প্রমিত ভাষা যেভাবে শিখবেন | ৬ষ্ঠ শ্রেণি ১ম অধ্যায় ও পরিচ্ছেদ

আজ আমরা ৬ষ্ঠ শ্রেণি ১ম অধ্যায় ও পরিচ্ছেদের আলোকে প্রমিত ভাষা যেভাবে শিখবেন তা নিয়ে আলোচনা করব। নিচে কয়েকটি পরিস্থিতির উল্লেখ আছে। এসব পরিস্থিতিতে তোমার বন্ধু-বান্ধব, পরিবারের লোকজন, কিংবা এলাকার মানুষ যেভাবে কথা বলে, তা কথোপকথনের মাধ্যমে উপস্থাপন করো।

প্রমিত ভাষা যেভাবে শিখবেন  ৬ষ্ঠ শ্রেণি ১ম অধ্যায় ও পরিচ্ছেদ
প্রমিত ভাষা যেভাবে শিখবেন ৬ষ্ঠ শ্রেণি ১ম অধ্যায় ও পরিচ্ছেদ

 

প্রমিত ভাষা যেভাবে শিখবেন

নিম্নে বিভিন্ন কথোপকথনের মাধ্যমে আমরা এখন প্রমিত ভাষা শিখব।

প্রথম অধ্যায়টি পড়ে নিনঃ যেভাবে পরিস্থিতি অনুযায়ী যোগাযোগ করবেন | ব্যাখ্যাসহ সমাধান 2024 | ৬ষ্ঠ শ্রেণি বাংলা ১ম অধ্যায়

১. তর্ক নিয়ে প্রমিত ভাষা শেখার উপায়ঃ

খেলার সময়ে কোনো একটা বিষয় নিয়ে তর্ক হচ্ছে। তর্ক নিয়ে কথোপকথনটি দেখে নিন। 

হাসিব : তোরা হগোল সময়ই খ্যালার মইধ্যে ঝগড়া লাগাও।

তামিম : মোরা ঝগড়া হরি; তোরাই তো হগোল সময় খ্যালার মইধ্যে মিথ্যা কতা কও।

হাসিব : কী কও, মুই নিজেই তো দ্যাখলাম বলডা লাফাইয়া যাইয়া তোর ড্যানার উপরে পড়ছে। আর তুই এ্যাহন স্বীকার পাও না।

রাকিব : হয়, মুইও দেখছি হাসিববার হাতে বল লাগছে। খ্যালায় ঠগবে হেই পানহে মিথ্যা কয়।

ইমরান: হ, ঠিকই কইছ রাকিব। এটা হ্যান্ডবল দেতে অইবুই, নাইলে মোরা অগো লগে খেলমু না।

হাসিব : আচ্ছা, ঠিক আছে।

জাফর : ঝগড়া বাদ দে, খ্যালা চালাইয়া যা।

২. পড়াশুনা নিয়ে প্রমিত ভাষা শেখার উপায়ঃ

পড়াশোনা কেমন চলছে তা নিয়ে মা-বাবার সঙ্গে কথা হচ্ছে। পড়াশোনা নিয়ে কথোপকথন দেখুন।

রাশেদ : আসসালামু আলাইকুম আব্বা, আপনে ভালো আছেন?

বাবা : ওয়াআলাইকুম সালাম, ভালো আছি তুই ক্যান আছ।

রাশেদ : মায় কই, ভালো আছেনি? আইজ কাইল তো মায় ফোন দেয় না।

বাবা : হয়, তোর মায় আছে এ্যাহানে। এই নে হের লগে কথা কও।

মা : কেডা ফোন দেছে?

