বাংলা ভাষার উদ্ভব, বাংলা সাহিত্যের যুগ বিভাগ, প্রাচীন যুগের সাহিত্য: চর্যাপদ নিয়ে আলোচনা করব।
বিসিএস পরীক্ষার প্রিলিমিনারি টেস্ট-এর সিলেবাস
বিষয়ের নাম : বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
পূর্ণমান : ৩৫
মান বণ্টন
ভাষা : ১৫
বাঙ্গালি জাতির উদ্ভব
ড. মুহম্মদ হান্নান তাঁর বাঙালীর ইতিহাস’ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন যে, ধর্মীয় তথ্য অনুযায়ী- হযরত নূহ (আ) এর মহাপ্লাবনের পর বেঁচে যাওয়া চল্লিশ জোড়া নর-নারীকে বংশ বিস্তার এবং বিশ্বব্যাপী বসতি গড়ার লক্ষ্যে বিভিন্ন স্থানে প্রেরণ করা হয়েছি। নূহ (আ) এর পুত্র ‘হাম’ পিতার নির্দেশে এশীয় অঞ্চলে আসেন। হাম এর পুত্র হিন্দ এর নামানুসারে হিন্দুস্তান, সিন্দ এর নামানুসারে সিন্ধুর নামকরণ করা হয়েছি বলে ধারণা করা হয়। হিন্দের সন্তান ‘বঙ্গ’ ভারতের পূর্বাঞ্চলে বসতি স্থাপন করেন। বঙ্গ এর সন্তানরাই বাঙাল নামে পরিচিত।
বঙ্গ (ব্যক্তি) + আহাল (সন্তান) ® বঙ্গাহাল ® বাঙাল ® বাঙালি
৪১ তম বিসিএস বাংলা প্রশ্ন সমাধান ব্যাখ্যাসহ বিস্তারিতঃ ৪১ তম বিসিএস বাংলা প্রশ্ন সমাধান ব্যাখ্যাসহ বিস্তারিত
বাংলা ভাষার উদ্ভব
বাংলা ভাষা ইন্দো- ইউরোপীয় মূল ভাষাগোষ্ঠীর অন্তর্ভূক্ত। ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর মতে, খ্রিষ্টপূর্ব ৫,০০০ বছর পূর্বে ইন্দো-ইউরোপীয় মূল ভাষার অস্তিত্ব ছিল। আনুমানিক খ্রিষ্টপূর্ব ২৫০০ বছর পূর্বে ইন্দো-ইউরোপীয় মূল ভাষার দুই শাখা কেন্তম ও শতম শাখার ইন্দো এশীয় রূপ শতম শাখা থেকে প্রাচীন আর্য ভাষার উদ্ভব।
ভারতীয় আর্য শাখার সৃষ্টি হয় প্রায় খ্রিষ্টপূর্ব ১২০০ অব্দে। ভারতীয় আর্য শাখার সৃষ্টি হয় খ্রিষ্টপূর্ব ১২০০ অব্দে। ভারতীয় আর্যভাষার তিনটি স্তর।
(ক) প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা: সময় খ্রিষ্টপূর্ব ১২০০ থেকে খ্রিষ্টপূর্ব ৬০০ অব্দ পর্যন্ত। এ সময়ের প্রচলিত ভাষা হচ্ছে- বৈদিক ও সংস্কৃত। আর্যদের ধর্মগ্রন্থ ‘বেদ’ এর ভাষা হচ্ছে-বৈদিক। খ্রিষ্টপূর্ব সপ্তম শতকে বিখ্যাত বৈয়াকরণ ও পণ্ডিত পাণিনি বৈদিক ভাষার সংস্কার করে নির্দিষ্ট সূত্র প্রদান করেন। এটি সংস্কৃত নামে পরিচিত। আর্য ভাষা সাধারণের জড়তাপূর্ণ উচ্চারণের ফলে তৎসম শব্দের পরিবর্তন সাধিত হয় এবং পালি ভাষার উদ্ভব ঘটে।
(খ) মধ্য ভারতীয় আর্যভাষা: সময় খ্রিস্টপূর্ব ৬০০ অব্দ থেকে ১০০০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত। মধ্য ভারতীয় আর্য ভাষার স্তরগুলো হচ্ছে- পালি, প্রাকৃত ও অপভ্রংশ। প্রাকৃত ভাষা অঞ্চল ভেদে বিভক্ত হয়েছে যেমন- মাগধী, মহারাষ্ট্রী, অর্ধ-মাগধী ও শৌরসেনী।
(গ) নব্য ভারতীয় আর্যভাষা: সময় খ্রিষ্টীয় দশম শতক থেকে আধুনিক কাল। দশম থেকে চতুর্দশ শতক পর্যন্ত বাংলা ভাষার আদিস্তরের স্থিতিকাল। নব্য ভারতীয় আর্যভাষায় বিভক্ত শাখা হচ্ছে- বাংলা, হিন্দি, মৈথিলি, আসামি, উড়িয়া, ভোজপুরিয়া, মারকাঠি ইত্যাদি।
প্রাকৃত ভাষার দুর্বল কাঠামো এবং ব্যাকরণবদ্ধ রূপের স্থিতি না থাকায় জনসাধারণের উচ্চারণে ও শৈথিল্য পরিলক্ষিত হয় এবং নানা অপভ্রংশের সৃষ্টি হয়। পূর্ব ভারতে প্রচলিত মাগধী প্রাকৃতজাত মাগধী অপভ্রংশ হতে খ্রিষ্টীয় সপ্তম শতকে বাংলা ভাষা উৎপত্তি লাভ করে।
- ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে, বাংলা ভাষার উৎপত্তি খ্রিষ্টীয় সপ্তম শতকে।
- ড. সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে, বাংলা ভাষায় উৎপত্তিকাল দশম শতকে।
- স্যার জর্জ গ্রিয়ারসন ও ড. সুনীতি কুমারের মতে, মাগধী প্রাকৃতের বিকৃত রূপ মাগধী অপভ্রংশ থেকে বাংলা ভাষার জন্ম।
- ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে, গৌড়িয় প্রাকৃতের অপভ্রংশ রূপ গৌড়িয় অপভ্রংশ থেকে বাংলা ভাষার জন্ম।
৪০ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি বাংলার প্রশ্ন ব্যাখ্যাসহ বিশ্লেষণঃ ৪০ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি বাংলার প্রশ্ন ব্যাখ্যাসহ বিশ্লেষণ
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস বিষয়ক গ্রন্থাবলি
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস বিষয়ক গ্রন্থাবলি ও রচয়িতা
- ০১ বাংলা সাহিত্যের রূপরেখা – গোপাল হালদার
- ০২ বাংলা সাহিত্যের কথা – ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্
- ০৩ বাংলা সাহিত্যের পুরাবৃত্ত – ওয়াকিল আহমদ
- ০৪ বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস – সুকুমার সেন
- ০৫ বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস – কাজী দীন মোহাম্মদ
- ০৬ বাংলা সাহিত্যের ইতিবৃত্ত – অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়
- ০৭ বাংলা সাহিত্যের ইতিবৃত্ত – মুহম্মদ আব্দুল হাই ও সৈয়দ আলী আহসান
- ০৮ লোকসাহিত্য – আশরাফ সিদ্দিকী
- ০৯ বাঙালি ও বাঙলা সাহিত্য – আহমদ শরীফ
- ১০ বঙ্গভাষা ও সাহিত্য – দীনেশচন্দ্র সেন
- ১১ সাহিত্য-সমীক্ষা – সুনীলকুমার মুখোপাধ্যায়
- ১২ ছন্দ সমীক্ষণ – আব্দুল কাদির
- ১৩ ধ্বনিবিজ্ঞান ও বাংলা ধ্বনিতত্ত¡ – মুহম্মদ আব্দুল হাই
- ১৪ কবিতার কথা – সৈয়দ আলী আহসান
- ১৫ বাঙালির ইতিহাস – নীহাররঞ্জন রায়
- ১৬ আরাকান রাজসভায় বাংলা সাহিত্য – ড. মুহম্মদ এনামুল হক
- ১৭ লাল নীল দীপাবলী, কত নদী সরোবর – ড. হুমায়ুন আজাদ
