সুপ্রিয় চাকরিপ্রার্থী ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন আপনারা? আশা করি ভালই আছেন? আমি আপনাদের জন্য আজ এখানে ৪০ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি বাংলার প্রশ্ন ব্যাখ্যাসহ বিশ্লেষণ আলোচনা করব। মূলত, বিসিএস প্রলিমিনারি পরীক্ষায় এমসিকিউ আকারে প্রশ্ন এসে থাকে। আর আমরা বিশেষ করে শুধু উত্তরের জন্য বিভিন্ন জায়গায় ঢু মেরে থাকি। কিন্তু উল্লেখযোগ্য ব্যাখ্যা না পাওয়ায় অনেকে হতাশ হয়ে যান। তাই আপনাদের কথা মাথায় রেখে প্রতিটি প্রশ্নের উপযুক্ত ব্যাখ্যা দিয়ে সেখান থেকে অতিরিক্ত প্রশ্নের সঞ্চালনা করেছি। যেগুলো আপনারা আয়ত্ব করলে বিসিএস সহ যেকোন সরকারি চাকরির পরীক্ষায় কমন পেতে পারেন। কারণ এ টাইপের প্রশ্ন কোনো বইয়েও খুঁজে পাবেন না। আসুন দেখে নিই ৪০ তম বিসিএস প্রিলিমিনারির বাংলা বিষয়ের ব্যাখ্যাসহ পরিপূর্ণ বিশ্লেষণ।
৪০ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি বাংলার প্রশ্ন ব্যাখ্যাসহ বিশ্লেষণ
৪০ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি বাংলার প্রশ্ন ব্যাখ্যাসহ বিশ্লেষণ করার জন্য আমরা দুভাগে ভাগ করেছি। প্রথম ভাগে বাংলা ব্যাকরণ এবং দ্বিতীয় ভাগে বাংলা সাহিত্য।
৪০ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি বাংলা ব্যাকরণ:
১. বাক্যের ক্রিয়ার সাথে অন্যান্য পদের যে সম্পর্ক তাকে কারক বলে।
অপশনে থাকা অন্যান্য সম্ভাব্য উত্তরগুলো দেখে নিন:
ক. বিভক্তি
খ. কারক
গ. প্রত্যয়
ঘ. অনুসর্গ
ব্যাখ্যা: কারক শব্দের অর্থ যা ক্রিয়া সম্পাদন করে বাক্যস্থিত ক্রিয়াপদের সাথে নামপদের যে সম্পর্ক তাকে কারক বলে। বাক্যস্থিত একটি শব্দের সঙ্গে অন্য শব্দের অন্বয় সাধনের জন্য শব্দের সঙ্গে যে সকল বর্ণ যুক্ত হয়, তাদের বিভক্তি বলে। যেমন: ছাদে বসে মা শিশুকে চাঁদ দেখাচ্ছেন। শব্দ গঠনের উদ্দেশ্যে নাম প্রকৃতির এবং ক্রিয়া প্রকৃতির পরে যে শব্দাংশ যুক্ত হয় তাকে প্রত্যয় বলে। বাংলা ভাষায় যে অব্যয় শব্দগুলো কখনো স্বাধীন পদরূপে, আবার কখনো শব্দ বিভক্তির ন্যায় বাক্যে ব্যবহৃত হয়ে বাক্যের অর্থ প্রকাশে সাহায্য করে তাকে অনুসর্গ বলে। যেমন- প্রতি, বিনা, বিহনে, সহ, ওপর, অবধি ইত্যাদি।
আমরা ৪০ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি বাংলার এই প্রশ্ন থেকে সরকারি যেকোন চাকরির পরীক্ষার প্রিলিমিনারি বা লিখিত পরীক্ষায় আসার মত বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন পেলাম। এই প্রশ্নগুলি বিগত চাকরির পরীক্ষায় আসা দেখা গেছে। এই প্রশ্নগুলোর যথাযম্ভব উত্তর ব্যাখ্যা প্যারায় দেখে নিতে পারেন। যেমনঃ
ক) কারক শব্দের অর্থ কী?
খ) অব্যয়ের সর্বোত্তম সংজ্ঞা কি?
গ) “ছাদে বসে মা শিশুকে চাঁদ দেখাচ্ছেন” কিসের উদাহরণ?
ঘ) প্রত্যয় বলতে কি বুঝায়?
ঙ) অনুসর্গ বলতে বলতে আপনি কি বোঝেন?
চ) প্রতি, বিনা, বিহনে, সহ, ওপর, অবধি ইত্যাদি কিসের উদাহরণ?
২. ‘গির্জা’ হলো পর্তুগিজ ভাষার অন্তর্গত শব্দ।
অপশনে থাকা অন্যান্য সম্ভাব্য উত্তরগুলো দেখে নিন:
ক. ফারসি
খ. পর্তুগিজ
গ. ওলন্দাজ
ঘ. পাঞ্জাবি
আরো পড়ুন: ফ্রেশারদের চাকরি পাওয়ার সহজ উপায় । সেরা টিউটোরিয়াল 2024
ব্যাখ্যা: গির্জা পর্তুগিজ ভাষার শব্দ। গির্জা হলো খ্রিস্টধর্মাবলম্বীদের উপাসনালয়। পর্তুগিজ ভাষা থেকে আগত আরও কয়েকটি শব্দ-আনারস, আলপিন, আলমারি, গুদাম, চাবি, পাউরুটি, পাদ্রি, বালতি ইত্যাদি।
ফারসি শব্দ: দরবার, আমদানি, জানোয়ার, জিন্দা, নমুনা, বদমাশ, রফতানি, হাঙ্গামা ইত্যাদি।
ওলন্দাজ শব্দ: ইস্কাপন, টেক্কা, তুরুপ, রুইতন, হরতন ইত্যাদি।
চাহিদা, শিখ হলো পাঞ্জাবি শব্দ।
আমরা ৪০ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি বাংলার এই প্রশ্ন থেকে সরকারি যেকোন চাকরির পরীক্ষার প্রিলিমিনারি বা লিখিত পরীক্ষায় আসার মত বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন পেলাম। এই প্রশ্নগুলি বিগত চাকরির পরীক্ষায় আসা দেখা গেছে। এই প্রশ্নগুলোর যথাযম্ভব উত্তর ব্যাখ্যা প্যারায় দেখে নিতে পারেন। আরো কিছু গুরত্বপূর্ণ প্রশ্ন দেখে নিনঃ
ক) গির্জা কি?
খ) আনারস, আলপিন, আলমারি, গুদাম, চাবি, পাউরুটি, পাদ্রি, বালতি ইত্যাদি শব্দগুলো কোন ভাষা থেকে আগত?
গ) দরবার, আমদানি, জানোয়ার, জিন্দা, নমুনা, বদমাশ, রফতানি, হাঙ্গামা ইত্যাদি শব্দগুলো কোন ভাষা থেকে এসেছে?
ঘ) ইস্কাপন, টেক্কা, তুরুপ, রুইতন, হরতন ইত্যাদি শব্দগুলোর উৎপত্তিস্থল কোথায়?
ঙ) চাহিদা, শিখ কি জাতীয় শব্দ?
চ) টিপস: তাসখেলা জাতীয় শব্দগুলো ওলন্দাজ ভাষা থেকে এসেছে।
৩. ঐচ্ছিক- অনাবশ্যিক শব্দযুগল বিপরীতার্থক নয়।
অপশনে থাকা অন্যান্য সম্ভাব্য উত্তরগুলো দেখে নিন:
ক. ঐচ্ছিক-অনাবশ্যিক
খ. কুটিল-সরল
গ. কম-বেশি
ঘ) কদাচার-সদাচার
ব্যাখ্যা: ঐচ্ছিক অর্থ ইচ্ছানুরূপ, ইচ্ছাধীন, অবশ্যপাঠ নয় এমন। অনাবশ্যক অর্থ আবশ্যক নয় এমন, অপ্রয়োজনীয়, অকারণ। সুতরাং ঐচ্ছিক ও অনাবশ্যক প্রতিশব্দ, ঐচ্ছিক- এর বিপরীত শব্দ আবশ্যিক। কুটিল- সরল, কম-বেশি, কদাচার-সদাচার হলো বিপরীত শব্দ।
৪. দ্বারা, দিয়া, কর্তৃক বাংলা ব্যাকরণ অনুযায়ী তৃতীয়া বিভক্তি।
অপশনে থাকা অন্যান্য সম্ভাব্য উত্তরগুলো দেখে নিন:
ক. তৃতীয়া বিভক্তি
খ. দ্বিতীয়া বিভক্তি
গ. প্রথমা বিভক্তি
ঘ. শূন্য বিভক্তি
ব্যাখ্যা: বাক্যস্থিত একটি শব্দের সাথে অন্য শব্দের সম্পর্ক সাধনের জন্য শব্দের সাথে যেসব বর্ণ যুক্ত হয়, তাদের বিভক্তি বলে। বিভক্তি সাত প্রকার প্রথমা, দ্বিতীয়া, তৃতীয়া, চতুর্থী, পঞ্চমী, ষষ্ঠী এবং সপ্তমী। দ্বারা, দিয়া, কর্তৃক তৃতীয়া বিভক্তি।
০ (শূন্য) অ, এ, তে প্রথমা বিভক্তি।
কে, রে দ্বিতীয়া বিভক্তি।
আরো পড়ুন: ফ্রেশারদের চাকরি পাওয়ার সহজ উপায় । সেরা টিউটোরিয়াল 2024
আমরা ৪০ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি বাংলার এই প্রশ্ন থেকে সরকারি যেকোন চাকরির পরীক্ষার প্রিলিমিনারি বা লিখিত পরীক্ষায় আসার মত বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন পেলাম। এই প্রশ্নগুলি বিগত চাকরির পরীক্ষায় আসা দেখা গেছে। এই প্রশ্নগুলোর যথাযম্ভব উত্তর ব্যাখ্যা প্যারায় দেখে নিতে পারেন। আরো কিছু গুরত্বপূর্ণ প্রশ্ন দেখে নিনঃ
ক) বিভক্তি কাকে বলে?