বাবা : তোমার পোলায়।

মা : ক্যান আছো বাবা? এতদিন পড় মনে পড়ছে মার কতা।

রাশেদ : পড়া লইয়া অনেক ব্যস্ত আলহাম। দুই মাস পর পরীক্ষা। ছারে কইছে- এইবার ফেল করলে এক ক্লাস নিচে নামাইয়া দিমু। হেই পানহে ফোন করতে পারি না। পরীক্ষার পর বাড়ি আমু।

মা : ঠিক আছে বাবা। ভালো কইরা পড়। গরিব মানষের পড়া লেহা না করলে অয় না।

রাশেদ : ঠিক আছে মা, দোয়া কইরো। আব্বার দিক খেয়াল রাইখো।

মা : তুই চিন্তা করবি না।

রাশেদ : আচ্ছা মা, তয় রাহি।

৩. সবজি কিনতে গিয়ে প্রমিত ভাষা শেখার উপায়ঃ

সবজি কিনতে গিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে দরাদরি হচ্ছে। সবজি ক্রয়ে ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে কথোপকথন থেকে যেভাবে প্রমিত ভাষা শিখবেন।

ক্রেতা : ও চাচা, সবজি নেওন যাইবনি।

বিক্রেতা : কী কন, কিললাইগা পারবেন না।

ক্রেতা : ভালো নি, পইচচা যায় নায় তো?

বিক্রেতা : কী রহম কতা কন। হগোলগুলা সবজি টটকা, আইজ সকালে বেশি বেশি দাম দিয়া নিয়া আইছি।

ক্রেতা : পুঁইহাক কত কইরা কেজি?

বিক্রেতা : হোলো টাহা কেজি?

ক্রেতা : দশ টাহা কইরা দেবেননি।

বিক্রেতা : কয় কেজি দিমু?

ক্রেতা : দুই কেজি দ্যান। দেহিতো পাল্লাডা ঠিক আছে নি?

বিক্রেতা : এককালে ঠিক আছে। মুই মাপে কোম দি না। কোম দেলে মোরে আল্লাহ সইবে না।

ক্রেতা : ঠিক আছে।

বিক্রেতা : আবার আইয়েন।

উপরের পরিস্থিতিগুলোতে যে ভাষায় কথা বলেছ, নিচের ক্ষেত্রে তা আলাদা কি না, তা নিয়ে আলোচনা করো।

  • ৪. রেডিও-টেলিভিশনে পঠিত সংবাদ ও প্রতিবেদনের ভাষা
  • ৫. সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপস্থাপনের ভাষা
  • ৬. পাঠ্যবইয়ের ভাষা

উপরের পরিস্থিতিতে আঞ্চলিক ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু এই ভাষা রেডিও-টেলিভিশনে পঠিত সংবাদ ও প্রতিবেদনে আলাদা হয়। এক্ষেত্রে প্রমিত ভাষা ব্যবহার করা হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পাঠ্যবইয়ের ভাষায় উভয়ই লক্ষ করা যায়।

প্রথমে দেওয়া পরিস্থিতি তিনটিতে তোমরা এমন কিছু শব্দ ব্যবহার করেছ, কিংবা কোনো কোনো শব্দের উচ্চারণ এমনভাবে করেছ, যা পরের ক্ষেত্র তিনটির সাথে মেলে না। নিচের ছক অনুযায়ী এমন কিছু শব্দের তালিকা করো।

ধরা যাক, ‘টাকা’ শব্দটি তোমরা ‘টাহা’ বলেছ। সেক্ষেত্রে নিচের ছকের বাম কলামে ‘টাহা’ এবং ডান কলামে ‘টাকা’ লিখতে হবে।

বাম কলামডান কলাম
টাহাটাকা

 

উত্তর:

বাম কলামডান কলাম
টাহাটাকা
হাকশাক
পোডলপোটল
ভেনডিঢেড়শ
ছময়সময়
ওইছেহয়েছে
লেহালেখা
মাসটেরমাস্টার
গেলহামগিয়েছিলাম
হাপসাপ
ব্যাডাবেটা

 