- ১৮ বৌদ্ধগান ও দোঁহা – ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী (সংগ্রাহক)
- ১৯ আধুনিক বাংলা সাহিত্য – মোহিতলাল মজুমদার
বাংলা সাহিত্যের যুগ বিভাগ
চর্যাপদ বাংলা সাহিত্যের আদি নিদর্শন। ‘চর্যাপদ’ থেকে বর্তমান কাল পর্যন্ত বাংলা সাহিত্যকে তিনটি যুগে ভাগ করা হয়েছে।
- ১. প্রাচীন যুগ- ড. সুনীতিকুমার চট্ট্রোপাধ্যায়ের মতে, ৯৫০ খ্রি. থেকে ১২০০ খ্রিষ্টাব্দ। ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ’র মতে ৬৫০ খ্রি. থেকে ১২০০ খ্রি.। প্রাচীন যুগের নিদর্শন- চর্যাপদ। এর ভাষা সান্ধ্য বা আলো আঁধারির ভাষা।
- ২. মধ্যযুগ- ১২০০ খ্রি. থেকে ১৮০০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত।
মধ্যযুগের বাংলা ভাষার দুটি স্তর-
মধ্যযুগের আদিস্তর- চতুর্দশ ও পঞ্চদশ শতাব্দীকাল। এ স্তরের ভাষায় পশ্চিমবঙ্গের উপভাষার প্রয়োগ ও সংস্কৃত শব্দের বহুল ব্যবহার হয়।
এ স্তরের সাহিত্যিক নিদর্শন-
® শ্রীকৃষ্ণকীর্তন – বডু চণ্ডীদাস
® শ্রীকৃষ্ণ বিজয় – মালাধর বসু
® রামায়ণ পাঁচালী – কৃত্তিবাস
® মহাভারত পাঁচালী – কবীন্দ্র পরমেশ্বর, শ্রীকর নন্দী
® মনসামঙ্গল – নারায়ণদেব, বিপ্রদাস, বিজয়গুপ্ত
® চণ্ডীমঙ্গল – মাণিক দত্ত, মুকুন্দরাম চক্রবর্তী।
মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের দুটি ধারা:
- (ক) কাহিনী কাব্য
- (খ) গীতিকাব্য।
মধ্যযুগে নবজাগরণের মন্ত্রধ্বনি নিয়ে আগমন ঘটে শ্রীচৈতন্যকাব্য (১৪৮৬-১৫৩৩)।
শ্রীচৈতন্যদেবের নামানুসারে মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যকে তিনটি যুগে বিভক্ত করা হয়।
- (ক) চৈতন্য পূর্ববর্তী যুগ (১৩৫১-১৫০০ খ্রিস্টাব্দ)
- (খ) চৈতন্য যুগ (১৫০০-১৬০০ খ্রিষ্টব্দ)
- (গ) চৈতন্য পরবর্তী যুগ (১৬০১-১৭৬০ খ্রিস্টাব্দ)
বৈষ্ণব পদাবলী- বাংলা ও মৈথিলী ভাষার সংমিশ্রণে ব্রজবুলি ভাষায় বৈষ্ণব পদাবলী লেখা হয়েছে।
মধ্যযুগের অন্ত্যস্তর- ষোড়শ-সপ্তদশ-অষ্টাদশ শতাব্দী।
ষোড়শ শতাব্দী-বাংলা ভাষায-আরবি-ফারসি শব্দের প্রভাব।
বাংলা ভাষার মার্জিত রূপ লাভ-ভারত চন্দ্র রায়গুণাকরের হাতে।
৩. আধুনিক যুগ-১৮০১ খ্রিষ্টাব্দ থেকে সাম্প্রতিক কাল পর্যন্ত প্রবাহমান। এ সময়ে বাংলা গদ্য সাহিত্যের সূচনা, বিকাশ-পরিণতি ঘটে। বাংলা গদ্য সাহিত্যের ভাষারীতি দুটি- সাধু ও চলিত।
চর্যাপদ সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা
প্রাচীন যুগের বাংলা সাহিত্যের একমাত্র নির্ভরযোগ্য ঐতিহাসিক নিদর্শন ‘চর্যাপদ’। ১৮৮২ সালে প্রকাশিত হয় রাজা রাজেন্দ্রলাল মিত্র রচিত ‘Sanskrit Buddhist Literature in Nepal’ গ্রন্থটি। এ গ্রন্থে নেপালের বৌদ্ধতান্ত্রিক সাহিত্যের কথা প্রকাশ পায়।
ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ১৯০৭ সালে নেপালে রাজ গ্রন্থাগার থেকে কতগুলো পদ আবিস্কার করেন। তার সম্পাদনায় ৪টি পুঁথি একত্রে ‘হাজার বছরের পুরান বাঙালা ভাষায় বৌদ্ধগান ও দোহা’ নামে ১৯১৬ সালে ‘বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ’ কর্তৃক প্রকাশিত হয়। পুঁথি চারটি হচ্ছে- চর্যাচর্য বিনিশ্চয়, সরহপাদের দোহা, কৃষ্ণপাদের দোহা ও ডাকার্ণব। পুঁথি চারটির মধ্যে বাংলায় রচিত একমাত্র পুঁথি চর্যাচর্যবিনিশ্চয়। সরহপাদের দোহা, কৃষ্ণপাদের দোহা ও ডাকার্নব পুঁথি তিনটি অপভ্রংশ ভাষায় রচিত।
চর্যাপদ হল বৌদ্ধ সহজিয়াদের সাধন সংগীত। বৌদ্ধ সহজযানী ও বজ্রযানী আচার্যগণ সিদ্ধাচার্য নামে খ্যাত ছিলেন। চর্যার গানগুলো থেকে বাংলা ভাষার ঠিক আগেকার নমুনা এবং সেকালের সমাজের চিত্র পাওয়া যায়। এসব গানের অর্থ খুব পরিস্কার নয়। এর বাইরের অর্থ এবং অন্তর্নিহিত অর্থ রয়েছে। বাইরের কথাগুলোকে রূপক হিসেবে ধরে নিয়ে বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্যগণ সাধনার গুঢ় কথা বলার চেষ্টা করেছেন। এজন্য পণ্ডিতেরা এর ভাষাকে আলো-আঁধারী বা সান্ধ্য ভাষা বলেছেন।
পাল আমল থেকে চর্যাপদ লেখা শুরু হয়। সপ্তম শতাব্দী হতে দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে চর্যাপদ রচিত হয়। চর্যাপদের ধর্মমত সম্পর্কে প্রথম আলোচনা করেন ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ১৯২৭ সালে। চর্যাপদের ভাষা নিয়ে প্রথম আলোচনা করেন বিজয়চন্দ্র মজুমদার ১৯২০ সালে।। চর্যাপদ পয়ার ও ত্রিপদী ছন্দে রচিত। চর্যাপদের প্রথম ভাষাতাত্তি¡ক বৈশিষ্ট্য আলোচনা করেন ড. সুনীতকুমার চট্ট্রোপাধ্যায়-১৯২৬ সালে তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ OBDL অর্থাৎ Origin & Development of Bengali Language। এ গ্রন্থে তিনি প্রমাণ করেন যে চর্যাপদের ভাষা বাংলা। ড. শহীদুল্লাহর মতে, চর্যাপদের ভাষা বঙ্গকামরুপী।
চর্যাপদের পুঁথিটির নাম ছিল- চর্যাগীতিকোষ এবং সংস্কৃত টীকার নাম চর্যাচর্য বিনিশ্চয়। চর্যাপদের সংস্কৃত টীকাকার হচ্ছেন- মুনিদত্ত। তিনি ৪০টি পদের ব্যাখ্যা দিয়েছেন। চর্যাপদ মূলত গানের সংকলন।
চর্যাপদে মোট পদের সংখ্যা- ৫১টি। উদ্ধার করা মোট পদের সংখ্যা- সাড়ে ৪৬টি। পাওয়া যায়নি- ২৪, ২৫, ৪৮ নং এবং ২৩ নং এর অর্ধেক পদ। তাছাড়া ১১ নং পদকে প্রাপ্তি তালিকায় গণ্য করা হয়নি (টীকাভাষ্য নেই)। ড. প্রবোধ চন্দ্র বাগচী চর্যাপদের তিব্বতি অনুবাদ আবিষ্কার করেন এবং ১৯৩৮ সালে প্রকাশ করেন।
