪৯। যার মনে মায়া-মমতা কম তাকে কী বলে?
উত্তর: যার মনে মায়া-মমতা কম তাকে নিষ্ঠুর বলে।
প্রশ্ন-৫০। বখশিশ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: বখশিশ শব্দের অর্থ হলো খুশি হয়ে দেওয়া উপহার।
প্রশ্ন-৫১। পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু পাহাড়ের নাম কী?
উত্তর: পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু পাহাড়ের নাম হিমালয়।
সুখী মানুষ নাটকের নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নোত্তর
১. বিনি নাটক লেখেন তাকে কী বলে?
ক) গল্পকার
খ) ছড়াকার
গ) নাট্যকার
ঘ) ঔপন্যাসিক
উ. খ
২. নাটকে একজনের সঙ্গে অন্যজনের যেসব কথা হয় সেসব কথাকে কী বলে?
ক) কাহিনি
খ) গল্প
গ) সংলাপ
ঘ) চরিত্র
উ. গ
৩. ‘সুখী মানুষ’ নাটকটি কার লেখা?
ক) জসীমউদ্দীনের
খ) আবদুল্লাহ আল-মুতীর
গ) সুকুমার রায়ের
ঘ) মমতাজউদদীন আহমদের
উ. ঘ
৪. ‘সুখী মানুষ’ নাটকে মোড়লের বয়স কত?
ক) ২০
খ) ৫০
গ) ৪০
ঘ) ৬০
উ. খ
৫. ‘সুখী মানুষ’ নাটকে রহমতের বয়স কত?
ক) ২০
খ) ৫০
গ) ৪০
ঘ) ৬০
উ. ক
৬. কবিরাজ মোড়লের কী পরীক্ষা করছে?
ক) মাথা
খ) বুক
গ) পেট
ঘ) নাড়ি
উ. ঘ
৭. মোড়লের বিশ্বাসী চাকরের নাম কী?
ক) হাসু
খ) আলী
গ) রহমত
ঘ) বৃদ্ধ লোকটি
উ. গ
৮. ‘সুখী মানুষ’ নাটকে কে কাকে ভয় দেখাতে মানা করেছেন?
ক) রহমত হাসুকে
খ) হাসু কবিরাজকে
গ) হাসু রহমতকে
ঘ) রহমত কবিরাজকে
উ. ক
৯. ‘কাঁদো, মন উজাড় করে কাঁদো।’- কথাটি কে বলেছেন?
ক) কবিরাজ
খ) রহমত
গ) হাসু
ঘ) মোড়ল
উ.
১০. মোড়ল কোন গ্রামের মানুষকে জ্বালিয়েছিল?
ক) রতনপুরের
গ) সুবর্ণপুরের
১১. কে মানুষের কান্না দেখে হেসেছে?
ক) মোড়ল
খ) রহমত
গ) হাসু
ঘ) লোকটি
উ. ক
১২. মোড়লের ব্যারাম ভালো না হওয়ার কারণ কী?
ক) অধিক সুখী
খ) মনে অশান্তি
গ) অন্যের ধন লুট
ঘ) অন্যের অভিশাপ
উ. খ
১৩. মনের মধ্যে অশান্তি থাকলে কী হয়?
ক) কাজে মন বসে না
খ) বেড়াতে ভালো লাগে না
গ) ঘুম আসে না
ঘ) ওষুধে কাজ হয় না
উ. ঘ
১৪. ‘ও কবিরাজ, নাড়ি কী বলছে? মোড়ল বাঁচবে তো।’- কথাটি কে বলেছে?
ক) হাসু
খ) লোকটি
গ) রহমত
ঘ) আলী
উ. গ
১৫. ‘মানুষ ও প্রাণী অমর নয়।’- এই দার্শনিক উক্তিটি কার?
ক) হাসুর
খ) রহমতের
গ) মোড়লের
ঘ) কবিরাজের
উ. ঘ
১৬. ‘শ্রবণ করা’ শব্দের অর্থ কী?