আঞ্চলিক ভাষা ও প্রমিত ভাষা

বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের ভাষায় ভিন্নতা আছে। যেমন- যশোর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, বরিশাল, সিলেট, নোয়াখালী, চট্টগ্রামের মানুষ এককভাবে কথা বলে না। ‘ছেলে’ শব্দটিকে কোনো অঞ্চলের মানুষ বলতে পারে ‘পুত’, কোনো অঞ্চলে ‘ব্যাটা’, কোনো অঞ্চলে ‘পোলা’। এভাবে অঞ্চলভেদে অনেক শব্দই বদলে যায়। কখনো কখনো শব্দের উচ্চারণে পার্থক্য ঘটে। যেমন- ‘ছেলে’ শব্দটি উচ্চারিত হতে পারে ‘চেলে’ বা ‘শেলে’। ভিন্ন ভিন্ন অঞ্চলের ভাষার এই রূপভেদকে বলা হয় আঞ্চলিক ভাষা।

আঞ্চলিক রূপের জন্য এক অঞ্চলের মানুষের কথা আর এক অঞ্চলের মানুষের বুঝতে সমস্যা হয়। এ কারণে সব অঞ্চলের মানুষের সহজে বোঝার জন্য ভাষার একটি রূপ নির্দিষ্ট হয়েছে, তাকে প্রমিত ভাষা বলে।

ধ্বনি উচ্চারণ

নিচের জোড়া শব্দগুলো উচ্চারণ করো। প্রমিত জোড়া শব্দের প্রথম ধ্বনিতে পার্থক্য আছে। এটা উচ্চারণের সময়ে খেয়াল করবে।

জোড়ার প্রথম শব্দের প্রথম ধ্বনিটি উচ্চারণ করতে মুখ থেকে অল্প বাতাস বের হয় এবং দ্বিতীয় শব্দের প্রথম ধ্বনিটি উচ্চারণ করতে বেশি বাতাস বের হয়। যেমন- ‘কই’ শব্দের ক এবং ‘খই’ শব্দের

খ। শব্দগুলো উচ্চারণের সময়ে মুখের সামনে এক টুকরা কাগজ ধরে পরীক্ষা করে দেখতে পারো।

কই- খইগড়ি-ঘড়িডাল-ঢালদান-ধান
কোল-খোলটুক-ঠুকডাক-ঢাকদুম-ধূম
চাল-ছালটোকা-ঠোকাতালা-থালাপিতা-ফিতা
চাপ-ছাপজাল-ঝালপুল-ফুলবান-ভান
গোড়া-ঘোড়াজুড়ি-ঝুড়িতাক-থাকবোল-ভোল

 

উচ্চারণ ঠিক রেখে ছড়া পড়ি

ছড়া পড়তে নিশ্চয় তোমাদের ভালো লাগে। এখানে একটি ছড়া দেওয়া হলো। ছড়াটির নাম ‘চিঠি বিলি’। এটি লিখেছেন রোকনুজ্জামান খান। ছড়াটি নেওয়া হয়েছে তাঁর ‘হাট্ টিমা টিম’ নামের বই থেকে। তিনি ১৯৫৬ সালে শিশু-কিশোরদের জন্য ‘কচিকাঁচার মেলা’ নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন।

ছড়াটি প্রথমে নীরবে পড়ো; এরপর সরবে পাঠ করো।

চিঠি বিলি

রোকনুজ্জামান খান

কবি-পরিচিতি (Biography)

নাম : রোকনুজ্জামান খান, তবে দাদাভাই নামে সমধিক পরিচিত।

জন্ম : ৯ই এপ্রিল ১৯২৫ খ্রিষ্টাব্দ, পাংশা, রাজবাড়ী।

কর্মজীবন: সাংবাদিক- শিশু সওগাত, দৈনিক মিল্লাত, সাপ্তাহিক পূর্বদেশ, পাকিস্তান ফিচার সিন্ডিকেট; সম্পাদক- মফস্বল সম্পাদক ও শিশু বিভাগ ‘কচিকাঁচার আসর’ দৈনিক ইত্তেফাক, মাসিক কচিকাঁচা।

সাহিত্যসাধনা : ছড়া: হাট্টিমা টিম, খোকন খোকন ডাক পাড়ি। সম্পাদনা: আমার প্রথম লেখা, ঝিকিমিকি (গল্প সংকলন), বার্ষিক কচি ও কাঁচা, ছোটদের আবৃত্তি। অনুবাদ: আজব হলেও গুজব নয় ইত্যাদি।