চর্যাপদের তিব্বতী অনুবাদক কীর্তিচন্দ্র। চর্যাচর্যবিনিশ্চয় (চর্যাপদ) এর মোট পদকর্তা ২৪ জন। পদকর্তাদের (কবিদের) নামের শেষে গৌরব সূচক পা যোগ হয়েছে। চব্বিশ জন পদকর্তা হলেন- লুই, কুক্কুরী, বিরুআ, গুন্ডরী, চাটিল, ভুসুকু, কাহ্ন, কামলি, ডোম্বী, শান্তি, মহিত্তা, বীণা, সরহ, শবর, আর্যদের, ঢেণ্ডণ, দারিক, ভাদে, তাড়ক, কঙ্কণ, জয়নন্দি, ধাম, তন্ত্রী ও লাড়ীডোম্বী।
@ লাড়ীডোম্বীপার কোনো পদ আবিষ্কৃৃত হয়নি।
চর্যার ১- সংখ্যক পদ (কাআ তরুবর পাঞ্চবি ডাল) লুইপা’র রচনা। হরপ্রসাদ শাস্ত্রী লুইপাকে (৭৩০-৮২০ খ্রিষ্টাব্দ) আদি কবি মনে করেন। লুইপা প্রথম বাঙালি কবি। তার কবিতায় ‘পউআ’ খালের (পদ্মা) উল্লেখ রয়েছে। তবে শহীদুল্লাহ দেখিয়েছেন, প্রাচীনতম চর্যাকার হলেন শবরপা।
@ চর্যাপদের কবিদের মধ্যে লুই, কুক্করী, বিরুআ, ডোম্বী, শবর, ধাম ও জয়নন্দি বাঙ্গালি ছিলেন।
@ চর্যাপদের প্রধান কবি কাহ্নপা- কাহুপা, কৃষ্ণপাদ নামে পরিচিত। ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে, কাহ্নপাদের আবির্ভাব খ্রিষ্টীয় অষ্টম শতকে। সঙ্কলনটিতে তার ১৩টি পদ গৃহীত হয়েছে।
@ ভুসুকুপা কবির ছদ্মনাম। তার আসল নাম শান্তিদেব। ভুসুকুপা সৌরাষ্ট্রের রাজপুত্র ছিলেন। তার সময় একাদশ শতক। ভুসুকুপা সংখ্যার বিচারে চর্যার দ্বিতীয় প্রধান কবি। তার পদের সংখ্যা ৮।
ভসুকুপার একটি পদের দুটি পঙ্ক্তি হচ্ছে-
“আজি ভুসুক বাঙ্গালী ভইলী।
নিয়া ঘরিণী চণ্ডালে লেলী”
অর্থাৎ আজিকে ভুসুকু হলি বঙ্গাল/আপন গৃহিনী তোর লইল চÐাল। পঙ্ক্তি দুটি দেখে মনে হয় তিনি-বাঙালি ছিলেন। তবে সে সময় বঙ্গের অধিবাসী বোঝাতে বাঙ্গালী বা বাঙ্গালি শব্দের ব্যবহার শুরু হয়নি। ভুসুকুপা জাত হারানো, অধঃপতিত বা ব্রাত্য হওয়ার ধারণায় বাঙালী শব্দ ব্যবহার করেছেন। অর্থাৎ চÐাল স্ত্রী গ্রহণ করার তিনি বাঙ্গালী হলেন।
@ চর্যাপদের প্রথম (১নং) পদটি রচনা করেছেন লুই পা।
@ চর্যাপদের প্রথম পদের দু’ পঙ্ক্তি হল-
কাআ তরুবর পঞ্চবি ডাল।
চঞ্চল চিএ পইঠা কাল\
চর্যাপদ নেপালে পাওয়া গিয়েছিল কারণ, তুর্কী (মতান্তরে সেন রাজাদের) আক্রমণকারীদের ভয়ে বৌদ্ধ সাধকগণ তাদের পুঁথি নিয়ে নেপালে পালিয়ে গিয়েছিলেন।
চর্যাপদে ছয়টি প্রবাদ বাক্য পাওয়া যায়। প্রবাদ বাক্যগুলোর মধ্যে দুটি হল-
- ১। অপণা মাংসে হরিণা বৈরী।
- ২। দুহিল দুধু কি বেণ্টে সামায়।
@ ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে, চর্যাপদের রচনাকাল ৬৫০ থেকে ১২০০ খ্রিষ্টাব্দ।
ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে, চর্যাপদের রচনাকাল ৯৫০ থেকে ১২০০ খ্রিষ্টাব্দ।
@ ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে, প্রথম বাঙ্গালি কবি মৎস্যেন্দ্রনাথ বা মীন নাথ। তিনি সপ্তম শতকে জীবিত ছিলেন। চর্যাপদে মীননাথের কোনো পদ নেই। ২১ সংখ্যক পদের টীকায় চারটি পঙ্ক্তি আছে।
@ ফরাসি পণ্ডিত সিলভ্যাঁ লেভীর মতে মৎস্যেন্দনাথ ৬৫৭ খ্রিষ্টাব্দে রাজা নরেন্দ্রদেবের রাজত্বকালে নেপালে গিয়েছিলেন।
@ রাহুল সাংকৃত্যায়নের মতে লুইপা রাজা ধর্মপালের সময়ে (অর্থাৎ ৭৬৯-৮০৯ খ্রি.) বর্তমান ছিলেন।
বাংলা ভাষার উদ্ভব | বাংলা সাহিত্যের যুগ বিভাগ | চর্যাপদ থেকে নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নোত্তর
০১. ভারতীয় মৌলিক লিপি কোনটি?
ক. ব্রাহ্মী খ. কুটীল গ. খরোষ্ঠী ঘ. নাগরী
০২. ‘প্রাকৃত’ কথার অর্থ কোনটি?
ক. প্রকৃত খ. যথার্থ গ. স্বাভাবিক ঘ. যা করা হয়েছে
০৩. ‘একদা মরণ-সমুদ্রের বেলাভূমিতে দাঁড়াইয়া কোন এক আরবীয় সাধক বলিয়াছিলেন’-এ বাক্যাংশটি কোন রীতিতে লিখিত?
ক. চলিতরীতি খ. সাধুরীতি গ. মিশ্ররীতি ঘ. বিদেশীরীতি
০৪. মানুষের মুখে উচ্চারিত অর্থবোধক ও মনোভাব প্রকাশক ধ্বনি সমষ্টিকে বলে-
ক. বর্ণ খ. শব্দ গ. বাক্য ঘ. ভাষা
০৫. মনের ভাবপ্রকাশের প্রধান মাধ্যম কোনটি?
ক. চিত্র খ. ভাষা গ. ইঙ্গিত ঘ. আচরণ
০৬. উপভাষা (উরধষবপঃ) কোনটি?
ক. সাহিত্যের ভাষা
খ. পাঠ্যপুস্তকের ভাষা
গ. লেখ্য ভাষা
ঘ. অঞ্চল বিশেষের মানুষের মুখের ভাষা
০৭. পৃথিবীতে বর্তমানে কতগুলো ভাষা প্রচলিত?
ক. ৪৫০০ প্রায় খ. ৫০০০ প্রায়
গ. ১০০০ প্রায় ঘ. ৬৭০০ প্রায়
০৮. বাংলা আদি অধিবাসীগণ কোন ভাষাভাষী ছিল?
ক. সংস্কৃত খ. বাংলা গ. অস্ট্রিক ঘ. হিন্দি
০৯. ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষার কয়টা শাখা?
ক. একটা খ. দুইটা গ. তিনটা ঘ. চারটা
১০. বাংলা ভাষার উৎপত্তি হয়েছে যেখান থেকে-
ক. ইন্দো-ইউরোপীয় খ. ইন্দো-দ্রাবিড়িযান
গ. আর্য ঘ. আর্য-ইউরোপীয়
১১. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় এর মতে, বাংলা ভাষার উৎপত্তি-
ক. মাগধী প্রাকৃত খ. পালি প্রাকৃত
গ. সৌরসেনী প্রাকৃত ঘ. শতম-ভাষা
১২. বাংলা লিপির গঠনকার্য কোন আমলে শুরু হয়?
ক. গুপ্ত আমলে খ. পাল আমলে
গ. সেন আমলে খ + গ
১৩. ‘বাংলা ভাষা’ ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষার কোন শাখা থেকে উৎপত্তি লাভ করে?
ক. কেন্তুম খ. আর্য গ. শতম ঘ. সংস্কৃত
১৪. দাপ্তরিক ভাষা হিসাবে বাংলা ভাষার অবস্থান-
ক. সপ্তম খ. চতুর্থ গ. দশম ঘ. প্রথম
১৫. কুটিল লিপি কোন জায়গার প্রচলিত রূপ?
ক. রাজস্থান থেকে গুজরাট খ. উড়িষ্যা থেকে পূর্বাঞ্চল
গ. উড়িষ্যা থেকে পশ্চিমাঞ্চল গ. গুজরাট থেকে মধ্যপ্রদেশ
১৬. বর্তমানে বাংলাদেশের কোথায অশোকের লিপি রয়েছে?
ক. কুমিল্লার লালমাই পাহাড় খ. নওগাঁও সোমপুর বিহারে
গ. বগুড়া মহাস্থানগড়ে ঘ. কুমিল্লার শালবনের বিহারে
১৭. ভারতীয় লিপিমালার উৎপত্তি ঘটে কি ভাবে?