খ) বিভক্তি কত প্রকার?
গ) দ্বারা, দিয়া, কর্তৃক দ্বারা কোন বিভক্তি বুঝায়?
ঘ) ০ (শূন্য) অ, এ, তে দ্বারা কোন বিভক্তি বুঝায়?
ঙ) কে, রে দ্বারা কোন বিভক্তি বুঝায়?
৫. ‘অভিরাম’ শব্দের অর্থ সুন্দর।
অপশনে থাকা অন্যান্য সম্ভাব্য উত্তরগুলো দেখে নিন:
ক. বিরামহীন
গ. চলন
গ. বালিশ
ঘ. সুন্দর
ব্যাখ্যা: সংস্কৃত উপসর্গ যোগে গঠিত শব্দ ‘অভিরাম’ অর্থ মনোহর, সুন্দর, তৃপ্তিদায়ক। বিরামহীন অর্থ বিশ্রাম নেই এমন, বিরতিহীন। বালিশ অর্থ উপাধান। চলন অর্থ গমন, ভ্রমণ, সঞ্চালন, স্পন্দন, আচার-ব্যবহার, প্রচলন, প্রথা, ধারা, রীতি, রেওয়াজ।
আরো কিছু গুরত্বপূর্ণ প্রশ্ন দেখে নিনঃ
ক) অভিরাম কোন উপসর্গ যোগে গঠিত শব্দ?
খ) উপাধান অর্থ কি?
৬. শরতের শিশির-বাগধারা শব্দটির অর্থ হলো সুসময়ের বন্ধু।
অপশনে থাকা অন্যান্য সম্ভাব্য উত্তরগুলো দেখে নিন:
ক. সুসময়ের বন্ধু
খ. সুসময়ের সঞ্চয়
গ. শরতের শোভা
ঘ. শরতের শিউলি ফুল
ব্যাখ্যা: শরতের শিশির বাগধারাটির অর্থ সুসময়ের বন্ধু, ক্ষণস্থায়ী। দুধের মাছি বাগধারার অর্থও সুসময়ের বন্ধু।
ক) দুধের মাছি বাগধারাটির অর্থ কি?
৭. শিব রাত্রির সলতে-বাগধারাটির অর্থ হলো একমাত্র সন্তান।
অপশনে থাকা অন্যান্য সম্ভাব্য উত্তরগুলো দেখে নিন:
ক. শিবরাত্রির আলো
খ. একমাত্র সঞ্চয়
গ. একমাত্র সন্তান
ঘ. শিবরাত্রির গুরুত্ব
ব্যাখ্যা: শিবরাত্রির সলতে বাগধারার অর্থ একমাত্র জীবিত বংশধর; বাবা মার একমাত্র সন্তান; একমাত্র বংশধর।
৮. ‘প্রোষিতভর্তৃকা’-শব্দটির অর্থ হলো যে নারীর স্বামী বিদেশে অবস্থান করে।
অপশনে থাকা অন্যান্য সম্ভাব্য উত্তরগুলো দেখে নিন:
ক. ভর্ৎসনাপ্রাপ্ত তরুণী
খ. যে নারীর স্বামী বিদেশে অবস্থান করে
গ. ভূমিতে প্রোথিত তরুমূল
ঘ. যে বিবাহিতা নারী পিত্রালয়ে অবস্থান করে
ব্যাখ্যা: এককথায় প্রকাশ: যে নারীর স্বামী বিদেশে অবস্থান করে- প্রোষিতভর্তৃকা। যে নারী (বিবাহিত বা অবিবাহিত) চিরকাল পিতৃগৃহবাসিনী-চিরন্ট। যে পুরুষের স্ত্রী বিদেশে থাকে- প্রোষিতপত্নীক বা প্রোষিতভার্য। ভর্ৎসনাপ্রাপ্ত যে নারী-ভর্ৎসিতা।
আমরা ৪০ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি বাংলার এই প্রশ্ন থেকে সরকারি যেকোন চাকরির পরীক্ষার প্রিলিমিনারি বা লিখিত পরীক্ষায় আসার মত বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন পেলাম। এই প্রশ্নগুলি বিগত চাকরির পরীক্ষায় আসা দেখা গেছে। এই প্রশ্নগুলোর যথাযম্ভব উত্তর ব্যাখ্যা প্যারায় দেখে নিতে পারেন৷ আরো কিছু গুরত্বপূর্ণ প্রশ্ন দেখে নিনঃ
ক) চিরন্ট শব্দের অর্থ কি?
খ) যে পুরুষের স্ত্রী বিদেশে থাকে বাক্যটি এক কথায় প্রকাশ করুন।
গ) ভর্ৎসিতা শব্দের অর্থ কি?
ঘ) প্রোষিতভার্য কাকে বলে?
৯. বাংলা কৃৎ প্রত্যয় সাধিত শব্দ হলো খেলনা।
অপশনে থাকা অন্যান্য সম্ভাব্য উত্তরগুলো দেখে নিন:
ক. কারক
খ. লিখিত
গ. বেদনা
ঘ. খেলনা
ব্যাখ্যা: √ খেল + অনা = খেলনা কৃৎ প্রত্যয় ‘অনা’ যোগে গঠিত। এরূপ আরও কয়েকটি প্রত্যয়সাধিত শব্দ: √দুল্ + অনা= দোলনা, √পা + অনা= পাওনা, দে+ অনা = দেনা, কাঁদ+ অনা = কান্না। সংস্কৃত কৃৎ প্রত্যয় যোগে গঠিত শব্দ √ক + অক = কারক, লিখ+ত = লিখিত, বিদ+ অন + আ = বেদনা।
ক) দোলনা শব্দের প্রত্যয় নির্ণয় করুন।
খ) কারক শব্দের প্রত্যয় কি হবে?
১০. ‘Attested’-এর বাংলা পরিভাষা হলো (ব্যাখ্যা দেখুন)
ক. সত্যায়িত
খ. সত্যায়ন
গ. প্রত্যয়িত
ঘ. সংলগ্ন/সংলাগ
আরো পড়ুন: ফ্রেশারদের চাকরি পাওয়ার সহজ উপায় । সেরা টিউটোরিয়াল 2024
[Note: বাংলা একাডেমি English-Bangla Dictionary ও আধুনিক বাংলা অভিধান অনুযায়ী Attested অর্থ সত্যায়িত/প্রত্যয়িত। অন্যদিকে বাংলা একাডেমি প্রশাসনিক পরিভাষা গ্রন্থ অনুযায়ী Attested-এর বাংলা পরিভাষা সত্যায়িত ও Certified-এর পরিভাষা প্রত্যয়িত। এছাড়া ড. হায়াৎ মামুদের ভাষা-শিক্ষা গ্রন্থ অনুযায়ী Attested-এর বাংলা পরিভাষা প্রত্যয়িত।
আমরা ৪০ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি বাংলার এই প্রশ্ন থেকে সরকারি যেকোন চাকরির পরীক্ষার প্রিলিমিনারি বা লিখিত পরীক্ষায় আসার মত বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন পেলাম। এই প্রশ্নগুলি বিগত চাকরির পরীক্ষায় আসা দেখা গেছে। এই প্রশ্নগুলোর যথাযম্ভব উত্তর ব্যাখ্যা প্যারায় দেখে নিতে পারেন। আরো কিছু গুরত্বপূর্ণ প্রশ্ন দেখে নিনঃ
ক) Attested শব্দের অর্থ কি?
খ) সত্যায়িত শব্দের ইংরেজি কি?
গ) সত্যায়িত শব্দের প্রতিশব্দ কি?
১১. এখানে শুদ্ধ বানান হলো প্রোজ্জ্বল।
অপশনে থাকা অন্যান্য সম্ভাব্য উত্তরগুলো দেখে নিন:
ক. প্রজ্জ্বল
খ. প্রোজ্জ্বল
গ. প্রোজ্জল
ঘ. প্রোজ্জ্বল
ব্যাখ্যা: সংস্কৃত বিশেষণ পদ প্র+ উজ্জ্বল = প্রোজ্জ্বল অর্থ বিশেষভাবে উজ্জ্বল।
ক) প্রোজ্জ্বল শব্দের অর্থ কি?
১২. ‘জোছনা’ হলো অর্ধ তৎসম শ্রেণির শব্দ।
অপশনে থাকা অন্যান্য সম্ভাব্য উত্তরগুলো দেখে নিন:
ক. যৌগিক
খ. তৎসম
গ. দেশি
ঘ. অর্ধ-তৎসম
ব্যাখ্যা: বাংলা ভাষায় কিছু সংস্কৃত শব্দ কিঞ্চিৎ পরিবর্তিত আকারে ব্যবহৃত হয়। এগুলোকে বলে অর্ধ-তৎসম শব্দ। যেমন- জোছনা, ছেরাদ্দ, গিন্নি, বোষ্টম, কুচ্ছিত-এ শব্দগুলো যথাক্রমে সংস্কৃত জ্যোৎস্না, শ্রাদ্ধ, গৃহিণী, বৈষ্ণব, কুৎসিত শব্দ থেকে আগত। যেসব শব্দ সংস্কৃত ভাষা থেকে সোজাসুজি বাংলায় এসেছে এবং যাদের রূপ অপরিবর্তিত রয়েছে, তাদেরকে তৎসম শব্দ বলে। যেমন- চন্দ্র, সূর্য, নক্ষত্র, ভবন, ধর্ম, পাত্র, মনুষ্য ইত্যাদি।
বাংলাদেশের আদিম অধিবাসীদের ভাষা ও সংস্কৃতির কিছু কিছু উপাদান বাংলায় রক্ষিত আছে। এসব শব্দকে দেশি বলা হয় যেমন- কুলা, গঞ্জ, চোঙ্গা, টোপর, ডাব, চাগর, ঢেঁকি ইত্যাদি। যেসব শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ ও ব্যবহারিক অর্থ একই রকম, সেগুলোকে যৌগিক শব্দ বলে। যেমন- গায়ক, কর্তব্য, বাবুয়ানা মধুর, দৌহিত্র, চিকামারা ইত্যাদি।
আমরা ৪০ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি বাংলার এই প্রশ্ন থেকে সরকারি যেকোন চাকরির পরীক্ষার প্রিলিমিনারি বা লিখিত পরীক্ষায় আসার মত বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন পেলাম। এই প্রশ্নগুলি বিগত চাকরির পরীক্ষায় আসা দেখা গেছে। এই প্রশ্নগুলোর যথাযম্ভব উত্তর ব্যাখ্যা প্যারায় দেখে নিতে পারেন। আরো কিছু গুরত্বপূর্ণ প্রশ্ন দেখে নিনঃ
ক) অর্ধ তৎসম শব্দ কাকে বলে?