পুরস্কার ও সম্মাননা: বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, বাংলাদেশ শিশু জয়েডেমি পুরস্কার, একুশে পদক, জসীমউদ্দীন স্বর্ণপদক, স্বাধীনতা পুরস্কার প্রভৃতি। রোটারি ইন্টারন্যাশনাল এবং রোটারি ফাউন্ডেশন ট্রাস্টি কর্তৃক ‘পল হ্যারিস ফেলো’ সম্মানে ভূষিত।

জীবনাবসান : ৩রা ডিসেম্বর, ১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দ।

ছড়া

ছাতা মাথায় ব্যাঙ চলেছে
চিঠি বিলি করতে,
টাপুস টুপুস ঝরছে দেয়া
ছুটছে খেয়া ধরতে।
খেয়ানায়ের মাঝি হলো
চিংড়ি মাছের বাচ্চা,
দু চোখ বুজে হাল ধরে সে
জবর মাঝি সাচ্চা।

পাঠসংক্ষেপ (Summary): চিঠি বিলি করার জন্য ছাতা মাথায় দিয়ে ব্যাঙ চলেছে। এদিকে বৃষ্টিও পড়ছে। চিংড়ি মাছ যেন খেয়া নৌকার মাঝি, সাচ্চা মাঝির মতো চোখ বুজে হাল ধরেছে। বিলের খলসে আজ চিঠি লিখছে, তারও চোখ যেন রোদে ঝলসে যাচ্ছে। নদীর ওপারে ব্যাঙ গিয়ে জানায় ভেটকি মাছের নাতনি বিদেশ গেছে- কাতলা সেই চিঠি লিখেছে। এবার সারাদেশে বৃষ্টি হবে বলে ছাতা কিনেছে। চিংড়ি মাঝির খেয়া নয়, কাতলার এবার ছাতাই ভরসা।

শব্দের অর্থ (Word Note)

কাতলা: মাছের নাম

খলসে: মাছের নাম

খেয়া: নদী পার হওয়ার নৌকা।

খেয়া না: খেয়া নৌকা

খেয়ানায়ের মাঝি: খেয়া নৌকার মাঝি

চিঠি: কোনো খবর জানিয়ে লেখা কাগজ।

চিঠি বিলি করা : চিঠি পৌছে দেওয়া।

ঝলসানো : উজ্জ্বল আলোয় চোখ ধাঁধানো।

টাপুস টুপুস : বৃষ্টি পড়ার শব্দ।

দেয়া : বৃষ্টি।

বাদলা : একনাগাড়ে বৃষ্টি।

ভরসা : নির্ভর করা, অবলম্বন।

ভেটকি : মাছের নাম।

সাঁঝের বেলা : সন্ধ্যার সময়।

সাচ্চা : সত্য।

শব্দ খুঁজি

অনেক শব্দ তোমার অঞ্চলের মানুষ ভিন্নভাবে উচ্চারণ করে। আবার, অনেক প্রমিত শব্দের বদলে তোমার অঞ্চলের মানুষ আলাদা শব্দ ব্যবহার করে। এ রকম শব্দ খুঁজে বের করো এবং নিচের ছক অনুযায়ী তালিকা করো।

আঞ্চলিক উচ্চারণ/শব্দপ্রমিত শব্দ

 

উত্তর:

আঞ্চলিক উচ্চারণ/শব্দপ্রমিত শব্দ
মোডামোটা
হাজসাঁঝ
চিডিচিঠি
খইলহাখলসে
ওইলোহলো
কত্তেকরতে
মাতামাথা
রউদরোদ
হেরতার
হেপারওপার
বিছরাইখুঁজি

 

প্রমিত ভাষার চর্চা করি

এই পরিচ্ছেদ শুরুর পরিস্থিতি তিনটিতে যেভাবে কথোপকথন হয়েছে, সেই কথাগুলো এবার প্রমিত ভাষায় বলার চেষ্টা করো।