ক. ভারতের চিত্রলিপিকে অবলম্বন করে
খ. ভাতরতের ভাস্কর্যকে অবলম্বন করে
গ. বাংলার চিত্রলিপিকে অবলম্বন করে
ঘ. বাংলার প্রত্নতত্ত্বকে অবলম্বন করে
১৮. বর্তমানে কোন লিপি খরোষ্ঠী লিপির পরিচয় বহন করেছে?
ক. সংস্থত লিপি খ. উর্দু লিপি
গ. হিন্দি লিপি ঘ. বাংলা লিপি
১৯. বাংলা লিপি স্থায়ী রূপ লাভ করে কখন?
ক. পাল আমলে খ. গুপ্ত আমলে গ. সেন আমলে ঘ. পাঠান আমলে
২০. এঁদের মধ্যে কে সবচেয়ে বেশি ভাষা জানতেন?
ক. বিদ্যাসাগর খ. আলাওল
গ. বেগম রোকেয়া ঘ. ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
২১. বাংলা ভাষার সাথে মিল খুঁজে পাওয়া যায় কোন ভাষার?
ক. সংস্কৃত ভাষার খ. হিন্দি ভাষার
গ. ফারসি ভাষার ঘ. মুণ্ডারি ভাষার
২২. ব্রাহ্মীলিপির পূর্ববর্তী লিপি কোনটি?
ক. তা¤্র লিপি খ. খরোষ্ঠী লিপি গ. কুটিল লিপি ঘ. দেবনাগরী লিপি
২৩. সংস্কৃত ভাষা হলো-
ক. লেখ্য ভাষা খ. ভারতের রাষ্ট্র ভাষা
গ. কথ্য ভাষা ঘ. বৌদ্ধদের ভাষা
২৪. বাংলা ভাষায় সাধুরীতির আগমন ঘটে কোন ভাষা থেকে?
ক. সংস্কৃত ভাষা খ. হিন্দি ভাষা
গ. আঞ্চলিক ভাষা ঘ. উর্দু ভাষা
২৫. কোন বাক্যটি সাধু ভাষার?
ক. তারা চলিয়া গেল খ. তাহারা চলে গেল
গ. তাহারা চলিয়া গেল ঘ. তারা চলে গেল
২৬. ভাষার কোন রীতির সর্বনাম ও ক্রিয়াপদ এক বিশেষ গঠন পদ্ধতি মেনে চলে?
ক. কথ্যরীতিতে খ. আঞ্চলিকরীতিতে
গ. চলিতরীতিতে ঘ. সাধুরীতিতে
২৭. বাংলা ভাষার বয়স কত?
ক. ১০০০ বছর খ. ২০০০ বছর
গ. ২৫০০ বছর ঘ. ২৭০০ বছর
২৮. কোন গ্রন্থটি বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস ?
ক. মুসলিম মানস ও বাংলা সাহিত্য
খ. বঙ্গভাষা ও সাহিত্য
গ. বাংলা গদ্যরীতির ইতিহাস
ঘ. বাংলা সাহিত্যে গদ্য
২৯. ‘বাংলা সাহিত্যের কথা’ গ্রন্থটি রচনা করেন-
ক. মুহম্মদ আব্দুল হ্ইা খ. ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
গ. সৈয়দ আলী আহসান ঘ. এনামুল হক
৩০. ‘বাংলা ভাষার ইতিবৃত্ত’ কে রচনা করেন?
ক. ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ খ. মুনীর চৌধুরী
গ. মুহম্মদ আব্দুল হাই ঘ. কোনটিই নয়
৩১. ‘বাংলা সাহিত্যের রূপরেখা’ গ্রন্থটির রচয়িতা-
ক. ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ খ. এনামুল হালদার
গ. গোপাল হালদার ঘ. আব্দুল কাদির
৩২. কোন গ্রন্থটি বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস?
ক. মুসলিম মানস ও বাংলা সাহিত্য
খ. বাংলা গদ্যরীতির ইতিহাস
গ. বাংলা সাহিত্যে গদ্য
ঘ. লোক সাহিত্য
৩৩. ‘বাংলা সাহিত্যের পুরাবৃত্ত’ গ্রন্থটি রচনা করেন?
ক. ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ খ. ড. দীনেশচন্দ্র সেন
গ. ড. সুকুমার সেন ঘ. ড. ওয়াকিল আহমদ
৩৪. অসিতকুমার বন্দোপাধ্যায়ের গ্রন্থ-
ক. বাঙলা ভাষার ইতিবৃত্ত খ. বাংলা সাহিত্যের ইতিবৃত্ত
গ. বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস ঘ. বাংলা সাহিত্যের ইতিবৃত্ত (আধুনিক)
৩৫. বাংলা ভাষার মধ্যযুগ-
ক. ৯০১ থেকে ১২০০ খ্রিষ্টাব্দ খ. ১২০১ থেকে ১৩০৫ খ্রিষ্টাব্দ
গ. ১২০১ থেকে ১৮০০ খ্রিষ্টাব্দ ঘ. ১৮০০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে বর্তমান
৩৬. ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসকে কয়টি যুগে ভাগ করেছেন?
ক. দুটি খ. তিনটি গ. চারটি ঘ. পাঁচটি
৩৭. ড. অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলা সাহিত্যেও মধ্যযুগের কয়টি ভাগে ভাগ করেছেন?
ক. দুটি খ. তিনটি গ. চারটি ঘ. পাঁচটি
৩৮. ড. মুহম্মদ এনামুল হক মধ্যযুগকে কয়টি ভাগে ভাগ করেছেন?
ক. দুটি খ. তিনটি গ. চারটি ঘ. পাঁচটি
৩৯. ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতানুযায়ী মধ্যযুগের ভাগ দুটি কি কি?
ক. সুলতানী আমল ও মোগল আমল
খ. পাঠান আমল ও সুলতানী আমল
গ. পাঠান আমল ও মোগল আমল
ঘ. তুর্কি আমল ও মোগল আমল
৪০. রবীন্দ্রযুগ কোন সময়কে বলা হয়?
ক. ১৯১০-১৯৫০ খ. ১৯০১-১৯২১
গ. ১৯০১-১৯৪০ গ. ১৯০১-১৯৩০
৪১. বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস কত বছরের পুরনো বলে মনে করা হয়?
ক. এক হাজার খ. দুই হাজার গ. তিন হাজার ঘ. চার হাজার
৪২. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ‘চর্যাপদ’ যে গ্রন্থে প্রকাশ করেছিলেন তার নাম হলÑ
ক. চর্যাপদাবলি
খ. হাজার বছরের পুরাণ বাঙ্গালা বৌদ্ধগান ও দোহা
গ. চর্যাচর্যবিনিশ্চয়
ঘ. চর্যাগীতিকা
৪৩. ‘চর্যাপদ’ কোন ধর্মাবলম্বীদের সাহিত্য?
ক. সনাতন হিন্দু খ. সহজিয়া বৌদ্ধ
গ. জৈন ঘ. হরিজন
৪৪. কোন সাহিত্যকর্মে সান্ধ্যভাষার প্রয়োগ আছে?
ক. চর্যাপদ খ. গীতিগোবিন্দ
গ. পদাবলি ঘ. চৈতন্যজীবনী
৪৫. চর্যাপদের বয়স আনুমানিক কত বছর?
ক. ৮০০ বছর খ. ১০০০ বছর
গ. ১১০০ বছর ঘ. ১২০০ বছর
৪৬. প্রাপ্ত চর্যাপদের পদকর্তা কতজন?
ক. ১৯ খ. ২৩ গ. ২৫ ঘ. ২৭
৪৭. চর্যাপদের কোন পদটি খÐিত আকারে পাওয়া যায়?
ক. ১০নং পদ খ. ১৬নং পদ
গ. ১৮নং পদ ঘ. ২৩নং পদ
৪৮. শবরপা কে ছিলেন?
ক. লুইপার গুরু খ. ১নং চর্যার রচয়িতা
গ. শবরীর প্রতি ঘ. হস্তীবিশারদ
৪৯. চর্যাপদ যে বাংলা ভাষার রচিত এটি প্রথম কে প্রমাণ করেন?
ক. ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ খ. ড. সুকুমার সেন
গ. ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ঘ. ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
৫০. ‘খনার বচন’ কী সংক্রান্ত?
ক. কৃষি খ. ব্যবসা গ. শিল্প ঘ. রাজনীতি
৫১. বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন কোনটি? অথবা, বাংলা ভাষায় সবচেয়ে পুরোনো যে পুঁথির সন্ধান পাওয়া গেছে তার নাম কী?
ক. বৈষ্ণব পদাবলি খ. চর্যাপদ
গ. পুথি সাহিত্য ঘ. বাউল সঙ্গীত
৫২. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী কবে সম্পাদিত আকারে চর্যাপদ প্রকাশ করেন?