খ) জোছনা, ছেরাদ্দ, গিন্নি, বোষ্টম, কুচ্ছিত শব্দগুলো কি জাতীয় শব্দ?
গ) জ্যোৎস্না, শ্রাদ্ধ, গৃহিণী, বৈষ্ণব, কুৎসিত কোন শ্রেণীর শব্দ?
ঘ) তৎসম শব্দ কাকে বলে?
ঙ) চন্দ্র, সূর্য, নক্ষত্র, ভবন, ধর্ম, পাত্র, মনুষ্য ইত্যাদি কি শব্দ?
চ) দেশি শব্দ কাকে বলা হয়?
ছ) কুলা, গঞ্জ, চোঙ্গা, টোপর, ডাব, চাগর, ঢেঁকি ইত্যাদি কি জাতীয় শব্দ?
জ) যৌগিক শব্দ কাকে বলে।
ঝ) গায়ক, কর্তব্য, বাবুয়ানা মধুর, দৌহিত্র, চিকামারা ইত্যাদি কি শব্দ?
১৩. ‘জিজীবিষা’ শব্দটি দিয়ে বোঝায় বেঁচে থাকার ইচ্ছা।
অপশনে থাকা অন্যান্য সম্ভাব্য উত্তরগুলো দেখে নিন:
ক. জয়ের ইচ্ছা
খ. হত্যার ইচ্ছা
গ. বেঁচে থাকার ইচ্ছা
ঘ. শোনার ইচ্ছা
ব্যাখ্যা: এককথায় প্রকাশ: বেঁচে থাকার ইচ্ছা-জিজীবিষা। জয়ের ইচ্ছা-জিগীষা। হনন (হত্যা) করার ইচ্ছা- জিঘাংসা।
আমরা ৪০ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি বাংলার এই প্রশ্ন থেকে সরকারি যেকোন চাকরির পরীক্ষার প্রিলিমিনারি বা লিখিত পরীক্ষায় আসার মত বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন পেলাম। এই প্রশ্নগুলি বিগত চাকরির পরীক্ষায় আসা দেখা গেছে। এই প্রশ্নগুলোর যথাযম্ভব উত্তর ব্যাখ্যা প্যারায় দেখে নিতে পারেন। আরো কিছু গুরত্বপূর্ণ প্রশ্ন দেখে নিনঃ
ক) “জয়ের ইচ্ছা” এক কথা প্রকাশ করুন।
খ) “হনন (হত্যা) করার ইচ্ছা” এক কথায় প্রকাশ কি হবে?
গ) জিঘাংসা কাকে বলে?
ঘ) জিজীবিষা কি?
ঙ) জিগীষা অর্থ কি?
১৪. ‘সর্বাঙ্গীণ’ শব্দের সঠিক প্রকৃতি-প্রত্যয় হলো সর্বাঙ্গ+ঈন।
অপশনে থাকা অন্যান্য সম্ভাব্য উত্তরগুলো দেখে নিন:
ক. সর্বঙ্গ+ঈন
খ. সর্ব+অঙ্গীন
গ. সর্ব+ঙ্গীন
ঘ. সর্বাঙ্গ+ঈন
ব্যাখ্যা: ঈন প্রত্যয়যোগে গঠিত শব্দ- সর্বাঙ্গ + ঈন = সর্বাঙ্গীণ, কুল + ঈন = কুলীন, সমকাল+ সমকালীন, সর্বজন + ঈন = সর্বজনীন।
১৫. অন্যের রচনা থেকে চুরি করাকে কুম্ভিলকবৃত্তি বলা হয়।
অপশনে থাকা অন্যান্য সম্ভাব্য উত্তরগুলো দেখে নিন:
ক. বেতসবৃত্তি
খ. পতঙ্গবৃত্তি
গ. জলৌকাবৃত্তি
ঘ. কুম্ভিলকবৃত্তি
ব্যাখ্যা: যে ব্যক্তি অন্যের রচনার ভাব বা ভাষা নিজের নামে চালায় তাকে কুম্ভিলক বলে। কুম্ভিলকবৃত্তি-এর ইংরেজি পরিভাষা plagiarist। অন্যের রচনা থেকে চুরি করাকে তাই এককথায় বলে কুম্ভিলকবৃত্তি।
আরো কিছু গুরত্বপূর্ণ প্রশ্ন দেখে নিনঃ
ক) কুম্ভিলক কাকে বলে?
খ) কুম্ভিলকবৃত্তি-এর ইংরেজি পরিভাষা কি?
গ) plagiarist শব্দের অর্থ কি?
৪০ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি বাংলা সাহিত্য:
১৬. ‘ঊর্ণনাভ’ শব্দটি দিয়ে মাকড়সা কে বুঝায়।
অপশনে থাকা অন্যান্য সম্ভাব্য উত্তরগুলো দেখে নিন:
ক. টিকটিকি
খ. তেলেপোকা
গ. উইপোকা
ঘ. মাকড়সা
ব্যাখ্যা: ‘ঊর্ণনাভ’ সংস্কৃত শব্দ, বিশেষ্য পদ, অর্থ মাকড়সা। ‘ঊর্ণানাভ যে সূত্র দিয়া জাল প্রস্তুত করে…।’- অক্ষয়কুমার দত্ত। টিকটিকি শব্দটি আলংকারিক অর্থে গোয়েন্দা বোঝায়। আরশোলার প্রতিশব্দ তেলাপোকা। বল্মীক অর্থ উইপোকা।
আমরা ৪০ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি বাংলার এই প্রশ্ন থেকে সরকারি যেকোন চাকরির পরীক্ষার প্রিলিমিনারি বা লিখিত পরীক্ষায় আসার মত বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন পেলাম। এই প্রশ্নগুলি বিগত চাকরির পরীক্ষায় আসা দেখা গেছে। এই প্রশ্নগুলোর যথাযম্ভব উত্তর ব্যাখ্যা প্যারায় দেখে নিতে পারেন। আরো কিছু গুরত্বপূর্ণ প্রশ্ন দেখে নিনঃ
ক) ‘ঊর্ণনাভ’ কি শব্দ?
খ) ঊর্ণানাভ যে সূত্র দিয়া জাল প্রস্তুত করে…।’- কোন বিখ্যাত লেখকের উক্তি?
গ) টিকটিকি শব্দের আলংকারিক অর্থে কি বুঝায়?
ঘ) আরশোলা শব্দের অর্থ কি?
ঙ) বল্মীক অর্থ কি?
১৭. চর্যাপদে বৌদ্ধ ধর্মমতের কথা আছে।
অপশনে থাকা অন্যান্য সম্ভাব্য উত্তরগুলো দেখে নিন:
ক. খ্রিস্টধর্ম
খ. প্যাগনিজম
গ. জৈনধর্ম
ঘ. বৌদ্ধধর্ম
ব্যাখ্যা: বাংলা সাহিত্যের আদি নিদর্শন মাত্রাবৃত্ত ছন্দে লেখা চর্যাপদে বৌদ্ধধর্মের তত্ত্বকথা বিধৃত হয়েছে। চর্যাপদের মাধ্যমে বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্যেরা গোপন তত্ত্বদর্শন ও ধর্মচর্চাকে বাহ্যিক প্রতীকের সাহায্যে ব্যক্ত করেছেন। বৌদ্ধধর্মের মহাযান শাখা কালক্রমে যেসব উপশাখায় বিভক্ত হয়েছিল তারই বজ্রযানের সাধনপ্রণালী ও তত্ত্ব এতে বিধৃত করা হয়েছে।
আমরা ৪০ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি বাংলার এই প্রশ্ন থেকে সরকারি যেকোন চাকরির পরীক্ষার প্রিলিমিনারি বা লিখিত পরীক্ষায় আসার মত বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন পেলাম। এই প্রশ্নগুলি বিগত চাকরির পরীক্ষায় আসা দেখা গেছে। এই প্রশ্নগুলোর যথাযম্ভব উত্তর ব্যাখ্যা প্যারায় দেখে নিতে পারেন। আরো কিছু গুরত্বপূর্ণ প্রশ্ন দেখে নিনঃ
ক) বাংলা সাহিত্যের আদি নিদর্শনের নাম কি?
খ) চর্যাপদ কি?
গ) চর্যাপদ কোন ছন্দে লেখা?