  • ১. খেলার সময়ে কোনো একটা বিষয়ে নিয়ে তর্ক হচ্ছে।
  • ২. পড়াশোনা কেমন চলছে তা নিয়ে মা-বাবার সঙ্গে কথা হচ্ছে।
  • ৩. সবজি কিনতে গিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে দরাদরি হচ্ছে।

এই পরিচ্ছেদ শুরুর পরিস্থিতি তিনটিতে আঞ্চলিক ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে। খেলার সময় ভাষাগত ভিন্নতা থাকাই স্বাভাবিক। এ নিয়ে তর্কাতর্কি হয়। পড়াশোনা করতে গিয়ে ভাষার বৈচিত্র্য জানতে হয়। বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে দরাদরি হয়। এসবই ভাষার কারণে হয়। তাই যে ভাষা সবার জন্য বোধগম্য এবং বহুল প্রচলিত তাই ব্যবহার করা উচিত। আর সেই ভাষা হচ্ছে প্রমিত ভাষা।

প্রমিত ভাষা নিয়ে অতিরিক্ত প্রশ্ন ও উত্তর

প্রমিত ভাষা অধায়

প্রশ্ন-১। প্রমিত ভাষা কাকে বলে?

উত্তর: আঞ্চলিক রূপের কারণে এক অঞ্চলের মানুষের কথা অন্য অঞ্চলের মানুষের বুঝতে সমস্যা হয়। আর এই সমস্যা সমাধানের জন্য সকল অঞ্চলের মানুষ সহজে বুঝতে পারে এমন একটি রূপ নির্দিষ্ট করা হয়েছে। এই নির্দিষ্ট রূপটিকেই প্রমিত ভাষা বলে।

প্রশ্ন-২। আঞ্চলিক ভাষা কাকে বলে?

উত্তর: বাংলাদেশের ভিন্ন ভিন্ন অঞ্চলের মানুষ ভিন্ন উচ্চারণে কথা বলে। একই শব্দ অঞ্চলভেদে ভিন্নভাবে উচ্চারণের ফলে ধ্বনিগত পার্থক্য সৃষ্টি হয়। ফলে এক অঞ্চলের মানুষ অন্য অঞ্চলের ভাষা বুঝতে পারে না। ভিন্ন ভিন্ন অঞ্চলে ভাষার এই পার্থক্য বা তফাতকেই আঞ্চলিক ভাষা বলে।

প্রশ্ন-৩। সব অঞ্চলের মানুষ কোন ধরনের ভাষা বুঝতে পারে?

উত্তর: সব অঞ্চলের মানুষ প্রমিত ভাষা বুঝতে পারে।

প্রশ্ন-৪। আঞ্চলিক ভাষা ও প্রমিত ভাষার মধ্যে মূল পার্থক্য কী?

উত্তর: আঞ্চলিক ভাষা ও প্রমিত ভাষার মধ্যে মূল পার্থক্য হলো উচ্চারণে।

উচ্চারণ ঠিক রেখে ছড়া পড়ি

প্রশ্ন-১। ‘চিঠি বিলি’ ছড়াটি লিখেছেন কে?

উত্তর: ‘চিঠি বিলি’ ছড়াটি লিখেছেন রোকনুজ্জামান খান।

প্রশ্ন-২। ‘চিঠি বিলি’ ছড়াটির বইয়ের সাম কী?

উত্তর: ‘চিঠি বিলি’ ছড়াটির বইয়ের নাম ‘হাট্ টিমা টিম’।

প্রশ্ন-৩। রোকনুজ্জামান খান কী নামে পরিচিত ছিলেন?

উত্তর : রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই নামে পরিচিত ছিলেন।

প্রশ্ন-৪। তিনি শিশু-কিশোরদের জন্য কী করেন?

উত্তর: তিনি শিশু-কিশোরদের জন্য ‘কচিকাঁচার আসর’ নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন।

প্রশ্ন-৫। তিনি কত সালে ‘কচিকাঁচার আসর’ নামে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন?