ক. ১৯০৭ সালে খ. ১৯০৯ সালে
গ. ১৯১৬ সালে ঘ. ১৯২৩ সালে
৫৩. বৌদ্ধদের কোন সম্প্রদায়ের সাধকগণ চর্যাপদ রচনা করেন?
ক. মহাযানী খ. সহজযানী
গ হীনযানী ঘ. বজ্রযানী
৫৪. বাংলা সাহিত্যের আদি নিদর্শন পাওয়া যায় কোথায়?
ক. আসামে খ. সোনারগাঁয়ে
গ. পশ্চিমবঙ্গে ঘ. নেপালে
৫৫. ড. সুনীতিকুমারের মতে, চর্যাপদের ভাষায় কোন অঞ্চলের ভাষার নমুনা পরিলক্ষিত হয়?
ক. নেপালের কথ্য ভাষা খ. পূর্ববাংলার কথ্যভাষা
গ . পশ্চিম বাংলার প্রাচীন কথ্য ভাষা
ঘ. বুদ্ধের জীবনী
৫৬. চর্যাপদের বেশির ভাগ পদ কত চরণে রচিত?
ক. আট খ. চৌদ্দ গ. বারো ঘ. দশ
৫৭. চর্যাপদের উল্লেখযোগ্য সংস্কৃত টীকাকার কে?
ক. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী খ. মুনিদত্ত
গ. সুনীতিকুমার ঘ. ড. শহীদুল্লাহ্
৫৮. চর্যাপদের কতটি প্রবাদ বাক্য পাওয়া যায়?
ক. ৪টি খ. ৫টি গ. ৬টি ঘ. ৭টি
৫৯. চর্যাপদের ধর্মমত সম্পর্কে প্রথম আলোচনা করেন কে? কত সালে?
ক. ড. সুনীতিকুমার, ১৯২৭ খ. ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্, ১৯২৭
গ. ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী, ১৮২৭ ঘ. মুনিদত্ত, ১৯১৭
৬০. চর্যাপদ কতটি পদের সংকলন?
ক. সাড়ে ছেচল্লিশ (প্রাপ্ত সংখ্যা) খ. একান্ন (সুকুমার সেনের মতে)
গ. পঞ্চাশ (শহীদুল্লাহ্র মতে) ঘ. ক, খ, ও গ
৬১. চর্যাপদের ভাষার কোন ভাষাটির প্রভাব দেখা যায় না?
ক. অসমিয়া খ. উড়িয়া গ. মৈথিলি ঘ. কোল ভাষা
পূর্ববর্তী বছরের প্রশ্নোত্তর
১. চর্যাপদে কোন ধর্মমতের কথা আছে? (৪০তম বিসিএস)
ক. খ্রীষ্টধর্ম খ. প্যাগনিজম গ. জৈনধর্ম ঘ. বৌদ্ধধর্ম
উত্তর- ঘ
২. উল্লিখিতদের মধ্যে কে প্রাচীন যুগের কবি নন? (৪০তম বিসিএস)
ক. কাহ্নপাদ খ. লুইপাদ গ. শান্তিপাদ ঘ. রমনীপাদ
উত্তর- ঘ
৩. ‘সান্ধ্যভাষা’ কোন সাহিত্যকর্মের সঙ্গে যুক্ত? (৩৮তম বিসিএস)
ক. চর্যাপদ খ. পদাবলি গ. মঙ্গলকাব্য ঘ. রোমান্সকাব্য
উত্তর- ক
৪. বাংলা ভাষার আদি স্তরের স্থিতিকাল কোনটি? [১৪তম বিসিএস]
ক. দশম থেকে চতুদর্শ শতাব্দী
খ. একাদশ থেকে পঞ্চদশ শতাব্দী
গ. দ্বাদশ থেকে ষোড়শ শতাব্দী
ঘ. ত্রয়োদশ থেকে সপ্তদশ শতাব্দী
উত্তর- ক
৫. বাংলা ভাষার উদ্ভব হয়েছে নিম্নোক্ত একটি ভাষা থেকে-
[১৭তম বিসিএস]
ক. সংস্কৃত খ. পালি গ. প্রাকৃত ঘ. অপভ্রংশ
উত্তর- গ
৬. বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস বিষয়ক গ্রন্থসমূহের মধ্যে কোনটি ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ লেখা? [৩৭তম বিসিএস]
ক. বঙ্গভাষা ও সাহিত্য খ. বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাস
গ. বাংলা সাহিত্যের ইতিবৃত্ত ঘ. বাংলা সাহিত্যের কথা
উত্তর- ঘ
৭. মুহম্মদ আবদুল হাই রচিত ধ্বনিবিজ্ঞান বিষয়ক গ্রন্থের নাম কি?
[৩৭তম বিসিএস]
ক. বাংলা ধ্বনিবিজ্ঞান খ. আধুনিক বাংলা ধ্বনিবিজ্ঞান
গ. ধ্বনিবিজ্ঞানের কথা ঘ. ধ্বনিবিজ্ঞান ও বাংলা ধ্বনিতত্ত¡
উত্তর- ঘ
৮. বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস বিষয়ক প্রথম উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ কার রচনা?
[২৭তম; ২৫তম ও ২২তম বিসিএস]
ক. দীনেশচন্দ্র সেন খ. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
গ. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ ঘ. মুহম্মদ এনামুল হক
উত্তর- ক
৯. ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্র বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস গ্রন্থের নাম
[২৬তম বিসিএস]
ক. বঙ্গভাষা ও সাহিত্য খ. বাংলা সাহিত্যের কথা
গ. বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাস ঘ. বাংলা সাহিত্যের ইতিবৃত্ত
উত্তর- খ
১০. বাংলা সাহিত্যের ইতিবৃত্ত (আধুনিক) কারা রচনা করেন?
[২২তম বিসিএস]
ক. ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ ও সৈয়দ হাসান আলী
খ. ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ ও মুহম্মদ আব্দুল হাই
গ. মুহম্মদ আব্দুল হাই, আনিসুজ্জামান ও আনোয়ার পাশা
ঘ. মুহম্মদ আব্দুল হাই ও সৈয়দ আলী আহসান
উত্তর- খ
১১. বাংলা কথ্য ভাষার আদি গ্রন্থ কোনটি? [২৯তম বিসিএস]
ক. প্রভু যিশুর বাণী খ. কৃপার শাস্ত্রের অর্থভেদ
গ. ফুলমণি ও করুণার বিবরণ ঘ. মিশনারি জীবন
উত্তর- খ
১২. কোনটি মুহাম্মদ এনামুল হকের রচনা? [২৫তম বিসিএস]
ক. ভাষার ইতিবৃত্ত খ. আধুনিক ভাষাতত্ত¡
গ. মনীষা-মঞ্জুষা
ঘ. বাংলাদেশের আঞ্চলিক ভাষার অভিধান
উত্তর- গখ
১৩. বাংলা সাহিত্যের পঠন-পাঠনের বুবিধার জন্য বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসকে তিনটি যুগে ভাগ করা হয়েছে- বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন যুগ। [৩৪তম বিসিএস]
ক. ৪৫০-৬৫০ খ. ৬৫০-৮৫০
গ. ৬৫০-১২০০ ঘ. ৬৫০-১২৫০
উত্তর- গ
১৪. বাংলা ভাষার প্রথম কাব্য সংকলন চর্যাপদের আবিস্কারক-
[১৭তম বিসিএস]
ক. ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী
খ. ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
গ. ড. সুকুমার সেন
ঘ. রাজা রাজেন্দ্রলাল মিত্র
উত্তর- ক
১৫. চর্যাপদ আবিস্কৃত হয় কোথা থেকে? [২৮তম বিসিএস পরীক্ষা]
ক. বাঁকুড়ার এক গৃহস্থের গোয়াল ঘর থেকে
খ. আরাকান রাজগ্রন্থাগার থেকে
গ. নেপালের রাজগ্রন্থশালা থেকে
ঘ. সুদূর চীন দেশ থেকে
উত্তর- গ
১৬. চর্যাপদের বয়স আনুমানিক কত বছর? [২৮তম বিসিএস]
ক. ৮০০ বছর খ. ১০০০ বছর
গ. ১১০০ বছর ঘ. ১২০০ বছর
উত্তর- খ
১৭. কোন কবি নিজেকে বাঙালি বলে পরিচয় দিয়েছেন?
[৩০তম বিসিএস]
ক. গোবিন্দ দাস খ. কায়কোবাদ
গ. কাহু পা ঘ. ভুসুকুপা
উত্তর- ঘ
১৮. বাংলা ভাষার আদি নিদর্শন চর্যাপদ আবিষ্কৃত হয় কত সালে?