১৮. উল্লিখিতদের মধ্যে রমনীপাদ প্রাচীন যুগের কবি নন।
অপশনে থাকা অন্যান্য সম্ভাব্য উত্তরগুলো দেখে নিন:
ক. কাহ্নপাদ
খ. লুইপাদ
গ. শান্তিপাদ
ঘ. রমনীপাদ
ব্যাখ্যা: প্রদত্ত অপশন অনুযায়ী প্রাচীন যুগের কবি নন রমনীপাদ। কাহ্নপাদ, লুইপাদ ও শান্তিপাদ তিনজনই প্রাচীন যুগের কবি। বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন যুগের নিদর্শন চর্যাপদের প্রথম কবি লুইপাদ এবং সবচেয়ে বেশি পদ (১৩টি) রচনা করেন কাহ্নপাদ। শান্তিপাদও দুটি পদ রচনা করেন।
আমরা ৪০ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি বাংলার এই প্রশ্ন থেকে সরকারি যেকোন চাকরির পরীক্ষার প্রিলিমিনারি বা লিখিত পরীক্ষায় আসার মত বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন পেলাম। এই প্রশ্নগুলি বিগত চাকরির পরীক্ষায় আসা দেখা গেছে। এই প্রশ্নগুলোর যথাযম্ভব উত্তর ব্যাখ্যা প্যারায় দেখে নিতে পারেন। আরো কিছু গুরত্বপূর্ণ প্রশ্ন দেখে নিনঃ
ক) কাহ্নপাদ কোন যুগের কবি?
খ) লুইপাদ কোন যুগের কবি?
গ) শান্তিপাদ কোন যুগের কবি?
ঘ) বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে প্রাচীন গ্রন্থের নাম কি?
ঙ) চর্যাপদের প্রথম কবির নাম কি?
চ) চর্যাপদের সবচেয়ে বেশি পদ রচনা কে করেন?
ছ) কাহ্নপাদ মোট কতটি পদ রচনা করেন?
জ) শান্তিপাদ কতটি পদ রচনা করেন?
১৯. উল্লিখিত ময়মনসিংহ গীতিকা রচনাটি পুঁথি সাহিত্যের অন্তর্গত নয়।
অপশনে থাকা অন্যান্য সম্ভাব্য উত্তরগুলো দেখে নিন:
ক. ময়মনসিংহ গীতিকা
খ. ইউসুফ জুলেখা
গ. পদ্মাবতী
ঘ. লাইলী মজনু
ব্যাখ্যা: বাংলাদেশে লোকগীতিকাগুলোকে তিন ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। যথা ১. নাথগীতিকা ২. ময়মনসিংহ গীতিকা ও ৩. পূর্ববঙ্গ গীতিকা। ‘ময়মনসিংহ গীতিকা’র পালাগুলো সংগ্রহ করেন চন্দ্রকুমার দে এবং তা সম্পাদনা করেন ড. দীনেশচন্দ্র সেন। পুঁথি সাহিত্যের অন্তর্গত ‘ইউসুফ জোলেখা’, ‘পদ্মাবতী’ ও ‘লাইলী মজনু’ কাব্যের রচয়িতা যথাক্রমে ফকির গরীবুল্লাহ, আলাওল ও দৌলত উজির বাহরাম খান। উল্লেখ্য, ‘ইউসুফ জোলেখা’ নামে শাহ মুহম্মদ সগীর ও আবদুল হাকিমও কাব্য রচনা করেন।
আমরা ৪০ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি বাংলার এই প্রশ্ন থেকে সরকারি যেকোন চাকরির পরীক্ষার প্রিলিমিনারি বা লিখিত পরীক্ষায় আসার মত বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন পেলাম। এই প্রশ্নগুলি বিগত চাকরির পরীক্ষায় আসা দেখা গেছে। এই প্রশ্নগুলোর যথাযম্ভব উত্তর ব্যাখ্যা প্যারায় দেখে নিতে পারেন। আরো কিছু গুরত্বপূর্ণ প্রশ্ন দেখে নিনঃ
ক) বাংলাদেশে লোকগীতিকাগুলোকে জত ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে?
খ) ময়মনসিংহ গীতিকা’র পালাগুলো কে সংগ্রহ করেন?
গ) ময়মনসিংহ গীতিকা’র পালাগুলো কে সম্পাদনা করেন?
ঘ) বিখ্যাত ‘ইউসুফ জোলেখা’ কাব্যের কবির নাম কি?
ঙ) পদ্মাবতী কাব্যটি কে রচনা করেন?
চ) “লাইলী মজনু” কাব্যটি কার লেখা?
ছ) পুঁথি সাহিত্যের অন্যতম কবির নাম কি?
২০. জীবনীকাব্য রচনার জন্য বৃন্দাবন দাস বিখ্যাত।
অপশনে থাকা অন্যান্য সম্ভাব্য উত্তরগুলো দেখে নিন:
ক. ফকির গরীবুল্লাহ
খ. বিপ্রদাস পিপিলাই
গ. নরহরি চক্রবর্তী
ঘ. বৃন্দাবন দাস
ব্যাখ্যা: বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগের গতানুগতিক ধারায় জীবনী সাহিত্য এক বিশিষ্ট স্থান অধিকার করে আছে। জীবনী সাহিত্যের রচয়িতাগণের উদ্দেশ্য ছিল চৈতন্যদেবের মহান জীবনকাহিনি বর্ণনার মাধ্যমে বৈষ্ণব ধর্মের প্রচার এবং গৌড়ীয় বৈষ্ণব সমাজের গৌরব প্রতিষ্ঠা করা। বাংলা সাহিত্যে জীবনীকাব্য রচনার জন্য বিখ্যাত হয়ে আছেন বৃন্দাবন দাস। তিনি বাংলা ভাষায় শ্রীচৈতন্যের প্রথম জীবনীকাব্য ‘শ্রীচৈতন্যভাগবত’ রচনা করেন। পুঁথি সাহিত্যের প্রথম সার্থক ও জনপ্রিয় কবি ফকির গরীবুল্লাহ। মনসামঙ্গলের অন্যতম কবি বিপ্রদাস পিপিলাই। তার রচিত কাব্য ‘মনসাবিজয়’। বৃন্দাবন দাস ছাড়াও নরহরি সরকার, রঘুনাথ দাস, মুরারি গুপ্ত, লোচনদাস, কৃষ্ণদাস কবিরাজ প্রমুখ কবি জীবনীকাব্য রচনায় উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন।
আমরা ৪০ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি বাংলার এই প্রশ্ন থেকে সরকারি যেকোন চাকরির পরীক্ষার প্রিলিমিনারি বা লিখিত পরীক্ষায় আসার মত বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন পেলাম। এই প্রশ্নগুলি বিগত চাকরির পরীক্ষায় আসা দেখা গেছে। এই প্রশ্নগুলোর যথাযম্ভব উত্তর ব্যাখ্যা প্যারায় দেখে নিতে পারেন। যেমনঃ
ক) জীবনী সাহিত্যের রচয়িতাগণের উদ্দেশ্য কি?
খ) বৃন্দাবন দাস কি জন্য বিখ্যাত ছিল?
গ) “শ্রীচৈতন্যভাগবত” এর রচয়িতা কে?
ঘ) শ্রীচৈতন্যের প্রথম জীবনীকাব্য কি ছিল?
ঙ) পুঁথি সাহিত্যের প্রথম সার্থক ও জনপ্রিয় কবির নাম কি?
চ) “মনসাবিজয়” কাব্যের কবি কে?
ছ) বিপ্রদাস পিপিলাই কবির অন্যতম রচনার নাম কি?
জ) জীবনীকাব্য রচনায় কয়েকজন উল্লেখযোগ্য কবির নাম লিখুন।
২১. বৈষ্ণব পদাবলির সঙ্গে ব্রজবুলি ভাষা সম্পর্কিত।
অপশনে থাকা অন্যান্য সম্ভাব্য উত্তরগুলো দেখে নিন:
ক. সন্ধ্যাভাষা
খ. ব্রজবুলি
গ. অধিভাষা
ঘ. সংস্কৃত ভাষা
ব্যাখ্যা: মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ সম্পদ বৈষ্ণব পদাবলি। বৈষ্ণব পদাবলির অধিকাংশ পদ রচিত হয়েছে ‘ব্রজবুলি’ ভাষায়। ‘ব্রজবুলি’ বাংলা ও মৈথিলি ভাষার মিশ্রণে এক প্রকার কৃত্রিম কবিভাষা। এ ভাষার স্রষ্টা বিদ্যাপতি। চর্যাপদের সাথে সম্পর্কিত ভাষা সন্ধ্যাভাষা।
আমরা ৪০ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি বাংলার এই প্রশ্ন থেকে সরকারি যেকোন চাকরির পরীক্ষার প্রিলিমিনারি বা লিখিত পরীক্ষায় আসার মত বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন পেলাম। এই প্রশ্নগুলি বিগত চাকরির পরীক্ষায় আসা দেখা গেছে। এই প্রশ্নগুলোর যথাযম্ভব উত্তর ব্যাখ্যা প্যারায় দেখে নিতে পারেন। যেমনঃ
ক) মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ গ্রন্থের নাম কি?
খ) বৈষ্ণব পদাবলি কাকে বলে?
গ) বৈষ্ণব পদাবলি কোন ভাষায় রচিত?
ঘ) বৈষ্ণব পদাবলির শ্রেষ্ঠ রচয়িতার নাম কি?
ঙ) বৈষ্ণব পদাবলি কোন যুগের শ্রেষ্ঠ রচনা?