উত্তর: তিনি ১৯৫৬ সালে ‘কচিকাঁচার আসর’ নামে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন।

প্রশ্ন-৬। কে ছাতা মাথায় দিয়ে চলছে?

উত্তর: ব্যাঙ ছাতা মাথায় দিয়ে চলছে।

প্রশ্ন-৭। ব্যাঙ হাতা মাখায় দিয়ে কী করতে যাচ্ছে?

উত্তর: ব্যাঙ ছাতা মাথায় দিয়ে চিঠি বিলি করতে যাচ্ছে।

প্রশ্ন-৮। বৃষ্টি পড়ার শব্দ কেমন?

উত্তর: বৃষ্টি পড়ার শব্দ হচ্ছে-টাপুস টুপুস।

প্রশ্ন-৯। দেয়া অর্থ কী?

উত্তর: দেয়া অর্থ বৃষ্টি বা মেঘ।

প্রশ্ন-১০। ব্যান্ড টালুস টুপুস বৃষ্টির ভেতর কী ধরতে ছুটে যাচ্ছে?

উত্তর: ব্যাঙ টাপুস টুপুস বৃষ্টির ভেতর খেয়া ধরতে ছুটে যাচ্ছে।

প্রশ্ন-১১। খেয়া নৌকার মাঝি কে?

উত্তর: খেয়া নৌকার মাঝি হচ্ছে চিংড়ি মাছের বাচ্চা।

প্রশ্ন-১২। চিংড়ি মাছের বাচ্চা কী কাজ করে?

উত্তর: চিংড়ি মাছের বাচ্চা দুচোখ বুজে নৌকার হাল ধরে।

প্রশ্ন-১৩। চিংড়ি মাছের বাচ্চার জন্য কী এসেছে?

উত্তর: চিংড়ি মাছের বাচ্চার জন্য চিঠি এসেছে।

প্রশ্ন-১৪। চিংড়ি মাছের বাচ্চার কাছে কে চিঠি লিখেছে?

উত্তর : চিংড়ি মাছের বাচ্চার কাছে চিঠি লিখেছে।

প্রশ্ন-১৫। খলসে মাছ কী বিষয় নিয়ে। চিঠি লিখেছে?

উত্তর: সাঁঝের বেলার রোদে খলসে মাছের চোখ ঝলসে গেছে। এই বিষয়টি নিয়ে চিংড়ি মাছের বাচ্চার কাছে চিঠি লিখেছে।

প্রশ্ন-১৬। ব্যান্ড কোথায় গিয়েছিল?

উত্তর: ব্যাঙ নদীর ওপারে গিয়েছিল।

প্রশ্ন-১৭। ভেটকি মাছের নাতনি কোথায় গেছে?

উত্তর: ভেটকি মাছের নাতনি দেশের বাইরে গেছে।

প্রশ্ন-১৮। ব্যাঙ নদীর ওপারে গিয়ে সবাইকে কী বলল?

উত্তর: ব্যাঙ নদীর ওপারে গিয়ে সবাইকে জানালো যে, ভেটকি মাছের নাতনি দেশের বাইরে চলে গেছে।

প্রশ্ন-১৯। ভেটকি মাছ যে দেশের বাইরে গিয়েছে তা জানানোর জন্য কে চিঠি লিখছে?

উত্তর: ভেটকি মাছ যে দেশের বাইরে গিয়েছে তা জানানোর জন্য বিলের কাতলা মাছ চিঠি লিখছে।

প্রশ্ন-২০। এবার সারা দেশ জুড়ে কী ঘটবে?

উত্তর: এবার সারা দেশ জুড়ে বাদলা নামবে।

প্রশ্ন-২১। কে ছাতা কিনেছে?

উত্তর: ব্যাঙ ছাতা কিনেছে।

প্রশ্ন-২২। ব্যাঙ কী জন্য ছাতা কিনেছে?

উত্তর: ব্যাঙ বর্ষা থেকে রক্ষার জন্য ছাতা কিনেছে।

প্রশ্ন-২৩। খেয়া নৌকার মাঝি কে?