[৩০তম ও ৩৪তম বিসিএস]
ক. ২০০৭ সালে খ. ১৯০৭ সালে
গ. ১৯০৯ সালে ঘ. ১৯১৬ সালে
উত্তর- খ
১৯. চর্যাপদ কোন ছন্দে লেখা? [৩৩তম বিসিএস]
ক. অক্ষরবৃত্ত খ. মাত্রাবৃত্ত
গ. স্বরবৃত্ত ঘ. অমিত্রাক্ষর ছন্দ
উত্তর- খ
২০. ঞযব ঙৎরমরহ ধহফ উবাবষড়ঢ়সবহঃ ড়ভ নবহমধষর খধহমঁধমব’ গ্রন্থটি রচনা করেছেন- [৩৩তম বিসিএস]
ক. ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ খ. ড. সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায় গ. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ঘ. স্যার জর্জ গ্রিয়ারসন
উত্তর- খ
২১. বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন যুগের নিদর্শন কোনটি? [৩৫তম বিসিএস]
ক. নিরঞ্জনের উষ্ণা খ. গুপীচন্দ্রের সন্ন্যাস
গ. দোহাকোষ ঘ. ময়নামতীর গান
উত্তর- গ
২২. বাংলা সাহিত্যের আদি কবি কে? [২৯তম বিসিএস]
ক. কাহ্নপা খ. ডেগুনপা গ. লুইপা ঘ. ভুসুকুপা
উত্তর- গ
২৩. ‘চর্যাচর্যবিনিশ্চয়’-এর অর্থ কি? [৩৭তম বিসিএস]
ক. কোনটি চর্যাগান, আর কোনটি নয়
খ. কোনটি আচরণীয়, আর কোনটি নয়
গ. কোনটি চরাচরের, আর কোনটি নয়
ঘ. কোনটি আচার্যের, আর কোনটি নয়
উত্তর- খ
২৪. ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ্ সম্পাদিত চর্যাপদ বিষয়ক গ্রন্থের নাম কি?
[৩৭তম বিসিএস]
ক. ইঁফফযরংঃ গুংঃরপ ঝড়হমং
খ. চর্যাগীতিকা
গ. চর্যাগীতিকোষ
ঘ. হাজার বছরের পুরাণ বাংলা ভাষায় বৌদ্ধ গান ও দোহা
উত্তর- ক
২৫. বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন যুগের নিদর্শন কোনটি? [৩৫তম বিসিএস]
ক. নিরঞ্জনের রুষ্মা খ. গুপিচন্দ্রের সন্ন্যাস
গ. দোহাকোষ ঘ. ময়নামতির গান
উত্তর- গ
২৬. সবচেয়ে বেশি চর্যাপদ পাওয়া গেছে কোন কবির? [৩৫তম বিসিএস]
ক. লুইপা খ. ভুসুকুপা গ. শবরপা ঘ. কাহ্নপা
উত্তর- ঘ
২৭. ‘চর্যাপদ’ কত সালে আবিষ্কৃত হয়? [৩৪তম বিসিএস]
ক. ১৮০০ সালে খ. ১৮৫৭ সালে
গ. ১৯০৭ সালে ঘ. ১৯০৯ সালে
উত্তর- গ
২৮. চর্যাপদ কোন ছন্দে লেখা? [৩৩তম বিসিএস]
ক. অক্ষরবৃত্ত খ. মাত্রাবৃত্ত
গ. স্বরবৃত্ত ঘ. অমিত্রাক্ষর ছন্দ
উত্তর- খ
২৯. কোন কবি নিজেকে বাঙালি বলে পরিচয় দিয়েছেন? [৩০তম বিসিএস]
ক. গোবিন্দ দাস খ. কায়কোবাদ
গ. কাহ্নপা ঘ. ভুসুকুপা
উত্তর- ঘ
৩০. বাংলা ভাষার আদি নিদর্শন চর্যাপদ আবিষ্কৃত হয় কত সালে?
[৩০তম বিসিএস]
ক. ২০০৭ সালে খ. ১৯০৭ সালে
গ. ১৯১৬ সালে ঘ. ১৯০৯ সালে
উত্তর- খ
৩১. বাংলা সাহিত্যের আদি কবি কে? অথবা, চর্যাপদের আদি কবি কে?
[২৯তম বিসিএস]
ক. কাহ্নপা খ. ঢেণ্ঢনপা
গ. লুইপা ঘ. ভুসুকুপা
উত্তর- গ
৩২. বাংলা ভাষার প্রথম কাব্য সংকলন চর্যাপদ এর আবিষ্কারকÑ
[১৭তম বিসিএস]
ক. ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ খ. ডক্টর সুকুমার সেন
গ. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ঘ. ডক্টর সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
উত্তর- ৩২ গ
এক কথায় প্রশ্নোত্তর
১। বাংলা ভাষার উৎপত্তি কোন শতাব্দীতে?
– সপ্তম শতকে।
২। বাংলাভাষা কোন ভাষাগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত?
– ইন্দো ইউরোপীয়।
৩। বাংলা ভাষার আনুমানিক বয়স কত?
– চৌদ্দশত বছর বা এক হাজার বছরের অধিক।
৪। বাংলা ভাষার পূর্ব স্তরের নাম কী?
– বাংলা ও অসমিয়া।
৫। সহোদর ভাষাগোষ্ঠী
– বাংলা ও অসমিয়া।
৬। ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে বাংলা ভাষার উৎপত্তি কোন প্রাকৃত স্তর থেকে?
– গৌড়ীয় অপভ্রংশ।
৭. প্রাচীন যুগের একমাত্র সাহিত্যিক নিদর্শন কী?
– চর্যাপদ ।
৮. চর্যাপদের আদি কবি/বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম কবি কে?
– শবরপা।
৯. চর্যাপদে সবচেয়ে বেশি পদ কে রচনা করেন?
– কাহ্নপা।
১০. কতজন কবি চর্যাপদ রচনা করেছেন?
– ২৪ জন।
১১. চর্যাপদ কতটি পদের সংকলন?
– একান্নটি। তবে উদ্ধার করা হয়েছে সাড়ে ছেচল্লিশটি।
১২. চর্যাপদের ভাষায় কোন অঞ্চলের ভাষার নমুনা পরিলক্ষিত হয়?
– পশ্চিম বাংলার প্রাচীন কথ্য ভাষার।
১৩. বৌদ্ধদের কোন সম্প্রদায়ের সাধকগণ চর্যাপদ রচনা করেন?/‘চর্যাপদ’ কোন ধর্মালম্বীদের সাহিত্য?
– সহজিয়া বৌদ্ধ।
১৪. চর্যাপদ কোথায় সংরক্ষিত ছিল?
– নেপালের রাজদরবারের গ্রন্থাগারে।
১৫. চর্যাপদে কতটি প্রবাদবাক্য পাওয়া যায়?
– ছয়টি।
১৬. চর্যাপদের ভাষাকে পÐিতগণ কোন ধরনের ভাষা বলেছেন?
– সান্ধ্য ভাষা বা আলো আঁধারের ভাষা।
১৭. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী কবে সম্পাদিত আকারে চর্যাপদ প্রকাশ করেন?
– ১৯১৬ সালে।
১৮. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ‘চর্যাপদ’ যে গ্রন্থে প্রকাশ করেছিলেন তার নাম হলÑ
– হাজার বছরের পুরান বাঙালা ভাষায় বৌদ্ধ গান ও দোহা।
১৯. কোন সাহিত্যকর্মে সান্ধ্যভাষার প্রয়োগ আছে?
– চর্যাপদ।
২০. বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে প্রথম গ্রন্থ কোনটি?
– চর্যাপদ।
২১. কোন রাজবংশের আমলে চর্যাপদ রচনা শুরু হয়?
– পাল আমলে।
২২. বাংলা সাহিত্যের আদি গ্রন্থ ‘চর্যাপদে’র রচনাকালে
– সপ্তম থেকে দ্বাদশ শতক।
২৩. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী কাকে চর্যার আদি কবি মনে করেন?
– লুইপা।
২৪. চর্যাপদ প্রথম কোথা থেকে প্রকাশিত হয়?
– বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ।
২৫. ড. শহীদুল্লাহর মতে, চর্যাপদের ভাষা
– বঙ্গ কামরুপী।
২৬. কোন পÐিত চর্যাপদের পদগুলো টীকার মাধ্যমে ব্যাখ্যা করেন?
– মুনিদত্ত।
২৭. চর্যাপদ যে বাংলা ভাষায় রচিত একটি প্রথম প্রমাণ করেন?
– ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়।
২৮. চর্যাপদ হলো মূলত
– গানের সংকলন।
বাংলা ভাষার উদ্ভব ও বিকাশ
পিএসিসহ অন্যান্য পরীক্ষায় আসা প্রশ্ন
১। ভারতীয় উপমহাদেশের আঞ্চলিক ভাষাগুলোর আদিম উৎস কী?
ক) মূল আর্যভাষা খ) বৈদিক ভাষা
গ) অনার্য ভাষা ঘ) সংস্কৃত ভাষা
২। বাংলা আদি জনগোষ্ঠীর ভাষা কী/বাংলা আদি অধিবাসীগণ/জনগোষ্ঠী কোন ভাষাভাষী ছিল?
ক) সংস্কৃত খ) বাংলা
গ) অস্ট্রিক ঘ) হিন্দি
৩। প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা চিহ্নিত করুন?
ক) পালি খ) প্রাকৃত
গ) বৈদিক ঘ) ভোজপুরী
৪। বাংলা ভাষার উৎপত্তি হয়েছে যেখান থেকে/বাংলা ভাষা কোন মূল ভাষার অন্তর্গত?
ক) দ্রাবিড় খ) ইউরালীয়
গ) ইন্দো-ইউরোপীয় ঘ) সেমেটিক
৫। ভারতীয় ভাষার নিদর্শন যে গ্রন্থে পাওয়া যায়, তার নামÑ
ক) রামায়ণ খ) মহাভারত
গ) ঋগে¦দ ঘ) চর্যাপদ
৬। ইন্দো-ইউরোপীয় মূল ভাষাগোষ্ঠীর অন্তর্গত ভাষা কোনটি?
ক) বাংলা খ) ইংরেজী
গ) ফরাসি ঘ) উর্দু
৭। ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষার কয়টা শাখা?
ক) একটা খ) দুটো
গ) তিনটে ঘ) চারটে
৮। বাংলা ভাষার মূল উৎস কোনটি/বাংলা ভাষার পূর্ববর্তী স্তরের নাম কী?
ক) কানাড়ি ভাষা খ) পালি
গ) অপভ্রংশ ঘ) প্রাকৃত
৯। বাংলা শব্দের উদ্ভব হয়েছে-
ক) সংস্কৃত খ) পালি
গ) অপভ্রংশ ঘ) প্রাকৃত
১০। বাংলা ভাষার উদ্ভব হয়েছে নি¤েœাক্ত একটি ভাষা থেকে/বাংলা ভাষার জন্ম কোন ভাষা থেকে?
ক) সংস্কৃত খ) পালি
গ) প্রাকৃত ঘ) অপভ্রংশ
১১। ‘বাংলা ভাষার জন্ম হয়েছে মাগধী প্রাকৃত থেকে’। এ মতে প্রবক্তা কে?
ক) স্যার জর্জ আব্রাহাম গ্রিয়ার্সন খ) ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
গ) ড. সুকুমার সেন ঘ) ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
১২। বাংলা ভাষা কোন ভাষা থেকে এসেছে?
ক) সংকৃত খ) গৌড়ীয় প্রাকৃত
গ) হিন্দি ঘ) আসামি
১৩। ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ’র মতে বাংলা ভাষার উৎপত্তি কোন প্রাকৃত স্তর থেকে?
ক) মাগধী প্রাকৃত খ) গৌড়ীয় প্রাকৃত
গ) মহারাষ্ট্রী প্রাকৃত ঘ) অর্ধ মাগীধ প্রাকৃত
১৪। কোন ভাষা থেকে বাংলা ভাষার উদ্ভব হয়েছে বলেক ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ মনে করেন?
ক) গৌড়ীয় অপভ্রংশ খ) গৌড় অপভ্রংশ
গ) মাগধী অপভ্রংশ ঘ) প্রাচীন অপভ্রংশ
১৫। কোন ভাষা থেকে বাংলা ভাষার জন্ম হয়েছে?
ক) ভারতীয় আর্য খ) সংস্কৃত
গ) ইন্দো-ইউরোপীয় ঘ) বঙ্গ-কামরূপী
১৬। ‘অপভ্রংশ’ কথাটির অর্থ কী?
ক) উন্নত খ) বিবৃত
গ) সাধারণ ঘ) বিকৃত
১৭। বাংলা ভাষা ও সাহিত্য কার কাছে প্রত্যক্ষভাবে ঋণী?
ক) পালি খ) অপভ্রংশ
গ) অপ্রাকৃত ঘ) সংস্কৃত
১৮। ভাষার জগতে বাংলার স্থান কোথায়/বিশে^র সর্বাধিক ব্যবহৃত ভাষার মধ্যে বাংলার অবস্থান কততম/ব্যবহারকারীর সংখ্যা বিচারে পৃথিবীতে বাংলা ভাষার স্থান কততম?
ক) ষষ্ঠ খ) সপ্তম গ) অষ্টম ঘ) নবম
ব্যাখ্যা: নবম-দশম শ্রেণির বাংলা ব্যাকরণ মতে, চতুর্থ। বিশে^র ভাষা নিয়ে অনুসন্ধানকারী প্রতিষ্ঠান ‘ইথনোগল’ এর সর্বশেষ (২০১৫) প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলার অবস্থান সপ্তম।
১৯। বাংলা এবং মৈথিলী ভাষার সমন্বয়ে যে ভাষার সৃষ্টি হয়েছে তার নাম কী?
ক) মাগধী খ) অসমিয়া
গ) মরমিয়া ঘ) ব্রজবুলি
বাংলা লিপি
পিএসিসহ অন্যান্য পরীক্ষায় আসা প্রশ্ন
১। কোন যুগে বাংলা লিপি ও অক্ষরের গঠনকার্য শুরু হয়-
ক) পাঠান যুগ খ) সেন যুগ
গ) পাল যুগ ঘ) মোগল যুগ
২। কোন শাসনামলে বাংলা লিপির স্থায়ী রূপ তৈরি করে অক্ষর গঠনের কাজ শুরু হয়?
ক) সেন যুগ খ) পাঠান যুগ
গ) পাল যুগ ঘ) মোগল যুগ
৩। ভারতীয় মৌলিক লিপি কোনটি?
ক) ব্রাহ্মী খ) কুটিল
গ) খরোষ্ঠী ঘ) নাগরী
৪। বাংলা লিপির উৎস কি/বাংলা লিপির উদ্ভব হয়েছে কোন প্রাচীন লিপি থেকে?
ক) সংস্কৃত খ) চীনা লিপি
গ) আরবি লিপি ঘ) ব্রাহ্মী লিপি
৫। ভারতীয় কোন লিপিমালা ডানদিক থেকে লেখা হয়?
ক) হিন্দি খ) মারাঠি
গ) গুজরাট ঘ) খরোষ্ঠী
উত্তরপত্র
১ খ ২ খ ৩ ক ৪ ঘ
৫ ঘ
প্রাচীন যুগ (চর্যাপদ)
পিএসিসহ অন্যান্য পরীক্ষায় আসা প্রশ্ন
১। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের প্রাচীন নিদর্শন কোনটি?
ক) মহাভারত খ) চর্যাপদ
গ) রামায়ণ ঘ) জঙ্গনামা
১ খ
২। বাংলা সাহিত্যের আদি গ্রন্থ/আদি নিদর্শন কোনটি?
ক) শ্রীকৃষ্ণবিজয় খ) শ্রীকৃষ্ণকীর্তন
গ) শূণ্যপুরাণ ঘ) চর্যাপদ
২ ঘ
৩। প্রাচীন যুগের বাংলা ভাষার শ্রেষ্ঠ নিদর্শন কী?
ক) লায়লী-মজনু খ) শ্রীকৃষ্ণকীর্তন
গ) চর্যাপদ ঘ) পদ্মাবতী
৩ গ
৪। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে প্রথম গ্রন্থ কোনটি?
ক) চর্যাপদ খ) বৈষ্ণব পদাবলি
গ) ঐতরেয় আরণ্যকে ঘ) দোহাকোষ
৪ ক
৫। চর্যাপদ হলো মূলত/চর্যাপদ এক প্রকার-
ক) গানের সংকলন খ) কবিতার সংকলন
গ) প্রবন্ধের সংকলন ঘ) কোনোটিই নয়
৫ ক
৬। ‘চর্যাচর্যবিনিশ্চয়’- এর অর্থ কী?
ক) কোনটি আচার্যের, আর কোনটি নয়
খ) কোনটি আচরণীয়, আর কোনটি নয়
গ) কোনটি চরাচরের, আর কোনটি নয়
ঘ) কোনটি চর্যাগান, আর কোনটি নয়
৬ খ
৭। ‘চর্যাপদ’ কোন ধর্মাবলম্বীদের সাহিত্য?
ক) সনাতন হিন্দু খ) সহজিয়া বৌদ্ধ
গ) জৈন ঘ) হরিজন
৭ খ
৮। কোন রাজবংশের আমলে চর্যাপদ রচনা শুরু হয়?