ক) শোয়া
খ) বলা
গ) শোনা
ঘ) শান্ত হওয়া
উ. খ
১৭. কে মোড়লের মামাতো ভাই?
ক) রহমত
খ) হাসু
গ) রহমত
ঘ) কবিরাজ
উ. খ
১৮. রহমত মোড়লের মুখে কী ঢেলে দিল?
ক) পানি
খ) আখের রস
গ) শরবত
ঘ) আইসক্রিম
উ. গ
১৯. কে কার মুরগি জবাই করে খেয়েছে?
ক) রহমত হাসুর
খ) মোড়ল হাসুর
গ) শরবত
ঘ) আইসক্রিম
উ. খ
২০. ‘আমাকে শান্তি এনে দাও।’ কথাটি কার?
ক) হাসুর
খ) মোড়লের
গ) কবিরাজের
ঘ) রহমতের
উ. খ
২১. কে মোড়লকে মিথ্যা কথা না বলার জন্য বলেছেন?
ক) হাসু
খ) লোকটি
গ) কবিরাজ
ঘ) রহমত
উ. গ
২২. ‘লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু।’- কথাটি কার?
ক) হাসুর
খ) রহমতের
গ) মোড়লের
ঘ) কবিরাজের
উ. ঘ
২৩. ‘অন্যের মনে দুঃখ দিলে কোনোদিন সুখ পাবে না।’- কথাটি কার?
ক) হাসুর
খ) মোড়লের
গ) রহমতের
ঘ) কবিরাজের
উ. ক
২৪. কার অনেক টাকা, বড়ো বাড়ি থাকা সত্ত্বেও সুখ নেই?
ক) হাসুর
খ) মোড়লের
গ) রহমতের
ঘ) কবিরাজের
উ. ক
২৫. মোড়লের জন্য কী সংগ্রহ করলেই মোড়ল ভালো হতে পারে?
ক) সোনার টুপি
খ) জুতা
গ) ফতুয়া
ঘ) পাহাড়ি ওষুধ
উ. খ
২৬. মোড়লের কী ধরনের রোগ হয়েছে?
ক) কালা জ্বর
খ) হাড়-মড়মড়
গ) মাথা ব্যথা
ঘ) পেটে ব্যথা
উ. খ
২৭. কী করলে মোড়লের রোগ ভালো হবে?
ক) পাহাড়ি ওষুধ লাগালে
খ) সব অর্থ-সম্পদ গরিবদের দিলে
গ) সুখী মানুষের জামা গায়ে দিলে
ঘ) সবার কাছে মাফ চাইলে
উ. গ
২৮. মোড়লের জন্য কী খুঁজতে হবে?
ক) সুন্দর বাড়ি
খ) পাহাড়ি ওষুধ
গ) সুখী মানুষের জামা
ঘ) সোনার টুপি
উ. গ
২৯. মোড়ল কত টাকা বখশিশ ঘোষণা করেন?
ক) শত টাকা
খ) লাখ টাকা
গ) হাজার টাকা
ঘ) কোটি টাকা
উ. গ
৩০. হাসু ও রহমত কোথায় বসে ভাবছে?
ক) ঘন জঙ্গলে
খ) বিজন মাঠে
গ) কুঁড়েঘরের সামনে
ঘ) পার্কে
উ. গ
৩১. কত গ্রাম ঘুরে একজনও সুখী মানুষ পাওয়া গেল না?
ক) তিন
খ) পাঁচ
গ) দশ
ঘ) বিশ
উ. খ
৩২. সুখী মানুষ নেই, সুখী মানুষের জামাও নেই। – কথাটি কে বলেছিল?
ক) হাসু
খ) মোড়ল
গ) সবাই গরিব
ঘ) সবাই ভিখারি
উ. ক
৩৩. ‘সুখ বড়ো কঠিন জিনিস।’ কারণ-
ক) সবাই ধনী
খ) সবাই গরিব
গ) সবাই অসুখী
ঘ) সবাই ভিখারি
উ. গ
৩৪. ‘ভূত নাকি? চলেন, পালিয়ে যাই’- কথাটি কার?