উত্তর: খেয়া নৌকার মাঝি হচ্ছে চিংড়ি।

প্রশ্ন-২৪। ব্যাঙের শেষ ভরসা কী?

উত্তর: ব্যাঙের শেষ ভরসা হচ্ছে চিংড়ি মাঝির নৌকা এবং তার কেনা ছাতা।

প্রশ্ন-২৫। ‘খেয়া না’ শব্দের অর্থ কী?

উত্তর: ‘খেয়া না’ শব্দের অর্থ হচ্ছে- খেয়া নৌকা।

প্রশ্ন-২৬। কোনো খবর জানিয়ে লেখা কাগজকে কী বলে?

উত্তর: কোনো খবর জানিয়ে লেখা কাগজকে চিঠি বলে।

প্রশ্ন-২৭। ‘ঝলসানো’ শব্দের অর্থ কী?

উত্তর: ‘ঝলসানো’ শব্দের অর্থ হচ্ছে উজ্জ্বল আলোয় চোখ ধাঁধানো।

প্রশ্ন-২৮। ‘বাদলা’ কাকে বলে?

উত্তর: একনাগাড়ে বৃষ্টি হওয়াকে বাদলা বলে।

প্রশ্ন-২৯। ‘সাঁঝ’ শব্দের অর্থ কী?

উত্তর: ‘সাঁঝ’ শব্দের অর্থ হচ্ছে সন্ধ্যা।

প্রশ্ন-৩০। ‘চিঠি বিলি’ ছড়াটিতে কী কী মাছের নাম আছে?

উত্তর: ‘চিঠি বিলি’ ছড়াটিতে চিংড়ি, খলসে, ভেটকি, কাতলা মাছের নাম আছে।

প্রমিত ভাষা এর নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নোত্তর

১. সব অঞ্চলের মানুষের বোধগম্য ভাষাকে কী ভাষা বলে?

ক) সাধু ভাষা

খ) চলিত ভাষা

গ) প্রমিত ভাষা

ঘ) আঞ্চলিক ভাষা

২. কোন রূপের কারণে একেক অঞ্চলের মানুষ একেক রকমের ভাষায় কথা বলে?

ক) সাধু রূপ

খ) প্রমিত রূপ

গ) চলিত রূপ

ঘ) আঞ্চলিক রূপ

৩. অঞ্চলভেদে অনেক শব্দের কী হয়?

ক) বদল

খ) প্রসারণ

গ) বিবর্তন

ঘ) সংকোচন

৪. ‘চিঠি বিলি’ ছড়াটি কার লেখা?

ক) জসীমউদ্দীন

খ) সুকুমার রায়

গ) সুফিয়া কামাল

ঘ) রোকনুজ্জামান খান

৫. ‘হাট্ টিমা টিম’ নামে বইটি কে লিখেছেন?

ক) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

খ) শামসুর রাহমান

গ) কাজী নজরুল ইসলাম

ঘ) রোকনুজ্জামান খান

৬. রোকনুজ্জামান খান শিশু-কিশোরদের জন্য ‘কচিকাঁচার মেলা’ নামের সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন-

ক) ১৯২০ সালে

খ) ১৯৫৬ সালে

গ) ১৯৪৫ সালে

ঘ) ১৯৭০ সালে

৭. ‘দাদাভাই’ নামে পরিচিত কোন ছড়াকার?

ক) শামসুর রাহমান

খ) সুকুমার রায়

গ) জসীমউদ্‌দীন

ঘ) রোকনুজ্জামান খান

৮. কে চিঠি বিলি করতে যাচ্ছে?

ক) ব্যাঙ

খ) চিংড়ি

গ) খলসে

ঘ) কাতলা

৯. ব্যাঙ কী মাথায় দিয়ে চিঠি বিলি করতে যাচ্ছে?

ক) টুপি

খ) ছাতা

গ) চাদর

ঘ) পাগড়ি

১০. ‘দেয়া’ শব্দের অর্থ কী?