ক) পাল খ) সেন
গ) মোগল ঘ) তুর্কি
৮ ক
৯। চর্যাপদ আবিষ্কৃৃত হয় কোথা থেকে?
ক) আরাকান রাজগ্রন্থাগার
খ) বাঁকুড়ার এক গৃহস্থের গোয়াল ঘর থেকে
গ) নেপালের রাজগ্রন্থশালা থেকে ঘ) সুদূর চীন দেশ থেকে
৯ গ
১০। ‘চর্যাপদ’ কোথা থেকে আবিষ্কৃৃত হয়েছে/পাওয়া যায়?
ক) তিব্বত খ) বাংলাদেশ
গ) নেপাল ঘ) চীন
১০ গ
১১। বাংলা ভাষার আদি নিদর্শন ‘চর্যাপদ’ আবিষ্কৃৃত হয় কত সালে?
ক) ২০০৭ সালে খ) ১৯০৭ সালে
গ) ১৯১৬ সালে ঘ) ১৯০৯ সালে
১১ খ
১২। বাংলা ভাষার প্রথম কাব্য সংকলন চর্যাপদ এর আবিষ্কারক?
ক) ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ খ) ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
গ) ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ঘ) ড. সুকুমার সেন
১২ গ
১৩। ‘চর্যাপদ’ প্রথম কোথা থেকে প্রকাশিত হয়?
ক) বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ খ) এশিয়াটিক সোসাইটি
গ) শ্রীরামপুর মিশন ঘ) ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ
১৩ ক
১৪। বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ কর্তৃক প্রকাশিদ ‘চর্যাপদ’ কে সম্পাদনা করেন?
ক) ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ খ) শ্রী হরপ্রসাদ শাস্ত্রী
গ) ড. দীনেশচন্দ্র সেন ঘ) শ্রী হরলাল রায়
১৪ খ
১৫। হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ‘চর্যাপদ’ যে গ্রন্থে প্রকাশ করেছিলেন তার নাম হল-
ক) চর্যাপদাবলি
খ) হাজার বছরের পুরাণ বাঙালা ভাষায় বৌদ্ধগান ও দোহা
গ) চর্যাচর্যবিনিশ্চয় ঘ) চর্যাগীতিকা
১৫ খ
১৬। হরপ্রসাদ শাস্ত্রী পুঁথি সাহিত্য সংগ্রহের জন্য গিয়েছিলেন-
ক) তিব্বত, নেপাল খ) ভুটান, সিকিম
গ) কাশী, বেনারস ঘ) বোম্বে, জয়পুর
১৬ ক
১৭। বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন যুগের নিদর্শন কোনটি?
ক) নিরঞ্জনের রুম্মা খ) দোহাকোষ
গ) গোপীচন্দ্রের সন্ন্যাস ঘ) ময়নামতীর গান
১৭ খ
১৮। ‘চর্যাপদ’ রচনাটি বাংলা সাহিত্যের কোন যুগের কাব্য নিদর্শন?
ক) আদি যুগ খ) মধ্যযুগ
গ) আধুনিক যুগ ঘ) অতি আধুনিক যুগ
১৮ ক
১৯। কোন সাহিত্যকর্মে সান্ধ্যভাষার প্রয়োগ আছে?
ক) চর্যাপদ খ) গীতগোবিন্দ
গ) পদাবলি ঘ) চৈতন্যজীবনী
১৯ ক
২০। বাংলা সাহিত্যের আদিগ্রন্থ ‘চর্যাপদ’ এর রচনাকাল-
ক) সপ্তম থেকে দ্বাদশ শতক খ) অষ্টম থেকে চতুর্দশ শতক
গ) নবম থেকে চতুর্দশ শতক ঘ) একাদশ থেকে চতুর্দশ শতক
২০ ক
২১। চর্যাপদ কোন ছন্দে লেখা?
ক) অক্ষরবৃত্ত খ) মাত্রাবৃত্ত
গ) স্বরবৃত্ত ঘ) অমিত্রাক্ষর ছন্দ
২১ খ
২২। প্রাপ্ত চর্যাপদের পদকর্তা কতজন?
ক) ১৯ খ) ২৩
গ) ২৫ ঘ) ২৭
২২ খ
২৩।চর্যাপদে কতজন কবির পদ রয়েছে?
ক) ২৭ খ) ২৬
গ) ২৪ ঘ) ২৫
২৩ গ
২৪। বাংলা সাহিত্যের আদি কবি কে?
ক) কাহ্নপা খ) চেগুনপা
গ) লুইপা ঘ) ভুসুকুপা
২৪ গ
২৫। চর্যাপদের আদি কবি কে?
ক) কাহ্নপা খ) চেগুনপা
গ) লুইপা ঘ) ভুসুকুপা
২৫ গ
২৬। হরপ্রসাদশাস্ত্রী কাকে চর্যার আদি কবি মনে করেন?
ক) লুইপা খ) কাহ্নপা
গ) ঢেগুণপা ঘ) ভুসুকুপা
২৬ ক
২৭। সবচেয়ে বেশী চর্যাপদ পাওয়া গেছে কোন কবির?
ক) লুইপা খ) শবরপা
গ) ভুসুকুপা ঘ) কাহ্নপা
২৭ ঘ
২৮। চর্যাগীতি রচনার সংখ্যাধিক্যের দ্বিতীয় স্থানের অধিকারী কে?
ক) জয়দেব খ) ভুসুকুপা
গ) হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ঘ) কাহ্নপা
২৮ খ
২৯। কোন কবি নিজেকে বাঙালি বলে পরিচয় দিয়েছেন?
ক) গোবিন্দদাস খ) কায়কোবাদ
গ) কাহ্নপা ঘ) ভুসুকুপা
২৯ ঘ
৩০। ‘সন্ধ্যাভাষা’ কোন সাহিত্যকর্মের সঙ্গে যুক্ত?
ক) চর্যাপদ খ) পদাবলি
গ) মঙ্গলকাব্য ঘ) রোমান্সকাব্য
৩০ ক
৩১। বাংলা সাহিত্যের প্রথম নিদর্শন চর্যাপদের সংখ্যা-
ক) ৪৬টি খ) সাড়ে ৪৬টি
গ) ৪৯টি ঘ) ৫০টি
৩১ ঘ
৩২। চর্যাপদের কোন পদটি খÐিত আকারে পাওয়া যায়?
ক) ১০নং পদ খ) ১৬ নং পদ
গ) ১৮ নং পদ ঘ) ২৩ নং পদ
৩২ ঘ
৩৩। ‘অপণা মাংসেঁ হরিণা বৈরী’ লাইনটি কোন সাহিত্যের অন্তর্ভুক্ত?
ক) লোকসাহিত্য খ) ব্রজবুলি
গ) চর্যাপদ ঘ) বৈষ্ণব পদাবলি
৩৩ গ
৩৪। ‘চঞ্চল চীএ পইঠা কাল’ কোন কবির চর্যাংশ?
ক) বিরূপা খ) লুইপা
গ) শ্রীজ্ঞান অতীশ দীপঙ্কর ঘ) কুক্কুরীপা
৩৪ খ
৩৫। ‘টালত মোর ঘর নাহি পড়বেশী, হাড়ি ভাত নাহি নিতি আবেশী’।- চর্যাপদের এ চরণ দু’টিতে কি বোঝানো হয়েছে?
ক) প্রতিবেশীর প্রতি ভালোবাসা খ) আত্মীয়ের প্রতি ভালোবাসা
গ) দারিদ্র্যক্লিষ্ঠ জীবনের চিত্র ঘ) একাকীত্বের কথা
৩৫ গ
৩৬। চর্যাপদ যে বাংলা ভাষায় রচিত এটি প্রথম কে প্রমাণ করেন?
ক) ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ খ) সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
গ) হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ঘ) ড. এনামুল হক
৩৬ খ
৩৭। ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে, চর্যাপদের ভাষা-
ক) ব্রজবুলি খ) জগাখিচুড়ি
গ) সান্ধ্যভাষা ঘ) বঙ্গ-কামরুপী
৩৭ ঘ
৩৮। কোন পণ্ডিত চর্যাপদের পদগুলোকে টীকার মাধ্যমে ব্যাখ্যা করেন?
ক) কাহ্নপা খ) লুইপা
গ) ডাকার্ণব ঘ) মুনিদত্ত
৩৮ ঘ
৩৯। চর্যাপদ হলো-
ক) একগুচ্ছ ধর্মোপদেশ খ) সাধন সঙ্গীত
গ) জীবনাচরণ পদ্ধতি ঘ) দেবী বন্দনা
উত্তরঃ খ