ক) রহমতের
খ) কবিরাজের
গ) হাসুর
ঘ) লোকটির
উ. ক
৩৫. ঘর থেকে কে বেরিয়ে এলো?
ক) একটি ভূত
খ) একটি বিড়াল
গ) হাসুর
ঘ) একটি লোক
উ. ঘ
৩৬. ‘তোমরা কে ভাই? কী চাও?’- প্রশ্নটি কে, কাকে করেছেন?
ক) হাসু লোকটিকে
খ) কবিরাজ লোকটিকে
গ) লোকটি হাসুকে
ঘ) লোকটি কবিরাজকে
উ. গ
৩৭. কার কোনো দুঃখ নেই?
ক) কবিরাজের
খ) লোকটির
গ) হাসুর
ঘ) রহমতের
উ. খ
৩৮. কার এক ঘুমে রাত কাবার?
ক) হাসুর
খ) কবিরাজের
গ) লোকটির
ঘ) রহমতের
উ. গ
৩৯. লোকটি বনে সারাদিন কী করে?
ক) ঘুমিয়ে থাকে
খ) কাঠ কাটে
গ) ঘুরে বেড়ায়
ঘ) হাঁটে
উ. খ
৪০. লোকটি প্রাণখোলা হাসি দেয় কেন?
ক) পাগল বলে
খ) গানের কথা মনে পড়ায়
গ) চুরি হওয়ার কথা শুনে
ঘ) অভিনয় করার মিথা বলায়
উ. গ
৪১. ‘আমি সুখের রাজা। আমি মস্ত বড়ো বাদশা।’- কে সুখের রাজা এবং বাদশা?
ক) মোড়ল
খ) কবিরাজ
গ) হাসু
ঘ) লোকটি
উ. ঘ
৪২. ‘ও বাদশা ভাই, তোমার গায়ের জামা কোথায়?’-কথাটি কার?
ক) হাসুর
খ) কবিরাজের
গ) রহমতের
ঘ) মোড়লের
উ. গ
৪৩. লোকটির জামা পাওয়ার জন্য রহমত প্রথমে কত টাকা দেওয়ার প্রলোভন দেখায়?
ক) একশো টাকা
খ) দুই শো টাকা
গ) পাঁচশো টাকা
ঘ) এক হাজার টাকা
উ. ক
৪৪. লোকটি কী জন্য এতো সুখী?
ক) লোকটির অঢেল ধন-সম্পত্তি
খ) লোকটি রাজার মতো
গ) লোকটির অনেক জামা-কাপড়
ঘ) লোকটির ঘরে কিছুই নেই
উ. ঘ
৪৫. ‘কবিরাজ’ শব্দের অর্থ কী?
ক কবিদের রাজা
খ) মোড়লের কবি
গ) যিনি চিকিৎসা করেন
ঘ) কবি ও রাজা
উ. গ
৪৬. নাটকে যারা অভিনয় করে তাদের কী বলা হয়?
ক) নাটকে
খ) নাট্য
গ) নাট্যকার
ঘ) চরিত্র বা অভিনেতা
উ. ঘ
৪৭. ‘সুখী মানুষ’ নাটকটিতে কয়টি দৃশ্য রয়েছে?
ক) ২টি
খ) ৪টি
গ) ৫ টি
ঘ) ৬ টি
উ. ক
৪৮. গ্রামের প্রধানকে কী বলে?
ক) কবিরাজ
খ) নেতা
গ) মোড়ল
ঘ) অভিনেতা
উ. গ
এক্সক্লুসিভ স্টাডি সুখী মানুষ নাটকের
মোড়লের বয়স- ৫০ বছর।
নিস্তার নেই- মোড়লের।
প্রাণ খুলে হাসছে- লোকটি।
পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু পাহাড়ের নাম- হিমালয়।
প্রমিত ভাষায় শব্দের উচ্চারণ- ঠিকমতো করতে হয়।