ক) জল

খ) বৃষ্টি

গ) পানি

ঘ) আকাশ

১১. ব্যাঙ ছাতা মাথায় দিয়ে কী ধরতে ছুটছে?

ক) মাছ

খ) পতঙ্গা

গ) খেয়া

ঘ) চিংড়ি মাছের বাচ্চা

১২. খেয়া নৌকার মাঝি কে?

ক) ব্যাঙ

খ) চিংড়ি মাছের বাচ্চা

গ) খলসে

ঘ) কাতলা

১৩. খেয়া নৌকার হাল ধরে আছে কে?

ক) ব্যাঙ

খ) চিংড়ি

গ) খলসে

ঘ) কাতলা

১৪. সাঁঝের বেলার রোদে কার চোখ ঝলসে গেছে?

ক) ব্যাঙের

খ) খলসের

গ) চিংড়ির

ঘ) কাতলার

১৫. কে চিঠি লিখেছে?

ক) ব্যাঙ

খ) কাতলা

গ) খলসে

ঘ) ভেটকি

১৬. ব্যাঙ কোথায় গিয়েছিল?

ক) বিলের ধারে

খ) খালের ধারে

(গ) নদীর ওপারে

ঘ) ডোবায়

১৭. কে দেশের বাইরে চলে গেছে?

ক) ব্যাঙের বাচ্চা

খ) কাতলা মাছের বাচ্চা

গ) চিংড়ি মাছের বাচ্চা

(ঘ) ভেটকি মাছের নাতনি

১৮. ভেটকি মাছের নাতনির দেশের বাইরে যাওয়ার খবরটি কে দিয়েছে?

ক) ব্যাঙ

খ) কাতলা

গ) চিংড়ি

ঘ) ভেটকি মাছ

১৯. কার চিঠি এসেছে?

ক) ব্যাঙের

খ) চিংড়ির

গ) নাতনির

ঘ) কাতলার

২০. ভেটকি মাছের নাতনির চিঠি আসার খবর কে লিখে জানিয়েছে?

ক) ব্যাঙ

খ) চিংড়ি

গ) কাতলা

ঘ) ভেটকি

২১. এবার সারা দেশ জুড়ে কী হবে?

ক) রোদ

খ) ঝড়

গ) বাদল

ঘ) বন্যা

২২. ছাতা কিনেছে কে?

ক) ব্যাঙ

খ) চিংড়ি

গ) কাতলা

ঘ) ভেটকি

২৩. কে বর্ষার আগমনের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে?

ক) ব্যাঙ

খ) চিংড়ি

গ) কাতলা

ঘ) ভেটকি

২৪. ব্যাঙের শেষ ভরসা কী?

ক) ছাতা

খ) খেয়া

গ) ছাতা ও খেয়া

ঘ) খেয়া ও বাদলা

২৫. কে চিঠি বিলি করে বেড়ায়?

ক) ব্যাঙ

খ) ভেটকির নাতনি

গ) কাতলা

ঘ) খলসে

২৬. ব্যাঙ কার খেয়া নৌকা দিয়ে নদী পার হয়েছিল?

ক) ভেটকি মাছের নাতনির

খ) খলসে মাছের ছেলের

গ) চিংড়ি মাছের ছেলের

ঘ) কাতলার

২৭. ‘সাচ্চা’ শব্দের অর্থ কী?

ক) খুব

খ) সত্য

গ) সাদা

ঘ) স্বচ্ছ

প্রমিত ভাষা নিয়ে এক্সকুসিভ স্টাডি 

বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের ভাষায় আছে- ভিন্নতা।

অনেকেই ছেলেকে বলে- পুত, ব্যাটা, পোলা।

অনেক শব্দই বদলে যায়- অঞ্চলভেদো ”

‘চিঠি বিলি’ ছড়াটি লিখেছেন- রোকনুজ্জামান খান।

রোকনুজ্জামান খান- দাদাভাই নামে পরিচিত।

ছাতা মাথায় চলেছে- ব্যান্ড।

Visited 3,544 times, 1 visit(s) today

Leave a Comment