২২. বাংলা আধুনিক উপন্যাস-এর প্রবর্তক ছিলেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
অপশনে থাকা অন্যান্য সম্ভাব্য উত্তরগুলো দেখে নিন:
ক. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
খ. ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
গ. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
ঘ. প্যারীচাঁদ মিত্র
ব্যাখ্যা: ইংরেজি নভেল (Novel) শব্দের বাংলা প্রতিশব্দ উপন্যাস। বাংলা আধুনিক যুগের (১৮০১-বর্তমান) অন্যতম সাহিত্যকর্ম হিসেবে বিবেচ্য হলো উপন্যাস। বাংলা উপন্যাস রচনায় প্রথম প্রচেষ্টা চালান ভবানীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়। অবাঙালি হ্যানা ক্যাথারিন ম্যালেন্স কর্তৃক রচিত ১৮৫২ সালে প্রথম লক্ষণাক্রান্ত বাংলা উপন্যাস ‘ফুলমণি ও করুণার বিবরণ’। বাঙালি ঔপন্যাসিক প্যারীচাঁদ মিত্র কর্তৃক ১৮৫৮ সালে রচিত উপন্যাস আলালের ঘরের দুলাল। এ উপন্যাসটি প্রথম বাংলা ‘উপন্যাস হিসেবে বিবেচিত। সাধু ও কথ্য ভাষার মিশ্রণে আলালী ভাষায় তিনি এ উপন্যাস রচনা করেন। এ উপন্যাসটি বাঙালি পাঠক সমাজে ততোটা সার্থক হতে পারেনি।
উনিশ শতকের প্রথমার্ধে বাংলা উপন্যাসের সুচনায় সামাজিক কাহিনির প্রাধান্য লক্ষ করা যায়। তবে ‘ফুলমণি ও করুণার বিবরণ’ উপন্যাসে মূলত উঠে আসে খ্রিস্ট ধর্মীয় উপাখ্যান। সে কারণে রচনাকর্মটি সার্থক উপন্যাসের মর্যাদা পায়নি। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বহুমাত্রিক বিষয় নিয়ে মোট ১৪টি উপন্যাস রচনা করে বাংলা সাহিত্যে উপন্যাস শাখার ভিত মজবুত করেন। তার রচিত প্রথম উপন্যাস ইংরেজি ভাষায় লেখা ‘Rajmohon’s Wife’। তবে ১৮৬৫ সালে বাংলায় রচিত ‘দুর্গেশনন্দিনী’ উপন্যাসটি বাংলা উপন্যাসের সবচেয়ে সার্থক উপন্যাস হিসেবে সাহিত্যবোদ্ধারা মেনে নেন।
আমরা ৪০ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি বাংলার এই প্রশ্ন থেকে সরকারি যেকোন চাকরির পরীক্ষার প্রিলিমিনারি বা লিখিত পরীক্ষায় আসার মত বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন পেলাম। এই প্রশ্নগুলি বিগত চাকরির পরীক্ষায় আসা দেখা গেছে। এই প্রশ্নগুলোর যথাযম্ভব উত্তর ব্যাখ্যা প্যারায় দেখে নিতে পারেন। যেমনঃ
ক) Novel শব্দের অর্থ কি?
খ) বাংলা আধুনিক যুগের অন্যতম সাহিত্যকর্ম কি?
গ) বাংলায় আধুনিক যুগ কখন শুরু হয়?
ঘ) বাংলা উপন্যাস রচনায় প্রথম প্রচেষ্টা কে চালান?
ঙ) ‘ফুলমণি ও করুণার বিবরণ’ গ্রন্থের লেখক কে?
চ) হ্যানা ক্যাথারিন ম্যালেন্স কত সালে বাংলা উপন্যাস লিখেন?
ছ) বাংলা সাহিত্যের প্রথম বাঙালি কর্তৃক রচিত উপন্যাসের নাম কি?
জ) প্যারীচাঁদ মিত্র কত সালে প্রথম উপন্যাস রচনা করেন?
ঝ) বাংলা সাহিত্যের প্রথম অবাঙালি কর্তৃক রচিত উপন্যাসের নাম কি?
ঞ) প্যারীচাঁদ মিত্র কি ভাষায় আলালের ঘরের দুলাল উপন্যাসটি রচনা করেন?
ট) কখন বাংলা উপন্যাসের সুচনায় সামাজিক কাহিনির প্রাধান্য লক্ষ করা যায়?
ঠ) ‘ফুলমণি ও করুণার বিবরণ’ কি ধরণের গ্রন্থ?
ণ) ‘ফুলমণি ও করুণার বিবরণ’ উপন্যাসে কোন ধর্মের ব্যাখ্যা পাওয়া যায়?
ত) বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কতটি উপন্যাস রচনা করেন?
থ) বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রথম উপন্যাসের নাম কি?
দ) বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রথম উপন্যাসের ভাষা কি ছিল?
ধ) ‘Rajmohon’s Wife’ কি?
ন) দুর্গেশনন্দিনী’ উপন্যাসের লেখকের নাম কি?
প) বাংলা সাহিত্যের কোন উপন্যাস সার্থক হিসেবে বিবেচিত?
ফ) কত সালে দুর্গেশনন্দিনী’ উপন্যাসটি রচিত হয়?
ব) কত সালে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় দুর্গেশনন্দিনী উপন্যাস রচনা করেন?
ভ) কোন উপন্যাসের কারণ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বিখ্যাত হোন?
ম) বাংলা সাহিত্যের সার্থক উপন্যাসের নাম কি?
২৩. ‘কিন্তু আরম্ভের পূর্বেও আরম্ভ আছে।
সন্ধ্যাবেলায় দীপ জ্বালার আগে
সকালবেলায় সলতে পাকানো’-
বাক্যদ্বয় যোগাযোগ রচনা থেকে উদ্ধৃত।
অপশনে থাকা অন্যান্য সম্ভাব্য উত্তরগুলো দেখে নিন:
ক. নৌকাডুবি
খ. যোগাযোগ
গ. চোখের বালি
ঘ. শেষের কবিতা
ব্যাখ্যা: ‘কিন্তু আরম্ভের পূর্বেও আরম্ভ আছে। সন্ধ্যাবেলায় দীপ জ্বালার আগে সকালবেলায় সলতে পাকানো।’ বাক্যদ্বয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘যোগাযোগ’ উপন্যাসের প্রথম অধ্যায় থেকে নেয়া হয়েছে। ১৯২৭ সালে উপন্যাসটি মাসিক ‘বিচিত্রা’ পত্রিকায় তিন পুরুষ নামে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়। এ উপনাসের প্রধান চরিত্র কুমুদিনী ও মধুসূদন। নৌকাডুবি, চোখের বালি ও শেষের কবিতা উপন্যাসের রচয়িতাও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
আমরা ৪০ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি বাংলার এই প্রশ্ন থেকে সরকারি যেকোন চাকরির পরীক্ষার প্রিলিমিনারি বা লিখিত পরীক্ষায় আসার মত বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন পেলাম। এই প্রশ্নগুলি বিগত চাকরির পরীক্ষায় আসা দেখা গেছে। এই প্রশ্নগুলোর যথাযম্ভব উত্তর ব্যাখ্যা প্যারায় দেখে নিতে পারেন। যেমনঃ
ক) যোগাযোগ উপন্যাসের লেখকের নাম কি?
খ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপন্যাস “যোগাযোগ” কোন পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়?
গ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপন্যাস “যোগাযোগ” কত সালে পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়?
ঘ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপন্যাস “যোগাযোগ” কি নামে পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়?
ঙ) “যোগাযোগ” উপন্যাসের প্রধান চরিত্রের নাম কি?
চ) কুমুদিনী কোন উপন্যাসের চরিত্র?
ছ) বিখ্যাত উপন্যাস “শেষের কবিতা” এর লেখকের নাম কি?
জ) “শেষের কবিতা” কি ধরণের গ্রন্থ?
ঝ) “নৌকাডুবি” উপন্যাসের লেখক কে?
ঞ) “চোখের বালি” উপন্যাসের ঔপন্যাসিকের নাম কি?
২৪. মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস হলো একটি কালো মেয়ের কথা।
ক. একটি কালো মেয়ের কথা
খ. আয়নামতির পালা
গ. তেইশ নম্বর তৈলচিত্র
ঘ. ইছামতী
ব্যাখ্যা: তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস ‘একটি কালো মেয়ের কথা’। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আরো কয়েকটি উপন্যাস- রাইফেল রোটি আওরাত (আনোয়ার পাশা), নিষিদ্ধ লোবান (সৈয়দ শামসুল হক), জলাংগী (শওকত ওসমান), উপমহাদেশ (আল মাহমুদ), হাঙর নদী গ্রেনেড (সেলিনা হোসেন), আগুনের পরশমণি (হুমায়ূন আহমেদ)। ‘তেইশ নম্বর তৈলচিত্র’ আলাউদ্দিন আল আজাদ রচিত মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণধর্মী উপন্যাস। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ‘ইছামতী’ উপন্যাসের মূল উপজীব্য ইছামতী নদীর তীরবর্তী গ্রামের মানুষের জীবনকথা। এ উপন্যাসের জন্য তিনি রবীন্দ্র পুরস্কার লাভ করেন।
আমরা ৪০ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি বাংলার এই প্রশ্ন থেকে সরকারি যেকোন চাকরির পরীক্ষার প্রিলিমিনারি বা লিখিত পরীক্ষায় আসার মত বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন পেলাম। এই প্রশ্নগুলি বিগত চাকরির পরীক্ষায় আসা দেখা গেছে। এই প্রশ্নগুলোর যথাযম্ভব উত্তর ব্যাখ্যা প্যারায় দেখে নিতে পারেন। যেমনঃ
ক) “রাইফেল রোটি আওরাত” উপন্যাসের লেখকের নাম কি?
খ) “রাইফেল রোটি আওরাত” কি ধরণের গ্রন্থ?
গ) “নিষিদ্ধ লোবান” উপন্যাসের লেখকের নাম কি?
ঘ) “নিষিদ্ধ লোবান” কি ধরণের গ্রন্থ?
ঙ) “জলাংগী” উপন্যাসের লেখকের নাম কি?
চ) “জলাংগী” কি ধরণের গ্রন্থ?
ছ) “উপমহাদেশ” উপন্যাসের লেখকের নাম কি?
জ) “উপমহাদেশ” কি ধরণের গ্রন্থ?
ঝ) “হাঙর নদী গ্রেনেড” উপন্যাসের লেখকের নাম কি?
ঞ) “হাঙর নদী গ্রেনেড” কি ধরণের গ্রন্থ?
ট) “আগুনের পরশমণি” উপন্যাসের লেখকের নাম কি?
ঠ) “আগুনের পরশমণি” কি ধরণের গ্রন্থ?
ড) “তেইশ নম্বর তৈলচিত্র” উপন্যাসের লেখকের নাম কি?
ঢ) “তেইশ নম্বর তৈলচিত্র” কি ধরণের উপন্যাস?
ণ) “ইছামতী” উপন্যাসের লেখকের নাম কি?
ত) “ইছামতী” কি ধরণের গ্রন্থ?
থ) “ইছামতী” উপন্যাসের মূল উপজীব্য কি?
দ) “ইছামতী” উপন্যাসের কারণে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় কোন পুরষ্কারে ভুষিত হোন?
২৫. ‘কালো বরফ’ উপন্যাসটির বিষয় হলো দেশভাগ।
ক. তেভাগা আন্দোলন
খ. ভাষা আন্দোলন
গ. মুক্তিযুদ্ধ
ঘ. দেশভাগ
ব্যাখ্যা: কথাসাহিত্যিক মাহমুদুল হক রচিত ‘কালো বরফ’ উপন্যাসটির বিষয় দেশভাগ। তিনি এ উপন্যাসে দেশভাগের বেদনাদীর্ণ সাধারণজনের হৃদয়চেরা আতি সহজভাবে তুলে ধরেছেন। তার খেলাঘর, অশরীরী ও মাটির জাহাজ মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস। তার রচিত আরো কয়েকটি উপন্যাস অনুর পাঠশালা, জীবন আমার বোন, নিরাপদ তন্দ্রা, যেখানে খঞ্জনা পাখি। ভাষা আন্দোলনভিত্তিক উপন্যাস আরেক ফাল্গুন, আর্তনাদ, নিরন্তর ঘণ্টাধ্বনি। আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের খোয়াবনামা উপন্যাসে ইতিহাসের বিচিত্র উপকরণ স্থান পেয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য তেভাগা আন্দোলন, পলাশীর যুদ্ধ, সিপাহি বিদ্রোহ, দেশবিভাগ, ফকির বিদ্রোহ, সাঁওতাল বিদ্রোহ।
আমরা ৪০ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি বাংলার এই প্রশ্ন থেকে সরকারি যেকোন চাকরির পরীক্ষার প্রিলিমিনারি বা লিখিত পরীক্ষায় আসার মত বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন পেলাম। এই প্রশ্নগুলি বিগত চাকরির পরীক্ষায় আসা দেখা গেছে। এই প্রশ্নগুলোর যথাযম্ভব উত্তর ব্যাখ্যা প্যারায় দেখে নিতে পারেন। যেমনঃ
ক) ‘কালো বরফ’ উপন্যাসটির লেখকের নাম কি?
খ) “খেলাঘর” কি ধরণের উপন্যাস?
গ) “অশরীরী” কি ধরণের উপন্যাস?
ঘ) “মাটির জাহাজ” কি ধরণের উপন্যাস?
ঙ) “যেখানে খঞ্জনা পাখি” উপন্যাসের লেখকের নাম কি?
চ) “অনুর পাঠশালা” উপন্যাসের লেখকের নাম কি?
ছ) “জীবন আমার বোন” উপন্যাসের লেখকের নাম কি?
জ) “আরেক ফাল্গুন” কি ধরণের উপন্যাস?
ঝ) “আর্তনাদ”কি ধরণের উপন্যাস?
ঞ) “নিরন্তর ঘণ্টাধ্বনি” কি ধরণের উপন্যাস?
ট) “খোয়াবনামা” উপন্যাসের পটভূমি কি?
ঠ) খোয়াবনামা উপন্যাসের লেখকের নাম কি?
২৬. ‘ঢাকা প্রকাশ’ সাপ্তাহিক পত্রিকাটির সম্পাদক হলেন কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার।
অপশনে থাকা অন্যান্য সম্ভাব্য উত্তরগুলো দেখে নিন:
ক. কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার
খ. শামসুর রাহমান
গ. রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়
ঘ. সিকান্দার আবু জাফর
ব্যাখ্যা: ‘ঢাকা প্রকাশ’ (১৮৬১) সাপ্তাহিক পত্রিকার সম্পাদক কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার। মাসিক ‘মনোরঞ্জিকা’ ও ‘কবিতা কুসুমাঞ্জলি’ পত্রিকাও তার সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়। প্রবাসী (১৯০১), দৈনিক বাংলা ও সমকাল (১৯৫৭) পত্রিকার সম্পাদক যথাক্রমে রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়, শামসুর রাহমান ও সিকান্দার আবু জাফর।
আমরা ৪০ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি বাংলার এই প্রশ্ন থেকে সরকারি যেকোন চাকরির পরীক্ষার প্রিলিমিনারি বা লিখিত পরীক্ষায় আসার মত বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন পেলাম। এই প্রশ্নগুলি বিগত চাকরির পরীক্ষায় আসা দেখা গেছে। এই প্রশ্নগুলোর যথাযম্ভব উত্তর ব্যাখ্যা প্যারায় দেখে নিতে পারেন। যেমনঃ
ক) “ঢাকা প্রকাশ” পত্রিকা কত সালে প্রকাশিত হয়?
খ) “ঢাকা প্রকাশ” কি?
গ) “মনোরঞ্জিকা” মাসিক পত্রিকার সম্পাদকের নাম কি?
ঘ) “কবিতা কুসুমাঞ্জলি” পত্রিকার সম্পাদকের নাম কি?
ঙ) “প্রবাসী” পত্রিকা কত সালে প্রকাশিত হয়?
চ) “প্রবাসী” পত্রিকা কত সালে প্রকাশিত হয়?
ছ) “দৈনিক বাংলা” পত্রিকা কত সালে প্রকাশিত হয়?
জ) “সমকাল” পত্রিকা কত সালে প্রকাশিত হয়?
ঝ) “প্রবাসী” পত্রিকার সম্পাদকের নাম কি?
ঞ) “দৈনিক বাংলা” পত্রিকার সম্পাদকের নাম কি?
ট) “সমকাল” পত্রিকার সম্পাদকের নাম কি?
২৭. ‘জীবনস্মৃতি’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচনা।
অপশনে থাকা অন্যান্য সম্ভাব্য উত্তরগুলো দেখে নিন:
ক. ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
খ. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
গ. বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
ঘ. রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন
ব্যাখ্যা: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত আত্মজীবনীমূলক প্রবন্ধ গ্রন্থ ‘জীবনস্মৃতি’ (১৯১২)। তার রচিত আরো কয়েকটি প্রবন্ধগ্রন্থ- কালান্তর, সভ্যতার সংকট, পঞ্চভূত, মানুষের ধর্ম, বিচিত্র প্রবন্ধ, শব্দতত্ত্ব। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের আত্মজীবনীমূলক বর্ণনাধর্মী অসমাপ্ত রচনার নাম ‘আত্মচরিত’। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের আত্মজীবনীমূলক রচনা ‘তৃণাঙ্কুর’। মুসলিম নারীমুক্তি আন্দোলনের পথিকৃৎ রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের উল্লেখযোগ্য রচনা ‘মতিচুর’ ও ‘অবরোধবাসিনী’।
আমরা ৪০ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি বাংলার এই প্রশ্ন থেকে সরকারি যেকোন চাকরির পরীক্ষার প্রিলিমিনারি বা লিখিত পরীক্ষায় আসার মত বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন পেলাম। এই প্রশ্নগুলি বিগত চাকরির পরীক্ষায় আসা দেখা গেছে। এই প্রশ্নগুলোর যথাযম্ভব উত্তর ব্যাখ্যা প্যারায় দেখে নিতে পারেন। যেমনঃ
ক) ‘জীবনস্মৃতি’ কত সালে প্রকাশিত হয়?
খ) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থের নাম কি?
গ) ‘আত্মচরিত’ কি ধরণের গ্রন্থ?
ঘ) ‘আত্মচরিত’ গ্রন্থটি কে রচনা করেন?
ঙ) বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের আত্মজীবনীমূলক রচনার নাম কি?
চ) ‘তৃণাঙ্কুর’ গ্রন্থটি কে রচনা করেন?
ছ) ‘তৃণাঙ্কুর’ কি ধরণের গ্রন্থ?
জ) “মতিচুর” গ্রন্থের লেখকের নাম লিখুন।
ঝ) “অবরোধবাসিনী” কি ধরণের গ্রন্থ?
ঞ) “অবরোধবাসিনী” রচনার লেখক কে?
ট) “শব্দতত্ত্ব” প্রবন্ধ গ্রন্থের লেখকের নাম কি?
ঠ) “শব্দতত্ত্ব” কি ধরণের গ্রন্থ?
ড) “সভ্যতার সংকট” গ্রন্থের লেখকের নাম কি?
ঢ) বাংলা সাহিত্যে মুসলিম নারীমুক্তি আন্দোলনের নের্তৃত্ব কে দেন?
ণ) “কালান্তর” গ্রন্থের লেখকের নাম কি?
ত) “পঞ্চভূত”গ্রন্থের লেখকের নাম কি?
থ) “মানুষের ধর্ম” গ্রন্থের লেখকের নাম কি?
দ) “বিচিত্র প্রবন্ধ” গ্রন্থের লেখকের নাম কি?
২৮. দীনবন্ধু মিত্রের ‘নীলদর্পণ’ নাটকটি ইংরেজিতে অনুবাদ করেন মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
অপশনে থাকা অন্যান্য সম্ভাব্য উত্তরগুলো দেখে নিন:
ক. প্যারীচাঁদ মিত্র
খ. মাইকেল মধুসূদন দত্ত
গ. প্রমথ চৌধুরী
ঘ. দ্বিজেন্দ্রলাল রায়
ব্যাখ্যা: দীনবন্ধু মিত্রের ‘নীলদর্পণ’ নাটকটি ১৮৬০ সালে ঢাকা থেকে প্রথম প্রকাশিত হয়। নাটকটি বাংলাদেশের মেহেরপুর অঞ্চলের নীলকরদের অত্যাচার ও নীলচাষীদের দুঃখ-কষ্ট নিয়ে রচিত হয়েছে। মাইকেল মধুসূদন দত্ত A Native ছদ্মনামে ‘নীলদর্পণ’ নাটকটি NIL DARPAN or THE INDIGO PLANTING MIRROR (১৮৬১) নামে অনুবাদ করেন। দীনবন্ধু মিত্রের আরো কয়েকটি নাটক- নবীন তপস্বিনী, লীলাবতী, জামাই বারিক, কমলে কামিনী। মাইকেল মধুসূদনের উল্লেখযোগ্য নাটক-শর্মিষ্ঠা, পদ্মাবতী, কৃষ্ণকুমারী।
আমরা ৪০ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি বাংলার এই প্রশ্ন থেকে সরকারি যেকোন চাকরির পরীক্ষার প্রিলিমিনারি বা লিখিত পরীক্ষায় আসার মত বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন পেলাম। এই প্রশ্নগুলি বিগত চাকরির পরীক্ষায় আসা দেখা গেছে। এই প্রশ্নগুলোর যথাযম্ভব উত্তর ব্যাখ্যা প্যারায় দেখে নিতে পারেন। যেমনঃ
ক) “নীলদর্পন” নাটকটি কত সালে প্রকাশিত হয়?
খ) “নীলদর্পন” নাটকের নাট্যকার কে?
গ) “নীলদর্পন” কোথা থেকে প্রথম প্রকাশিত হয়?
ঘ) “নীলদর্পন” নাটকে কোন অঞ্চলের অত্যাচারের কাহিনী ফুটে উঠেছে?
ঙ) মাইকেল মধুসূদন দত্তের ছদ্মনাম কি?
চ) মাইকেল মধুসূদন দত্তের “নীলদর্পন” নাটকটির ইংরেজি নাম কি?
ছ) নবীন তপস্বিনী নাটকের নাট্যকারের নাম কি?
জ) লীলাবতী নাটকের নাট্যকারের নাম কি?
ঝ) জামাই বারিক নাটকের নাট্যকারের নাম কি?
ঞ) কমলে কামিনী নাটকের নাট্যকারের নাম কি?
ট) শর্মিষ্ঠা নাটকের নাট্যকারের নাম কি?
ঠ) পদ্মাবতী নাটকের নাট্যকারের নাম কি?
ড) কৃষ্ণকুমারী নাটকের নাট্যকারের নাম কি?
২৯. ‘সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি,
সারাদিন আমি যেন ভালো হয়ে চলি’
চরণ দুটির রচয়িতা হলেন মদনমোহন তর্কালঙ্কার।
অপশনে থাকা অন্যান্য সম্ভাব্য উত্তরগুলো দেখে নিন:
ক. চণ্ডীচরণ মুশী
খ. কাজী নজরুল ইসলাম
গ. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ঘ. মদনমোহন তর্কালঙ্কার
ব্যাখ্যা: ‘সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি/সারাদিন আমি যেন ভালো হয়ে চলি।’ চরণ দুটি মদনমোহন তর্কালঙ্কার রচিত ‘আমার পণ’ কবিতার অন্তর্ভুক্ত। ছাত্রাবস্থায় তিনি ‘রসতরঙ্গিনী’ ও ‘বাসবদত্তা’ কাব্যগ্রন্থ রচনা করেন। তার অন্যতম সাহিত্যকর্ম ‘শিশুশিক্ষা’ নামক শিশুতোষ গ্রন্থ। এ গ্রন্থের প্রথম ভাগের একটি সুপরিচিত ও জনপ্রিয় শিশুতোষ কবিতা হলো ‘পাখি সব করে রব, রাতি পোহাইল।’
আরো কিছু গুরত্বপূর্ণ প্রশ্ন দেখে নিনঃ
ক) সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি/সারাদিন আমি যেন ভালো হয়ে চলি।’ চরণ দুটি কোন কবিতার অন্তর্ভূক্ত?
খ) ‘রসতরঙ্গিনী’ কাব্যগ্রন্থের কবি কে?
গ) ‘বাসবদত্তা’ কাব্যগ্রন্থের লেখক কে?
ঘ) ‘শিশুশিক্ষা’ নামক শিশুতোষ গ্রন্থের লেখক কে?
ঙ) ‘পাখি সব করে রব, রাতি পোহাইল।’ কোন কবিতার লাইন?
চ) ‘পাখি সব করে রব, রাতি পোহাইল।’ চরণটির কবির নাম কি?
৩০. জসীমউদ্দীনের রচনা হলো যাঁদের দেখেছি।
অপশনে থাকা অন্যান্য সম্ভাব্য উত্তরগুলো দেখে নিন:
ক. যাদের দেখেছি
খ. কাল নিরবধি
গ. পথে প্রবাসে
ঘ. ভবিষ্যতের বাঙালী
ব্যাখ্যা: পল্লিকবি জসীমউদ্দীন রচিত স্মৃতিকথামূলক গ্রন্থ ‘যাঁদের দেখেছি’। তার এরূপ আরো একটি গ্রন্থ ‘ঠাকুর বাড়ির আঙ্গিনায়’। তার আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ ‘জীবন কথা’। জসীমউদ্দীন রচিত কয়েকটি কাব্যগ্রন্থ রাখালী, বালুচর, মাটির কান্না, ধানখেত। তার বিখ্যাত গাথাকাব্য নকসী কাঁথার মাঠ, সোজন বাদিয়ার ঘাট। তার একমাত্র উপন্যাস বোবা কাহিনী। পথে-প্রবাসে (ভ্রমণকাহিনি), কাল নিরবধি (আত্মজীবনী) ও ভবিষ্যতের বাঙালি (প্রবন্ধ) গ্রন্থের রচয়িতা যথাক্রমে অন্নদাশঙ্কর রায়, আনিসুজ্জামান ও এস ওয়াজেদ আলি।
আমরা ৪০ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি বাংলার এই প্রশ্ন থেকে সরকারি যেকোন চাকরির পরীক্ষার প্রিলিমিনারি বা লিখিত পরীক্ষায় আসার মত বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন পেলাম। এই প্রশ্নগুলি বিগত চাকরির পরীক্ষায় আসা দেখা গেছে। এই প্রশ্নগুলোর যথাযম্ভব উত্তর ব্যাখ্যা প্যারায় দেখে নিতে পারেন। যেমনঃ
ক) ‘ঠাকুর বাড়ির আঙ্গিনায়’ গ্রন্থের লেখকের নাম লিখুন।
খ) জসীম উদ্দীনের আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থের নাম কি?
গ) ‘জীবন কথা’ কার আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ?
ঘ) জসীম উদ্দীনের একমাত্র উপন্যাসের নাম কি?
ঙ) পথে-প্রবাসে কি ধরণের গ্রন্থ?
চ) কাল নিরবধি কি ধরণের গ্রন্থ?
ছ)ভবিষ্যতের বাঙালি কি ধরণের গ্রন্থ?
জ) রাখালী কাব্যগ্রন্থের লেখকের নাম কি?
ঝ) বালুচর কাব্যগ্রন্থের লেখকের নাম কি?
ঞ) মাটির কান্না কাব্যগ্রন্থের লেখকের নাম কি?
ট) ধানখেত কাব্যগ্রন্থের লেখকের নাম কি?
ঠ) নকসী কাঁথার মাঠ কাব্যগ্রন্থের লেখকের নাম কি?
ড) সোজন বাদিয়ার ঘাট কাব্যগ্রন্থের লেখকের নাম কি?
৩১. ‘কিন্তু মানুষ্য কখনো পাষাণ হয় না’-উক্তিটি বঙ্কিমচন্দ্রের রাজসিংহ উপন্যাসের।
অপশনে থাকা অন্যান্য সম্ভাব্য উত্তরগুলো দেখে নিন:
ক) রবীন্দ্রনাথের ‘চোখের বালি’
খ. শরৎচন্দ্রের ‘পথের দাবী’
গ. শওকত ওসমানের ‘ক্রীতদাসের হাসি’
ঘ. বঙ্কিমচন্দ্রের ‘রাজসিংহ’
ব্যাখ্যা: উক্তিটির সঠিক রূপ ‘কিন্তু মনুষ্য কখন পাষাণও হয় না।’ বাংলা কথাসাহিত্যের উপন্যাস শাখায় প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য ভাবাদর্শের সেতুবন্ধন করেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। তার রচিত ‘রাজসিংহ’ উপন্যাসের সপ্তম খণ্ডের দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ: নয়নবহ্নিও বুঝি জ্বলিয়াছিল-এর শেষ বাক্য এটি। রাজসিংহ (১৮৮২) ও আনন্দমঠ (১৮৮২) উপন্যাসের কাহিনিতে তিনি হিন্দুর বাহুবল ও বীরত্বের কথা রূপায়ণ করেছেন।
আমরা ৪০ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি বাংলার এই প্রশ্ন থেকে সরকারি যেকোন চাকরির পরীক্ষার প্রিলিমিনারি বা লিখিত পরীক্ষায় আসার মত বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন পেলাম। এই প্রশ্নগুলি বিগত চাকরির পরীক্ষায় আসা দেখা গেছে। এই প্রশ্নগুলোর যথাযম্ভব উত্তর ব্যাখ্যা প্যারায় দেখে নিতে পারেন। যেমনঃ
ক) বাংলা সাহিত্যের বিখ্যাত ঔপন্যাসিকের নাম কি?
খ) রাজসিংহ’ উপন্যাসের লেখকের নাম কি?
গ) রাজসিংহ উপন্যাস কত সালে প্রকাশিত হয়?
ঘ) আনন্দমঠ উপন্যাস কত সালে প্রকাশ পায়?
ঙ) রাজসিংহ উপন্যাসের মূল কাহিনী কি? চ) আনন্দমঠ উপন্যাসের মূল কাহিনী কি?
৩২. ইয়ংবেঙ্গল গোষ্ঠীভুক্ত ছিলেন মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
অপশনে থাকা অন্যান্য সম্ভাব্য উত্তরগুলো দেখে নিন:
ক. অক্ষয়কুমার দত্ত
খ. মাইকেল মধুসূদন দত্ত
গ. কালীপ্রসন্নসিংহ ঠাকুর
ঘ. এন্টনি ফিরঙ্গি
ব্যাখ্যা: হিন্দু কলেজের তরুণ শিক্ষক ডিরোজিওর (১৮০৯- ১৮৩১) শিষ্যরাই মূলত ইয়ংবেঙ্গল নামে পরিচিত। ইয়ংবেঙ্গল হিসেবে যে নামগুলো পাওয়া যায় তা হলো যথাক্রমে-দক্ষিণারঞ্জন মুখোপাধ্যায়, রামতনু লাহিড়ী, প্যারীচাঁদ মিত্র, রাধানাথ শিকদার, রামগোপাল ঘোষ, হরচন্দ্র ঘোষ, শিবচন্দ্র দেব, তারাচাঁদ চক্রবর্তী, কৃষ্ণমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়, মহেশচন্দ্র ঘোষ, রসিককৃষ্ণ মল্লিক, গঙ্গাচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়, মাধবচন্দ্র মল্লিক, গোবিন্দ্রচন্দ্র বসাক অমৃতলাল মিত্র প্রমুখ। আর মধুসূদন দত্ত ছিলেন ইয়ংবেঙ্গল গোষ্ঠীভুক্ত একজন। ১৮৪০ সালে সাধারণ জ্ঞানোপার্জিকা সভার সভ্য তালিকায় মাইকেল মধুসূদন দত্তের সহপাঠী প্যারীচাঁদ মিত্র, কিশোরীচাঁদ ঠাকুর অভিমানী প্যারীচরণ সরকার, গোবিন্দ দত্ত, জ্ঞানেন্দ্রমোহন নাম পাওয়া যায়। মাইকেল মধুসূদন দত্ত ১৮৪৩ সালে খ্রিস্টান খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করায় তিনি পরবর্তীতে হিন্দু কলেজ ত্যাগ করেন এবং মাইকেল মধূসূদন দত্ত নামে পরিচিতি লাভ করেন। (তথ্যসূত্র: আশার ছলনে ভুলি, গোলাম মুরশিদ, পৃষ্ঠা ৩০।।
আরো কিছু গুরত্বপূর্ণ প্রশ্ন দেখে নিনঃ
ক) ইয়ংবেঙ্গল নামে কারা পরিচিত ছিল?
খ) মাইকেল মধুসূদন দত্ত কত সালে খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করেন?
গ) কেন মাইকেল মধুসূদন দত্ত হিন্দু কলেজ ত্যাগ করেন?
৩৩. ‘বিদ্রোহী’ কবিতাটি………. সনে প্রথম প্রকাশিত হয়। (ব্যাখ্যা দেখুন)
অপশনে থাকা অন্যান্য সম্ভাব্য উত্তরগুলো দেখে নিন:
ক. ১৯২৩ সন
খ. ১৯১৯ সন
গ. ১৯২১ সন
ঘ. ১৯১৮ সন
[Note: ১৯২১ সালের ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে কবি নজরুল ‘বিদ্রোহী’ কবিতাটি লেখেন। আর তা ১৯২২ সালের ৬ জানুয়ারি সাপ্তাহিক ‘বিজলী’ পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়। এ কবিতাটি তার প্রথম প্রকাশিত ‘অগ্নিবীণা’ কাব্যের দ্বিতীয় কবিতা। ‘অগ্নিবীণা’ কাব্যে মোট বারটি কবিতা স্থান পেয়েছে। এ কাব্যের আরো কয়েকটি উল্লেখযোগ্য কবিতা- প্রলয়োল্লাস (প্রথম কবিতা), রক্তাম্বরধারিনী মা, ধূমকেতু, খেয়াপারের তরণী, কামাল পাশা।।
আরো কিছু গুরত্বপূর্ণ প্রশ্ন দেখে নিনঃ
ক) ‘বিদ্রোহী’ কবিতাটি কোন পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়?
খ) ‘অগ্নিবীণা’ কাব্যটি কোন কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভূক্ত?
গ) ‘অগ্নিবীণা’ কাব্যে মোট কতটি কাব্য স্থান পেয়েছে?
ঘ) ‘অগ্নিবীণা” কাব্যের প্রথম কবিতার নাম কি?
ঙ) রক্তাম্বরধারিনী মা, ধূমকেতু, খেয়াপারের তরণী, কামাল পাশা কবিতাগুলো কোন কাব্যের অন্তর্ভূক্ত?
৩৪. ‘আগুন পাখি’-উপন্যাসটির রচয়িতা হলেন হাসান আজিজুল হক।
ক. রাহাত খান
খ. হাসান আজিজুল হক
গ. সেলিনা হোসেন
ঘ. ইমদাদুল হক মিলন
ব্যাখ্যা: সমকালীন বাংলা কথাসাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক। তার রচিত প্রথম উপন্যাস ‘শামুক’। তার রচিত অন্যান্য উল্লেখযোগ্য উপন্যাস: বৃত্তায়ণ (১৯৯১), শিউলি (২০০৬) ও আগুন পাখি (২০০৬)। হাসান আজিজুল হকের পৈতৃক নিবাস বর্ধমানের একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলকে কেন্দ্র করে ‘আগুন পাখি’ উপন্যাসের কাহিনি গড়ে উঠেছে। মানুষের সংগ্রামী জীবন এবং বিভেদকামী রাজনীতি ও সাম্প্রদায়িকতার স্বরূপ উপন্যাসের পরতে পরতে বিশ্লেষিত হয়েছে।
আমরা ৪০ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি বাংলার এই প্রশ্ন থেকে সরকারি যেকোন চাকরির পরীক্ষার প্রিলিমিনারি বা লিখিত পরীক্ষায় আসার মত বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন পেলাম। এই প্রশ্নগুলি বিগত চাকরির পরীক্ষায় আসা দেখা গেছে। এই প্রশ্নগুলোর যথাযম্ভব উত্তর ব্যাখ্যা প্যারায় দেখে নিতে পারেন। যেমনঃ
ক) জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকের রচিত প্রথম উপন্যাসের নাম কি?
খ) ‘শামুক” উপন্যাসের লেখকের নাম কি?
গ) বৃত্তায়ণ (১৯৯১) উপন্যাসের লেখকের নাম কি?
ঘ) শিউলি (২০০৬) উপন্যাসের লেখকের নাম কি?
ঙ) আগুন পাখি (২০০৬) উপন্যাসের লেখকের নাম কি?
চ) হাসান আজিজুল হকের পৈতৃক নিবাস কোথায়?
ছ) ‘আগুন পাখি’ উপন্যাসের কাহিনি কিভাবে গড়ে উঠেছে বা মূল কাহিনী কি?
৩৫. ‘একুশে ফেব্রুয়ারি’র বিখ্যাত গানটির সুরকার আলতাফ মাহমুদ।
অপশনে থাকা অন্যান্য সম্ভাব্য উত্তরগুলো দেখে নিন:
ক. সুবীর সাহা
খ. সুধীন দাস
গ. আলতাফ মাহমুদ
ঘ. আলতাফ মামুন
ব্যাখ্যা: ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ বিখ্যাত গানটির প্রথম সুরকার ছিলেন আবদুল লতিফ। বর্তমান সুরকার আলতাফ মাহমুদ। প্রথম পর্যায়ে গানটির শিল্পী ছিলেন আবদুল লতিফ বর্তমানে সমবেত কণ্ঠে গাওয়া হয়। এ গানটি মূলত সাংবাদিক আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী রচিত একটি কবিতা। কবিতাটি প্রথম প্রকাশিত হয় হাসান হাফিজুর রহমান সম্পাদিত ‘একুশে ফেব্রুয়ারি’ (১৯৫৩) গ্রন্থে। পরে এটি গানে রূপ নেয়।
আমরা ৪০ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি বাংলার এই প্রশ্ন থেকে সরকারি যেকোন চাকরির পরীক্ষার প্রিলিমিনারি বা লিখিত পরীক্ষায় আসার মত বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন পেলাম। এই প্রশ্নগুলি বিগত চাকরির পরীক্ষায় আসা দেখা গেছে। এই প্রশ্নগুলোর যথাযম্ভব উত্তর ব্যাখ্যা প্যারায় দেখে নিতে পারেন। যেমনঃ
ক) আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ বিখ্যাত গানটির প্রথম সুরকারের নাম কি?
খ) “আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি” গানের প্রথম পর্যায়ে গানটির শিল্পী কে ছিলেন?
গ) “আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ গানের কবির নাম কি?
ঘ) “আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি” কবিতাটি প্রথম কোথায় প্রকাশিত হয়?
ঙ) “আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি” কবিতাটি প্রথম কত সালে প্রকাশিত হয়?
চ) ‘একুশে ফেব্রুয়ারি’ কি?
ছ) ‘একুশে ফেব্রুয়ারি’ পত্রিকার সম্পাদকের নাম কি?
জ) ‘একুশে ফেব্রুয়ারি’ পত্রিকাটি কত সালে প্রকাশ পায়?
উপসংহারঃ
উপরের আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায় যে, ৪০ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি বাংলার প্রশ্ন ব্যাখ্যাসহ বিশ্লেষণ করা হয়েছে যা আপনাদের অনেক উপকারে আসবে ইনশাআল্লাহ্। পোস্টটি ভাল লেগে থাকলে কমেন্ট করতে ভুলবেন না।